শীতকালে রূপচর্চাবরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ টিপস। বর্তমানে প্রায় অধিকাংশ
ছেলে মেয়েরা ব্রণের সমস্যা দেখা যায়। তবে ব্রণের সমস্যাটি মানুষের একদম
স্থায়ী সমস্যা নয়।
ব্রণ সমস্যার জন্য পুরো ইন্টারনেটে অনেক ধরনের হ্যাক রয়েছে। তার মধ্যে
অন্যতম একটি টিপস বা হ্যাকস হলো বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়। কারো কারো
ত্বকের ক্ষেত্রে সক্রিয় ব্রনের উপর বরফ প্রয়োগ করে বাম্পের আকার কমাতে
ব্যথা কমাতে এমনকি লাল লাল যে ভাব থাকে তা কমাতে সাহায্য করে।
সূচিপত্রঃ ব্রণ দূর করার উপায়
বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়
বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল। অনেকের মতে
যাদের ত্বকে বেশি পরিমাণ ব্রণের সমস্যা আছে বা ব্রণ টা বড় বড় হয়ে থাকে তাদের
ক্ষেত্রে বরফ অনেক কার্যকরী। কেউ কেউ বলেন বড় ব্রণ ত্বকের ব্যথা
সৃষ্টি করে আর বরফ প্রয়োগ করলে সে ব্যথা কমে যায়। ব্যথা কমার পাশাপাশি
ব্রণ কে সংকুচিত করে দেয় যতক্ষণ না এটি নিরাপদে বের করা যায়।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়
আবার কারো কারো ক্ষেত্রে উল্টো কাজ করে থাকে। কারো যদি ব্রনের সমস্যা অনেক
হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে বরফ প্রয়োগ করা হয় সেক্ষেত্রে ব্রণ আরো বৃদ্ধি
করতে পারে বা প্রদাহকে আরো বৃদ্ধি করে দেয়। বিশেষ করে যাদের সেনসিটিভ ত্বক
তারা একটু বেশি সমস্যায় পড়ে। আবার যদি আপনার ব্ল্যাকহেডস বা হোয়াইটহেডস
নামে পরিচিত ইনফ্লেমেটরি থেকে থাকে তাহলে আপনার ত্বকে বরফ ব্যবহার ভালো কাজ দেবে
না।
আমরা অনেকে জানি না বরফ দিয়ে কিভাবে ব্রণ দূর করা যায়। তবে আসলে অনেকের
ক্ষেত্রে বরফ ব্যবহারের মাধ্যমে ত্বকের ব্রণের সমস্যা দূর হয়ে যায়।
বরফ দিয়ে ব্রাউন দূর করা উপায় অনেক কার্যকরী হলেও তার সম্পর্কে আমরা অনেকে
অবগত নয়। আসুন আমরা জেনে নেই কিভাবে ব্রণ দূর করা যায় বরফ ব্যবহারের মাধ্যমে।
ব্রণ কেন হয়?
ব্রণ কেন হয় তা জানা সকলের প্রয়োজন। আপনারাও অনেকেই তো ব্রণের সমস্যায় কম বেশি
ভুগে থাকেন কিন্তু আপনাদের কি কখনো মনে হয়েছে আসলে ব্রণ কেন হয়। কিংবা কখনো কি
জানার চেষ্টা করেছেন ব্রণ হলে ত্বকের কি ধরনের ক্ষতি হয়। ব্রণ চিরতরে দূর
করতে হলে আগে জানতে হবে ব্রণ কেন হয়। অনেকে ব্রণ সম্পর্কে অবগত না
থাকার জন্য আমরা এখানে ব্রণ কেন হয় এ বিষয়টি তুলে ধরলাম। বরফ দিয়ে ব্রণ
দূর করার উপায় রয়েছে।
আপনারা যদি ব্রণ কেন হয় এ বিষয়টি সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা রাখেন বা জানতে পারেন
তাহলে আপনাদের জন্য ব্রণ দূর করা সহজ হবে। ব্রণ সৃষ্টির প্রধান কারণ হলো
দেহে হরমোনের তারতম্য হওয়া। অতিরিক্ত রাত জাগা, পরিমিত পরিমাণ পানি
না খাওয়া, তেল চর্বি জাতীয় বেশি খাবার খাওয়া তাই উক্ত বিষয় গুলো
সম্পর্কে আমাদেরকে সচেতন থাকতে হবে তাহলে ব্রণের সমস্যা কম দেখা দিবে। যে কারো
মুখে ব্রণ উঠলে সৌন্দর্যের হানি ঘটে। তাই খারাপ অভ্যাসগুলো পরিহার করতে হবে।
ব্রণের যত্নে বরফ কি আসলে কাজ করে
ব্রনের যত্নে বরফ কি আসলে কাজ করে এটি অনেকের প্রশ্ন। মুখে বরফ
প্রয়োগের অনেক উপকার রয়েছে। আমরা যদি নিয়মিত আমাদের মুখে বড় প্রয়োগ করে
থাকি তাহলে ব্রণের সমস্যা দূর করা যায়।কারো মুখে অধিক পরিমাণ ব্রণ উঠে থাকলে বরফ
প্রয়োগ করলে তা তাৎক্ষণাৎ স্বস্তি দিয়ে থাকে। তাই যারা ত্বকের বিষয়ে অনেক
সচেতন তারা ঘুম থেকে ওঠার পর পরে ত্বকে বরফ প্রয়োগ করে থাকে।
অনেকে ঘুম থেকে ওঠার পরে বরফের পানিতে তাদের মুখ চুবিয়ে নেয়। কারণ এটি
সকালের ফোলা ভাব কমাতে সাহায্য করে থাকে এবং ক্লান্ত ত্বককে জাগিয়ে তুলতে দারুন
ভাবে কাজ করে থাকে। মুখে বরফ লাগালে ত্বক টাইটেনিং করে এবং উজ্জ্বলতা
ফিরিয়ে আনে। আপনার মুখে যদি ব্ল্যাকহেডস হোয়াইটহেডস বা নিস্তেজ ত্বক থাকে
তবে বরফ অবশ্যই আপনার ত্বকে প্রাণবন্ত করতে সাহায্য করবে।
বড় মুখের রক্ত প্রবাহকে ত্বরান্বিত করে থাকে যা এটাকে ফ্লাস্ট বা প্রাণবন্ত
চেহারা দিয়ে থাকে। এছাড়াও আপনি যদি চোখের নিচে ক্রমাগত ডার্ক সার্কেল এবং
ফোলা ভাব নিয়ে চিন্তিত থাকেন। তাহলে শসার রস এবং গোলাপ জল জমাট করে আপনার
সমস্যাযুক্ত জায়গায় লাগালে আপনার চোখের নিচের অংশ উজ্জ্বল হবে। চোখের
নিচের অংশে ডার্ক সার্কেল রিমুভ করার জন্য শসার রস এবং গোলাপ জল খুব ভালো
কাজ করে থাকে।
এছাড়াও মুখের ওপর বরফ ঘষে যদি স্কিন কেয়ার করা হয় তাহলে স্কিন খুব ভালো
থাকে। এবং যারা প্রতিনিয়ত মুখে মেকাপ নিয়ে থাকে তারা যদি মুখে নিয়মিত বরফ
এপ্লাই করে থাকে তাহলে মেকআপ সুন্দরভাবে গ্লাইড হতে থাকে। বরফ দিয়ে ব্রণ
দূর করার উপায় জানা থাকলে তেমন ব্রনের সমস্যা হবে না।
কিভাবে ব্রনের ওপর বরফ প্রয়োগ করবেন
কিভাবে ব্রনের ওপর বরফ প্রয়োগ করবেন এটা আপনারা অনেকে জানেননা। বরফ দিয়ে
ব্রণ দূর করার উপায় অনেক রয়েছে।তবে তা কিভাবে প্রয়োগ করলে ভালো ফলাফল পাওয়া
যাবে এটা অনেকে জানে না। ব্রনের জন্য আমরা অনেক কিছু ব্যবহার করে থাকি বিশেষ
করে ত্বকের ব্রণের সমস্যা যদি হয়ে থাকে তাহলে আমাদের চিন্তার কোন শেষ থাকে
না। ব্রণ দূর করার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করে
থাকি। কিন্তু ঘরে থাকা বরফ দিয়ে আমরা আমাদের ব্রণ দূর করতে পারি।
বরফের ভালো বৈশিষ্ট্যের মধ্যে একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো প্রদাহবিরোধী যা ব্রণ
নিরাময়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বরফ ত্বকের ছিদ্র কে
ছোট করে দেয় এবং ত্বকের অতিরিক্ত তৈল উৎপাদন হ্রাস করে। আসুন কিভাবে ব্রণ
দূর করার ক্ষেত্রে বরফ ব্যবহার করা হয় সেটা জেনে নেওয়া যাক।
প্রথমেই একটি কাপড়ে দুই টুকরো বড় জড়িয়ে নিতে হবে এরপর ত্বকের ওপরে ১০ মিনিট
আলতোভাবে মালিশ করতে হবে। এটি করার ফলে ব্রনের যে লালচে ভাব থাকে সেটা
অনেকাংশে কমে যাবে এবং ব্রনের আকার গুলো ছোট হতে শুরু
করবে। প্রতিদিন বরফ ব্যবহারের ফলে ত্বকে ব্রণের সমস্যা দূর হয়ে
যায়। মুখে বরফ ব্যবহার করার ফলে শুধু ব্রণ দূর হয় না রোদে পোড়া
কালো দাগও দূর হয়ে যায়।
লেবু দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়
লেবু দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় অনেক কার্যকরী একটি উপায়। মুখের সৌন্দর্য নষ্ট করার
ক্ষেত্রে ব্রণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।সাধারণত যখন তরুণ অবস্থা
তখন ব্রণের প্রভাব বেশি দেখা যায়। আবার যাদের ত্বক অনেক বেশি
তৈলাক্ত তাদের ক্ষেত্রেও ব্রণের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। মুখ যদি ভালো হবে
পরিষ্কার না রাখা হয় তাহলে ব্রনের উপদ্রব বেশি হয়। বরফ দিয়ে ব্রণ দূর
করার উপায় ও কার্যকরী। তবে বরফের পাশাপাশি আমরা লেবু দিয়েও ব্রণ দূর করতে
পারি।
আমরা হয়তো অনেকেই জানি লেবু দিয়ে ব্রনের সমস্যা দূর করা যায়। তবে কিভাবে
সঠিক নিয়মে লেবু ব্যবহার করে ব্রণ ভালো করা যায় এটা হয়তো অনেকে জানি
না। আসুন কিভাবে লেবু ব্যবহার করতে হয় ও কোন কোন উপাদানের সাথে ব্যবহার
করতে হয় এ বিষয়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
লেবুর রস ব্যবহারের মাধ্যমেঃ লেবুর রসে যে অ্যাসিড রয়েছে সেটি ব্রন
দূর করতে খুব ভালো কাজ করে থাকে। একটি লেবু কেটে তার রস নিয়ে মুখে লাগাতে
হবে বিশেষ করে যে অংশে ব্রণ রয়েছে সেখানে একটু বেশি লাগাতে হবে তারপর কিছুক্ষণ
অপেক্ষা করতে হবে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখটা
সুন্দরভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে লেবুর রস ব্যবহার করলে মুখে ব্রনের সমস্যা
অনেক অংশে কমে যাবে।
লেবুর রস ও মধুঃ অনেক সময় লেবুর রস ও মধু ব্রণ দূর করার ক্ষেত্রে একসঙ্গে
ব্যবহার করলে ভালো কাজ করে থাকে।এক্ষেত্রে সামান্য পরিমাণ লেবুর রস ও
মধু একসাথে মিশিয়ে নিয়ে মুখে ব্যবহার করতে হবে। এরপর ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর
মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। অনেক সময় এ দুটি উপাদান একত্রে ব্যবহার করলে ত্বকের
কালচে দাগ দূর হয়ে যায়।
লেবুর রস ও কমলার রসঃ বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় অনেক
কার্যকরী। তবে বরফের পাশাপাশি লেবু ও ব্রণ দূর করতে অনেক কার্যকর
ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে সমপরিমাণ লেবুর রস কমলার রস একসঙ্গে নিয়ে
মুখে লাগাতে হবে। তারপর ২০ মিনিট মতো অপেক্ষা করতে হবে তারপর পানি দিয়ে মুখ
ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে যদি লেবুর রসও কমলার রস একত্রে ব্যবহার করা
যায় তাহলে ব্রণ কমে যাবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে পাবে।
মধু দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়
মধু দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক চলুন। বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার
উপায় অধিক কার্যকরী। বরফের পাশাপাশি মধু দিয়ে ত্বকের যত্ন নিলে ব্রণ হওয়ার
আশঙ্কা অনেক কম থাকে আবার যদি কারো ব্রনের অধিক সমস্যা থেকে থাকে তাহলে মধু
ব্যবহারের মাধ্যমে ব্রণের সমস্যা দূর হয়।
ব্রণ দূর করার জন্য যতগুলো কার্যকরী উপায় রয়েছে তার মধ্যে মধুর ব্যবহার একটি
কার্যকরী উপায় কিশোর কিশোরীর অবস্থায় ব্রণের সমস্যা খুব বেশি দেখা দিয়ে
থাকে। আবার যাদের তৈলাক্ত ত্বক তাদেরও ব্রণের সমস্যা বেশি হয়ে
থাকে। তবে মধুর মাধ্যমে যদি সঠিকভাবে যত্ন নেওয়া যায় তাহলে ব্রণের সমস্যা
থেকে মুক্তি মেলে। আপনারা ব্রনের সমস্যা দূর করার জন্য নিশ্চিন্তে মধু
ব্যবহার করতে পারেন।
আপনারা চাইলে সরাসরি আপনাদের ত্বকে মধু ব্যবহার করে থাকতে পারেন। তবে ব্রণ
যুক্ত স্থানে একটু বেশি পরিমাণ মধু ব্যবহার করতে হবে বা লাগাতে হবে। মধু
লাগানো হয়ে গেলে পুরো মুখটা ঢেকে রেখে দিতে হবে। এভাবে সারা রাত রেখে দিয়ে
সকালবেলা মুখটা ভালোভাবে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। তাহলে মুখের
ব্রণ অনেক কমে যাবে।
মধু ও নিম পাতার ব্যবহারঃ মধু ও নিম পাতা একসঙ্গে ব্যবহারের মাধ্যমে
ব্রণের সমস্যা দূর করা যায়।বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় অধিক
কার্যকরী। তবে মধুর নিম পাতা ব্যবহার করলেও ব্রণের সমস্যার সমাধান পাওয়া
যায়। এজন্য একটি পাত্রে নিম পাতার গুড়া নিতে হবে এবং প্রয়োজনমতো মধু
নিয়ে একটি প্যাক তৈরি করতে হবে এবং প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট মতো অপেক্ষা
করতে হবে।তারপর মুখ মুছে নিয়ে পরের দিন সকালে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে
হবে।
রাতে মুখে মধু মাখার উপকারিতা
রাতে মুখে মধু মাখার উপকারিতা বলে শেষ করা জাবেনা কেননা মধুর মধ্যে রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্ট
আন্টি সেপটিক এবং ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধই উপাদান। যার ফলে আমরা
যদি রাতে মধু ব্যবহার করে থাকি তাহলে আমাদের ত্বক উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত হয়ে
ওঠে। আমাদের ত্বকের কোষ গুলো রাতে খুব ভালোভাবে কাজ করে
থাকে। তাই দিনের বেলা থেকে রাতে যদি মধু মুখে মাখি তাহলে এর বেশি উপকারিতা
দেখা যায়
আমরা যদি রাতে সরাসরি মধু মুখে ব্যবহার করে থাকি তাহলে মধু ময়শ্চেরাইজারের কাজ
করে থাকে মধুতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা সকল ধরনের ত্বকের জন্য অনেক ভালো উপকার
করে থাকে।মুখে মধু ব্যবহার করার ফলে লোমকূপগুলো উন্মুক্ত হয়ে যায় এবং বিরক্তি
কর ব্ল্যাকহেডস থেকে দূরে রাখার পাশাপাশি সারা দিন ত্বক আদ্র রাখতে সাহায্য করে।
মধুতে বেশি পরিমাণ এন্টি ব্যাকটেরিয়াল এন্টিফাঙ্গাল থাকার কারণে মুখের
ত্বককে খুব বেশি পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে ও জীবাণুমুক্ত রাখতে সাহায্য
করে। তাই প্রতিদিন রাতে যদি মুখে মধু ব্যবহার করা যায় তাহলে ত্বক আদ্র
থাকার পাশাপাশি যে কোন ত্বকের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। বরফ
দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় কার্যকরী হলেও মধুর উপকারিতা কম নয় ত্বক ভালো
রাখার ক্ষেত্রে।
টুথপেস্ট দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়
টুথপেস্ট দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় একটি কার্যকারী পদ্ধতি। বরফ দিয়ে ব্রণ
দূর করার উপায় গুরুত্বপূর্ণ হলেও টুথপেস্ট দিয়ে ও ব্রণ দূর করা যায়। আমরা
অনেকে আমাদের দাঁতের যত্নের টুথপেস্ট ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু অনেকে জানিনা
যে দাঁতের যত্নের পাশাপাশি টুথপেস্ট দ্বারা আমাদের ত্বকের ও যত্ন নেওয়া
যায়। বিশেষ করে ব্রনের ক্ষেত্রে টুথপেস্ট এর ব্যবহার আশ্চর্য রকম সুফল
দেয়।
বিশেষ করে ব্যথাযুক্ত ব্রণের ক্ষেত্রে টুথপেস্ট দারুণভাবে কার্যকারী ভূমিকা পালন
করে থাকে। রাতে ঘুমানোর আগে ব্রনের ওপর টুথপেস্ট লাগিয়ে রেখে দিতে
হবে। পরের দিন সকালে উঠে দেখবেন ব্রনের ফোলা ভাব অনেক অংশে কমে গেছে।আবার
ব্যথাযুক্ত ব্রনের ব্যথা অনেক অংশে কমে গেছে । আবার অনেক ক্ষেত্রে ব্ল্যাকহেডস ও
হোয়াইটহেডস দেখা যায় সে ক্ষেত্রে টুথপেস্ট মুখে লাগিয়ে শুকিয়ে যাওয়ার পরে
তুলে ফেললে দেখবেন মুখ অনেক চকচক করছে।
হলুদ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়
হলুদ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় দারুন ভাবে কার্যকরী। আমরা আমাদের ব্রণের
সমস্যা সমাধান করার জন্য অনেক সময় অনেক কিছুই এপ্লাই করে থাকি তারপরেও মন মত ফল
পাই না। দিনশেষে সকল প্রচেষ্টায় হার মানে। বিশেষ করে মেয়েদের
ক্ষেত্রে এর সমস্যা বেশি দেখা যায়। ব্রণ মুখের সৌন্দর্য নষ্ট করে এজন্য
ব্রণের সমস্যা সমাধান করার জন্য সকলে মরিয়া হয়ে থাকে। ব্রণ দূর করার জন্য
প্রাকৃতিক উপায়ে কোন বিকল্প নেই।
ব্রণ দূর করার ক্ষেত্রে যতগুলো প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে তার মধ্যে হলুদ একটি
গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।হলুদের মধ্যে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ত্বকের
ব্রণের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে থাকে। আমরা যদি হলুদের সঙ্গে নিম
পাতা ব্যবহার করে থাকি তাহলে আমাদের মুখের ব্রণের সমস্যা সমাধান পাওয়া
যাবে। এজন্য কয়েকটি নিমপাতা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে হবে তারপর নিম
পাতার সঙ্গে হলুদ কিংবা হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে নিতে হবে।
হলুদ ও নিম পাতা একসঙ্গে মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করার পরে প্যাকটি মুখে এপ্লাই
করতে হবে। তারপর মুখটা যখন পুরোপুরি শুকিয়ে যাবে তখন হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে
মুখটা ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এ প্যাকটি যদি সপ্তাহে তিনবার মতো ব্যবহার
করা যায় তাহলে দেখা যাবে ব্রণের সমস্যা অনেক দূর হয়ে গেছে। বরফ দিয়ে ব্রণ
দূর করার উপায় এর পাশাপাশি এটিও কার্যকারী উপায়।
নিম পাতা ও কাঁচা হলুদের মুখে দিলে কি হয়
নিম পাতা ও কাঁচা হলুদের ব্যবহার অধিক কার্যকরী ত্বক ভালো রাখার
জন্য। আমাদের দেশে এখনো একটি পুরনো কথা আছে। যার বাড়িতে নিমগাছ আছে
সেই বাড়িতে একজন ডাক্তার বাস করে। কারণ নিম পাতার মধ্যে অনেক ঔষধি গুনাগুন
রয়েছে। নিম পাতা মানুষের চুল শরীর ও ত্বকের ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন
করে থাকে। তবে কাঁচা হলুদের গুরুত্ব কিন্তু কম নয় শরীরের সকল কিছু সুন্দর
সুস্থ রাখতে কাঁচা হলুদ ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ একত্রে ব্যবহার করলে অনেক ধরনের উপকার পাওয়া
যায়। এত বেশি এ দুটি উপাদান কার্যকরি যা বলার ভাষা নেই। নিম পাতা ও
কাঁচা হলুদ ব্লেন্ড করে একসঙ্গে মুখে এপ্লাই করলে মুখের ব্রণের সমস্যার সমাধান
হয়।ত্বকের যে কোন ধরনের বলিরেখা রিমুভ করতে সাহায্য করে। কাঁচা হলুদের
মধ্যে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা নানা সমস্যার সমাধান করে থাকে।
নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ একত্রে শরীরে ব্যবহার করে থাকলে এলার্জি জনিত যত রকমের
সমস্যা চুলকানি ফুস কুড়ি ইত্যাদি দূর করতে সাহায্য করে থাকে। সুস্থ ও
সুন্দর ত্বক পাওয়ার জন্য যদি নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ দিয়ে একটি
কার্যকারী বড়ি বানানো যায় আর এটা নিয়মিত খাওয়ার এক মাসের মধ্যে আপনি
ফলাফল বুঝতে পারবেন।
সে ক্ষেত্রে নিমপাতা মিহি করে বেটে নিতে হবে কাঁচা হলুদ বেটে নিতে হবে। পরিমাণ
মতো পানি এড করতে হবে তারপর আলাদা আলাদা করে ছোট ছোট বড়ি তৈরি করতে। হবে সেগুলো
রোদে শুকিয়ে বক্সে রেখে দিতে হবে এবং প্রতিদিন সকালে পানি দিয়ে
খেয়ে নিতে হবে। তাহলে আপনি ফলাফল নিজ চোখে দেখতে পাবেন। বরফ দিয়ে
ব্রণ দূর করার উপায় কার্যকরী তেমন কাঁচা হলুদও নিম পাতাও অধিক কার্যকরী।
বেসন দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়
বেসন দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় অনেক কার্যকরী। বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার
উপায় যেমন অনেক কার্যকরী ঠিক তেমন বেসন ও অনেক কার্যকরী। ত্বকের
যত্নে সেই আদিকাল থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে বেসন। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা
নিরসনে বেসনের জুড়ি মেলা ভার। বেসনের ফেসপ্যাক নিয়মিত ব্যবহার করার
মাধ্যমে ব্রণের সমস্যা দূর হয়ে যায়।
আসুন আমরা জেনে নেই কিভাবে বেসনের প্যাক তৈরি করতে হয়। প্রথমে এক চা চামচ
বেসন চন্দন গুড়া ও দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে এরপর এক চিমটি হলুদ ও পানি
মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। ফেসপ্যাক এর তৈরি হয়ে গেলে সারা
মুখে এপ্লাই করতে হবে। এরপর মুখ শুকিয়ে গেলে তা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে
হবে। এরকম করে যদি প্রতিনিয়ত বেসন ব্যবহার করা হয় তাহলে মুখে ব্রনের সমস্যা দূর
হয়ে যাবে।
ত্বকে বরফ প্রয়োগের ভুলগুলো
ত্বকে বরফ ব্যবহারের ভুলগুলো আমাদের জানা প্রয়োজন। বরফ ত্বকের অনেক উপকার
করে থাকে। আমরা যদি সঠিক নিয়মে বরফ ব্যবহার করে থাকি তাহলে তা আমাদের খুবই
উপকারী। ব্রণ দূর করার ক্ষেত্রেও বরফ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে
আমরা যদি ভুল ভাবে ত্বকের উপর বড় প্রয়োগ করে থাকি। তাহলে আবার ত্বকের যেকোনো
ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ত্বকে বরফ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে অবশ্যই সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। বিশেষ
করে সংবেদনশীল অংশে বেশি চাপাচাপি করে বরফ প্রয়োগ করা যাবে না। এছাড়াও পুরো
মুখে ব্যবহারের করার সময় বেশি ঘষাঘষি করে বড় ব্যবহার করা যাবে না। নরম কাপড়ে
বরফ পেঁচিয়ে আলতো ভাবে ব্যবহার করতে হবে।
শেষ কথা
বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় প্রিয় পাঠক আশা করি আপনারা এই আর্টিকেলটি অনেক
মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। ব্রনের সমস্যা প্রায় সকলের হয়ে থাকে বিশেষ করে তরুণ
বয়সে এর সমস্যাটি বেশি দেখা দেয়। আবার যাদের ত্বক বেশি তৈলাক্ত তাদের ক্ষেত্রেও
ব্রণের সমস্যা ব্যাপকভাবে দেখা দেয়। এই ব্রণের সমস্যার সমাধান করার জন্য আমরা
অনেক ধরনের প্রসাধনির ব্যবহার করে থাকি।
তবে আমরা ঘরে থাকা অতি সাধারণ একটি উপাদান বরফ দিয়ে আমাদের ব্রণের সমস্যা দূর
করা যায় এ বিষয়টি আপনাদেরকে স্পষ্ট ভাবে আমাদের লেখনের মাধ্যমে চেষ্টা করেছি।
আমাদের এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের বিন্দু পরিমাণ কোন উপকার সাধন করে থাকে তাহলে
আমাদের সার্থকতা।এ ধরনের আর্টিকেল পড়তে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করতে ভুলবেন
না।
সুন্দর
শুকরিয়া