সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না - গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় জানুন

ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায় সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না? বর্তমানে গ্যাসের সমস্যা নেই এই রকম মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।গ্যাস্টিকের সমস্যা যে কতটা অস্বস্তি কর যার আছে শুধু সেই অনুধাবন করতে পারে।বর্তমানে আমাদের খারাপ খাদ্য অভ্যাস এর কারণে পরিপাক তন্ত্র দিন দিন দুর্বল হয়ে যাচ্ছে।
সকালে-কি-খেলে-গ্যাস-হবে-না
যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তারা অনেকেই ঔষধের উপর নির্ভরশীল। তবে এমন কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে যেগুলো মেনে চললে গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যা থেকে আপনি চিরতরে মুক্তি পেতে পারবেন।আসুন জেনে নেওয়া যাক  চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্রঃ সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না

সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না 

সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না এটা আমাদের অনেকের প্রশ্ন। এখন প্রায় সকল মানুষের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। আমাদের কিছু কিছু বদ অভ্যাসের জন্য গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যাগুলো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।আমরা যদি সঠিক নিয়মকানুন মেনে খাওয়া-দাওয়া করি তাহলে গ্যাসের মত সমস্যা থেকে বেঁচে থাকা যাবে। সকালে যদি আপনি এক টুকরো তাজা আদা খান তাহলে গ্যাসের সমস্যা কিছুটা হলেও আদা দূর করতে পারে।
এছাড়াও যে ব্যক্তির গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেক বেশি তারা যদি প্রতিদিন সকালে টক দই গ্রহণ করে তাহলে অনেকাংশে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধান হয়। দই এ প্রচুর পরিমাণ জীবন্ত ব্যাকটেরিয়া রয়েছে যা অন্ত্রের জন্য অনেক বেশি উপকারী।আরো কি কি উপায় অবলম্বন করলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হবে আসুন জেনে নেওয়া যাক। 
  • চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়
  • গ্যাস্ট্রিক দূর করার খাবার
  • কোন কোন ফল খেলে গ্যাস হয় না
  • কোন কোন সবজি খেলে গ্যাস হয় না
  • কোন কোন খাবার খেলে গ্যাস হয়
  • মুগ ডাল খেলে কি গ্যাস হয়
  • আলু খেলে কি গ্যাস হয় 
  • কলা খেলে কি গ্যাস হয়
  • আপেল খেলে কি গ্যাস হয় 

চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় 

চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় অনেক রয়েছে। বর্তমানে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা মানুষের বেড়ে চলেছে।দিন দিন মানুষ ফাস্টফুড ভাজাপোড়া এই ধরনের খাবারে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে। বেশি মসলাযুক্ত খাবারের জন্য অনেক সময় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়ে থাকে। গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার জন্য অনেক সময় পেট ফুলে যায়। আগের মানুষ বলে পেট শান্তি তো দুনিয়া শান্তি।তাই পেটে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে কাজকর্ম কিছু করে স্বস্তি পাওয়া যায় না। 

গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পাওয়ার জন্য অনেকগুলো উপায় রয়েছে। এ উপায় গুলো আমরা মেনে চললে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না এ বিষয়ে সম্পর্কেও আমাদের জানা প্রয়োজন।খাবারগুলো খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কম হয় সেই খাবার গ্রহণ করা উচিত। 

শশাঃ শসার একটা গুরুত্বপূর্ণ সবজি। প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় যদি আমরা শসা রাখি তাহলে আমাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেকাংশে কমে যাবে। কারণ শসার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পানি বিদ্যমান। আর এর ফলে শসা পেট ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে থাকে। 

পেঁপেঃ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধান করার জন্য পেঁপে ও একটি কার্যকারী খাবার। প্রচুর পরিমাণ এনজাইম বিদ্যমান যার ফলে হজমের সমস্যা দূর হয় এবং গ্যাসের সমস্যা কমে যায়। তাই আমাদের খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন পেঁপে থাকা উচিত। 

পুদিনা পাতার পানি গ্রহণঃ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধান করার জন্য পুদিনা পাতার পানি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক কাপ পানিতে কয়েকটি পুদিনা পাতা দিয়ে পানি ফুটিয়ে নিতে হবে তারপর তা পান করতে হবে। তাহলে পেট ফাঁপা ও বমি বমি ভাব দূর হতে সাহায্য করবে। 

গ্যাস্ট্রিক দূর করার খাবার 

গ্যাস্ট্রিক দূর করার খাবার আছে। আমরা যদি খাবার এর প্রতি সতর্ক হয় তাহলে গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। দিন দিন আমাদের খাবারের প্রতি অসচেতনতার কারণে এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে যাচ্ছে খাবার খেতে কিছু সচেতনতা অবলম্বন করলে অবশ্যই গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। আসল জেনে নেওয়া যাক কি ধরনের খাদ্য উপাদান গ্রহণের ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করা যায়। 

জিরাঃ জিরা খুবি একটি পরিচিত মসলা আমাদের সকলের রান্নাঘরে এই জিরা মসলাটি থেকে থাকে।  জিরা হজম রসকে উদ্দীপ্ত করে । জিরার মাধ্যমে আপনি চাইলে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধান করতে পারবেন এক নিমিষেই। 

তুলসী পাতাঃ সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না এইরকম চিন্তা থাকলে অবশ্যই তুলসী পাতা ব্যবহার করে দেখতে পারেন।কেননা পেটের যে কোন সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রে তুলসী পাতা গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। 

মৌরিঃ গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা এখন অনেকের। তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার ক্ষেত্রে মৌরির ভূমিকা অনেক বেশি।মোরে শুধু গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সমাধান করে না বরং যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে তাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। 

কোন কোন ফল খেলে গ্যাস হয় না 

কোন কোন ফল খেলে গ্যাস হয় না ওটা আমরা অনেকে জানি না। সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না এটার মধ্যে কি কি ফল খেলে গ্যাস হয় না এটাও জানা জরুরী । এমন কিছু ফল রয়েছে যা খেলে আমাদের গ্যাস এর সমস্যা হবে না আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই ফলগুলো কি কি?
পাকা পেঁপেঃ যতগুলো সেরা ফল রয়েছে তার মধ্যে পেঁপে একটি অন্যতম ফল। এতে রয়েছে খনিজ এবং ভিটামিনের ভান্ডার। যার জন্য পেঁপে খেলে দূরে থাকে অনেক ধরনের জটিল রোগ। পেঁপের মধ্যে  একটি বিশেষ এনজাইমের থাকার কারণে দ্রুত খাদ্য হজম হয়ে থাকে। পেঁপের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ফাইবারের গুণ বিদ্যমান।  এইজন্য কোষ্ঠকাঠিন্য যাদের সমস্যা সেই সমস্যা কে অনায়াসে সমাধান করে দিতে পারে পেঁপে। 
আনারসঃ আনারস যেমন খেতে সুস্বাদু তেমন এর ঘ্রাণসুমিষ্ট। ছোট থেকে বড় এমন কোন মানুষ নেই যে আনারসের প্রতি অনীহা রয়েছে প্রায় সকলেই এই ফলটি খেতে পছন্দ করে। এই ফল যে শুধু খেতেই সুস্বাদু তা নয় বরং উপকারের দিকেও অনন্য গুণের অধিকারী। আনারসে রয়েছে ব্রমেলেইন নামক একটি এনজাইম এটি মানুষের খাবার হজমে দ্রুত কাজ করে থাকে।

আনারসের মধ্যে অধিক পরিমাণে ফাইবার থাকার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয় এবং পেটের যে কোন সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়। তাই পেট কে ভালো রাখতে আনারসের জুরি মেলা ভার। আমরা যদি আমাদের ডায়েটে এই ফল রাখি তাহলে অনেক ধরনের পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। 

আপেলঃ আপেলের উপকারের কথা বলে শেষ করা যাবে না কথায় রয়েছে একটি আপেল খেলেই একাধিক রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কারণ আপেলের মধ্যে অনেকগুলো ভিটামিন রয়েছে যেমন খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, সহ বেশ কয়েকটি উপাদান। আপেলের মধ্যে পেকটিনের গুণ বিদ্যমান থাকার কারণে অন্ত্রের উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া গুলোকে ঝটপট সংখ্যা বাড়িয়ে নেয়।

এর কারণে গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যা কাছে ঘেষার সুযোগ তেমন পায় না তাই খাদ্য তালিকায় একটি করে আপেল রাখা অতীব প্রয়োজন। আপেল ছাড়াও তরমুজ ,বেরি বিভিন্ন ধরনের ও কিউইকে এগুলো গ্যাসের সমস্যা থেকে সমাধানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। 

কোন কোন সবজি খেলে গ্যাস হয়না 

কোন কোন সবজি খেলে গ্যাস হয় না এ বিষয় সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। বর্তমানে প্রায় অনেক মানুষের গ্যাসের সমস্যা রয়েছে। সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না এই বিষয়টির পাশাপাশি কোন কোন সবজি খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলে আসুন জেনে নেওয়া যাক।
কোন-কোন-সবজি-খেলে-গ্যাস-হয়-নাসবজি হিসেবে মিষ্টি আলুঃ কেউ এমন নেই যে মিষ্টি আলু চেনে না। আমাদের সকলের পরিচিত মিষ্টি আলু পুষ্টিগুণের ভান্ডার। মিষ্টি আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার, ভিটামিনএ, ভিটামিন সি, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, ভিটামিন বি৬,পটাশিয়াম, নিয়াসিন জরুরী ভিটামিন ও খনিজ। এতগুলো পুষ্টি উপাদান থাকার জন্য সবজি আলু খেলে আমাদের দেহের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হয় তেমনি পেটের নানানবিদ প্রদাহ কমতে সাহায্য করে। মিষ্টি আলু খেলে গ্যাসের সমস্যা একেবারে হয় না তাই নিশ্চিন্তে মিষ্টি আলু গ্রহণ করা যায়।
লাউঃ যাদের অনেক বেশি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা তারা সবজি হিসেবে লাউ প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। এই সবজিতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, জিংক, ম্যাগনেশিয়াম,  সেলোনিয়াম রয়েছে। তাছাড়া লাউয়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবারের উপস্থিতি রয়েছে। যার ফলে বাড়ে হজম শক্তি এবং গ্যাস্ট্রিকের মত সমস্যা কাছে ঘেষতেও পারে না। 

কোন কোন খাবার খেলে গ্যাস হয় 

কোন কোন খাবার খেলে গ্যাস হয় এটা জানা অনেক জরুরী। এমন অনেক খাবার রয়েছে যে খাবারগুলো খেলে আমাদের বদহজম হয় বা গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যা তৈরি হয়ে থাকে।  তবে এটি সকলের জন্য প্রযোজ্য নয় কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কি দিয়ে ধরনের খাবার খেলে গ্যাসের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

মসুর ডালঃ অনেক মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায় মসুর ডাল খাওয়ার ফলে পেট ফুলে যায়। মসুর ডালে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট , এবং খনিজ সমৃদ্ধ ফাইবার থাকে যা  গ্যাস্ট্রিকেরসমস্যা তৈরি করে। তাই যাবে পেটের সমস্যা রয়েছে বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তারা অবশ্যই মসুর ডালকে এড়িয়ে চলুন। 

কোমল পানীয় বর্জনঃ কোমল পানীয় খাওয়া যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। এসব পানি খেলে পেট ফাঁপার সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে। কার্বনেটেড পানি গুলোতে প্রচুর পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড বিদ্যমান থাকে যায় এক ধরনের গ্যাস। তাই এই ধরনের পানীয় পান করলে গ্যাস্টিকের মত জটিল সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে। সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না একটু জানার পাশাপাশি উক্ত বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে অবশ্যই। 

ফুলকপিঃ বাঁধাকপি ও ফুলকপি অনেক সময় পেট ফাঁপার সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। এই সবজিগুলো  অন্ত্রে প্রবেশ করার ফলে এক ধরনের গ্যাস তৈরি করে যা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।তাই যে সব ব্যক্তির গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যা রয়েছে তাদেরকে অবশ্যই বাঁধাকপি ও ফুলকপি সবজিগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। 

মুগ ডাল খেলে কি গ্যাস হয় 

মুগ ডাল খেলে কি গ্যাস হয় অনেকে প্রশ্ন করে। তবে স্বস্তির খবর হলো মুগডালে থাকা কার্বোহাইড্রেট সহজে হজম করা যায়। তাই মুগ ডালে এসিডিটির সম্ভাবনা খুব কম থাকে। যাদের গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যা রয়েছে তারা মুগডাল গ্রহণ করতে পারেন। কেননা মুগ ডালে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা তেমন বেশি নেই। মুগ ডাল ঠান্ডা প্রকৃতির হয়ে থাকে। 

এইজন্য মুগ ডাল খেলে পেট ঠান্ডা থাকে যার ফলে গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যা সৃষ্টি হয় না। সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না এ বিষয়ে জানা থাকলে যেমন আমরা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবো তেমন মুগ ডাল খেলে তেমন গ্যাসের সমস্যা হয় না তা জানতে পারলাম। বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন

আলু খেলে কি গ্যাস হয় 

আলু খেলে কি গ্যাস হয় এ বিষয়টি অনেকে জানতে চান। আলু এমন একটি সবজি যা ছোট থেকে বড় সকল ধরনের মানুষ পছন্দ করে থাকে। তবে প্রতিদিন যদি বেশি পরিমাণ আলু খাদ্য তালিকায় রাখা হয় তাহলে এর প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।আলুর যেমন অনেক গুনাগুন রয়েছে তেমন আলুর কিছু খারাপ দিক রয়েছে। 

যারা প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় আলু রাখে তাদের ক্ষেত্রে অনেক সময় গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে গ্যাসের সমস্যা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই তাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তাদের আলু এড়িয়ে চলা ভালো। তবে মিষ্টি আলু আবার বেশি পরিমাণে গ্রহণ করলেও গ্যাসের কোন সমস্যা হয় না কারণ তা হজমে সহায়তা করে থাকে। 

কলা খেলে কি গ্যাস হয় 

কলা খেলে কি গ্যাস হয় তা আমরা অনেকে জানি না। আমাদের সাধ্যের মধ্যে থাকা সবচাইতে উপকারী  ফল হল কলা। বড়লোক থেকে গরিব প্রায় সকল ধরনের মানুষ কলা কিনতে পারে। এটি দামে মোটামুটি সস্তা কিন্তু  খেতে অতুলনীয়। এ সুস্বাদু ফলের মধ্যে খনিজ ও ভিটামিন রয়েছে। তাই উপকারের দিক দিয়ে কলার জুড়ি মেলা ভার। 

এতটা জনপ্রিয় ফল হওয়া সত্বেও কলার আবার বিভ্রান্তিও কম নেই। তাই অনেকে মনে করেন কলা খেলে গ্যাসের সমস্যা হয় এজন্য কলা খাওয়া অনেকে এড়িয়ে চলে। কিন্তু কলা খেলে কি গ্যাসের সমস্যা হয় এ বিষয়ে কিছু তথ্য পাওয়া যায়।তথ্য যাচাই করলে দেখা যায় যে কলার সাথে এসিডিটির আসলে কোন সম্পর্ক নেই এটি একটি ভ্রান্ত ধারণা মাত্র। 

আপেল খেলে কি গ্যাস হয় 

আপেল খেলে কি গ্যাস হয় এই প্রশ্নের দুই ধরনের উত্তর হতে পারে। কারো কারো ক্ষেত্রে আপেল খেলে কোন প্রকার গ্যাস হয় না কারণ আপেলে ফাইবার থাকার কারণে তা হজমের সাহায্য করে । ফলে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে।তবে যদি আপনার হজম ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে থাকে আর আপনি বেশি পরিমাণ ফাইবার যুক্ত আপেল খেয়ে নেন তাহলে অনেক সময় গ্যাসের সৃষ্টি হতে পারে।

আপেল-খেলে-কি-গ্যাস-হয়বিভিন্ন ধরনের আপেল হয়ে থাকে কোন আপেলের ক্ষেত্রে ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে।  আবার কোনটার ক্ষেত্রে কিছুটা কম থাকে উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ উপাদান থাকার কারণে গ্যাসের মাত্রা বেশি হতে পারে। অনেক সময় আপেল যদি ভালোভাবে চিবিয়ে না খাওয়া হয় তাহলে গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। 

আপেল খালি খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে অন্য কোন ফলের সাথে মিক্সড করে না খাওয়াই ভালো। কারণ অন্য খাবারের সাথে মিক্সড করে খেলে গ্যাস সৃষ্টি হতে পারে। কোন ব্যক্তির যদি আগে থেকে গ্যাসের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে আপেল খাওয়ার পরে গ্যাসের সমস্যা বেশি হতে পারে। 

লেখক এর শেষ কথা 

সকালে কি খেলে গ্যাস হবে না যাদের মনে এ প্রশ্নটি রয়েছে আশা করি তারা উক্ত আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। কি কি খেলে গ্যাস হবে আর কি কি খেলে গ্যাস হবে না এ বিষয়টিও খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। আমরা সর্বদা চেষ্টা করি আপনাদের অজানা বিষয় সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার জন্য।

প্রিয় পাঠক আপনারা এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। স্বাস্থ্য বিষয়ে আরো নতুন নতুন আর্টিকেল পড়তে আমাদের  ওয়েবসাইটটি ফলো করতে থাকুন কারণ আমরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন আর্টিকেল প্রকাশ করে  ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমস ব্লগারেরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url