ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায় - ৯ টি কার্যকরী টিপস
কিভাবে চিকন হওয়া যায়ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায় অনেক রয়েছে। এটি বর্তমানে পরিচিত একটি রোগ,
যা অনেক পরিবারেই প্রভাবিত। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে, নিয়মিত জীবনযাপন এবং
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করা আবশ্যক।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ না থাকলে অনেক ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে,
এমনকি কিডনিতেও প্রভাব পড়ে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলার পাশাপাশি
ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায়ও অনুসরণ করা জরুরি।
পেজ সূচিপত্রঃ ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায়
- ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায়
- ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
- সুগার কন্ট্রোল করার উপায়
- খালি পেটে ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
- খালি পেটে ডাইবেটিস মাপার নিয়ম
- ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময়ের ঔষধ আবিষ্কার
- তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
- ডায়াবেটিস কমানোর খাবার
- ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবারের তালিকা
- শেষ কথা
ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায়
ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায় অনেক ধরনের রয়েছে। বর্তমানে প্রায়
অধিকাংশ পরিবারের সদস্য ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এই রোগটি এখন খুব বেশি দেখা
যাচ্ছে। এই রোগটি পরিচিত হলেও এই রোগটির ভয়াবহতা আছে রক্তে যদি
শর্করার পরিমাণ একদম বেশি হয়ে যায় তাহলে তা অনেক সময় কিডনির উপর প্রভাব
বিস্তার করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়
তবে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি সুখবর হলো ডাক্তারের পরামর্শর পাশাপাশি যদি
প্রাকৃতিক উপায় ফলো করে তাহলে ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে রাখা যায় বা নিরাময় সম্ভব
হয়। তবে অনেকে জানে না ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক নিয়ম উপায় গুলো কি
কি। আসুন আমরা জেনে নেই কিভাবে প্রাকৃতিক উপায়ের মাধ্যমে ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
কোন ব্যক্তি যদি ডায়াবেটিস আক্রান্ত হয় তাহলে সে ডাবের পানি গ্রিন টি
ব্ল্যাক কফি এগুলো গ্রহণ করবে। কোন ব্যক্তি যদি তার দৈনন্দিন খাবারের প্রতি
সতর্কতা অবলম্বন করে তাহলে অনেকাংশে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব
হয়। কেননা খাদ্য সম্পর্কে সচেতনতা অবলম্বন করলে অতিরিক্ত ওজন হওয়ার
সম্ভাবনা থাকে না। ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক অনেক উপায় সমূহ।
- ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
- সুগার কন্ট্রোল করার উপায়
- খালি পেটে ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
- খালি পেটে ডায়াবেটিস মাপার উপায়
- ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময়ের ঔষধ আবিষ্কার
- তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
- ডায়াবেটিস কমানোর খাবার
- ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবারের তালিকা
ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমানোর উপায় রয়েছে। বর্তমানে সারা বিশ্বে নীরব
ঘাতকের মত থাবা বসিয়েছে ডায়াবেটিস।ডায়াবেটিস এটি একটি বংশগত রোগ।
কিন্তু টাইপ টু ডায়াবেটিস এখন অধিকাংশ মানুষেরই দেখা যাচ্ছে। যাদের
ডায়াবেটিস অনেক বেশি থাকে তাদের হার্ট, চোখ, লিভারের মত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের
ক্ষতি হয়ে থাকে।
ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায় জানা থাকলে একদম রোগীকে ওষুধের উপর নির্ভরশীল
হতে হয় না। বিশেষ করে খাদ্য অভ্যাসের অনেক পরিবর্তন করতে হয়। কেননা
সঠিক খাবার গ্রহণ করার ফলে ডায়াবেটিস নিরাময় করা সম্ভব
হয়।ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগী যদি
প্রতিদিন চিনি, শস্য, মিষ্টি জাতীয় ও কার্বোহাইড্রেট খাবার
গ্রহণের পরিবর্তে ক্যালরির চাহিদা মেটাতে প্রোটিন ও চর্বি জাতীয় খাবার গ্রহণ করে
তাহলে ডায়াবেটিস দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়ে থাকে।
একজন ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীকে নৌকার ডায়েট গ্রহণ করতে হবে বেশি পরিমাণ
কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করা যাবে না।শুধুমাত্র সবজিতে যতটুকু পরিমাণ কার
থাকবে ঠিক ততটুকু সে গ্রহণ করবে।কার্বোহাইড্রেট প্রচুর পরিমাণ রক্তে শর্করার
পরিমাণ ও চিনির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাই আমরা যদি কার্বোহাইড্রেট গ্রহণের
ব্যাপারে সচেতন থাকি তাহলে ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
সুগার কন্ট্রোল করার উপায়
সুগার কন্ট্রোল করার উপায় রয়েছে। রক্তের শর্করার মাত্রা যাতে ঠিক থাকে
এজন্য শরীর অক্লান্ত পরিশ্রম করে যায়। কিন্তু আমরা যদি খারাপ খাদ্য অভ্যাসে
অভ্যস্ত হয়ে যায় তাহলে দিন দিন রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে
থাকে। তখন রক্তকে ঘন করে তুলতে পারে এবং ডায়াবেটিসের মত নীরব
রোগের সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট বা চিনি কখনো বেশি গ্রহণ করা যাবে
না।
বেশি পরিমাণে গ্রহণ করলে ধীরে ধীরে তা বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করে। এক
পর্যায়ে আপনাকে তৃষ্ণার্ত এবং ক্লান্ত করে তোলে, ধীরে ধীরে হার্ট অ্যাটাক কিডনি
বা স্নায়বিক সমস্যা সহ গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে
পারে। আমরা যদি আমাদের খাদ্য তালিকায় কয়েকটি উপাদান যোগ করি তাহলে
সুগার কন্ট্রোল করা সম্ভব হবে। আসুন জেনে নেই কি কি খাবার খাদ্য তালিকায় যোগ
করতে হবে।
লেবুঃ আমরা অনেকে লেবু খুব পছন্দ করি। এটা কম বেশি প্রায় সকলের
বাড়িতেই থাকে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে এটি
জাদুকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। লেবু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এবং কম গ্লাইসেমিক
সূচক সমৃদ্ধ তাই খাবারের তালিকায় লেবু রাখা সকল ডায়াবেটিস রোগীর জন্য
গুরুত্বপূর্ণ।লেবুতে থাকা ফাইভার কার্বোহাইড্রেট হজমকে ধীর করে দেয়।
খাবার গ্রহণ করার পরে হঠাৎ চিনির উপস্থিতি লেবু প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে
থাকে। তাই আমরা যদি আমাদের খাদ্য তালিকায় লেবু রাখি তাহলে ব্লাড সুগার
নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে । এক্ষেত্রে খাবারের আগে বা পরে এক গ্লাস লেবু পানি পান
করা খুবই উপকারী। তাছাড়া জাম দারুচিনি এগুলো ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক
উপায়ে এর মধ্যে পড়ে থাকে।
খালি পেটে ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
খালি পেটে ডায়াবেটিস কমানোর উপায় গুরুত্বপূর্ণ। ডায়াবেটিস কমানোর
প্রাকৃতিক উপায় গুলোর মধ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। সকালে ঘুম থেকে
উঠে কেউ যদি এক গ্লাস লেবু পানি পান করে তাহলে তার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
আসে। সকালে যেকোনো আজেবাজে জিনিস না খেয়ে একগ্লাস লেবু পানি পান করার
মাধ্যমে দিন শুরু করলে ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে অনেক ভালো হয়।
খালি পেটে এলোভেরার জুস খুব ভালো কাজ করে থাকে। এলোভেরা খেতে তেতো
লাগলে এলোভেরার মধ্যে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ইনসুলিন ক্ষরণে সাহায্য
করে। কেউ যদি প্রতিদিন খালি পেটে এলোভেরা জুস খায় তাহলে তা রক্তে শর্করার
নিয়ন্ত্রণ অবশ্যই থাকবে।
করোলা খেতে অনেক তেতো তাই খাবারের তালিকায় অনেকে করলা রাখতে চান না তবে সুগার
নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এই করলার জুস খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে
থাকে। তাই কেউ যদি প্রতিদিন খালি পেটে করলার জুস গ্রহণ করে থাকে তাহলে তার
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে বা কমতে শুরু করবে। আবার মেথি ভেজানো পানি
খেলেও খালি পেটে সুগার নিয়ন্ত্রণ থাকে এবং ডায়াবেটিস কমে।
খালি পেটে ডায়াবেটিস মাপার উপায়
খালি পেটে ডায়াবেটিস মাপার উপায়। ডায়াবেটিস মূলত খালি পেটে মাপা হয়ে
থাকে। খালি পেটে ডায়াবেটিস মাপার সবচেয়ে জনপ্রিয়, সঠিক, ও জনপ্রিয়
পদ্ধতি হলো ওরাল গ্লুকোজ টেস্ট বা ওজিটিটি। এই টেস্টের মাধ্যমে রোগীকে
সকালে খালি পেটে রক্ত পরীক্ষা করা হয়। তারপর আবার শরবত পানের দুই ঘন্টা পরে
আবার রক্তে গ্লুকোজ পরীক্ষা করে দেখা হয়।এই পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে
প্রায় নির্ভুলভাবে ডায়াবেটিস নির্ণয় করা হয়ে ।
তবে এই টেস্ট করার ক্ষেত্রে রোগীরা একটু বিরম্বনার শিকার হন। কেননা প্রায় ৭
থেকে ৮ ঘন্টা না খেয়ে থাকতে হয় তারপরে একবার রক্ত দিতে হয়। তারপর
আবার কিছু খাওয়ার দুই ঘন্টা পরে আবার রক্ত দিতে হয়। আর ফলাফল পাওয়ার
জন্য আবার বসে থাকতে হয়। এটি ছাড়াও আরেকটি পদ্ধতি রয়েছে, এইচবিএ১ সি এটির
মাধ্যমেও ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষা দিনের যেকোন সময় করা
যায়।ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায় গুলো মেনে চললে ডায়াবেটিস রোগীর জন্য
ভালো হয়।
ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময়ের ঔষধ আবিষ্কার
ডায়াবেটিস চিরতরে নিরাময়ের ঔষধ আবিষ্কার। ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে বিভিন্ন রকম। বর্তমানে ডায়াবেটিস নিরাময়ের ঔষধ আবিষ্কার হয়েছে এরকম দাবি করে চীনা বিজ্ঞানিরা।আমরা অনেক আগে থেকেই জেনে এসেছি যে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় কিন্তু তা পরিপূর্ণভাবে নিরাময় করা সম্ভব নয়।
কিন্তু বর্তমানে চীনা গবেষকরা দাবি করছেন তারাই এমন এক অভিনব কোষ থেরাপি
উদ্ভাবন করেছে যা গ্রহণের ফলে ডায়াবেটিস সম্পূর্ণরূপে নিরাময় সম্ভব।
তারা একজন ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর ওপর এই থেরাপি প্রয়োগ করে। ফলাফল হিসেবে
তারা দেখতে পান যে রোগীটি সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হয়ে গেছে এমন কি রক্তের শর্করার
পরিমাণ উঠানামা পর্যন্ত করেনি। এ বিষয়ে বিস্তারিত খবর গত ৩০ এপ্রিল
ডিসকভারি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল।
তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস কমানোর উপায়
তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস কমানোর উপায় অনেকগুলো রয়েছে। ডায়াবেটিস কমানোর
প্রাকৃতিক উপায় মেনে চললে ডায়াবেটিস তাড়াতাড়ি নিয়ন্ত্রণে আসে। যাদের
ডায়াবেটিস রয়েছে তাদেরকে অবশ্যই নিয়মিত ব্লাড সুগার চেকআপ করে নিতে
হবে।প্রতিমাসে একবার বা তিন মাসে অন্তত একবার হলেওএই পরীক্ষা করতে
হবে। কারণ ব্লাড সুগার রিপোর্ট অনুযায়ী যেকোনো চিকিৎসা গ্রহণ করতে
হবে।
সুষম খাবারঃ ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীরা অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ
করবেন। কেননা ডায়াবেটিস রোগের নিয়ন্ত্রণ অনেকটা খাবারের ওপর প্রভাব
বিস্তার করে থাকে। একজন রোগীকে অবশ্যই খাবারের সঠিক তালিকা তৈরি করতে হবে
এবং তা মেনে চলতে হবে। তেল যুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না এবং পরিমাণে অল্প
খাবার গ্রহণ করতে হবে।
শরীরচর্চাঃ ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে শরীর চর্চা করার কোন বিকল্প
নেই। কেননা শরীরচর্চার মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকে। শরীর
চর্চার মাধ্যমে মানসিক এবং শারীরিক উভয় ধরনের প্রশান্তি পাওয়া
যায়। শরীর চর্চার মাধ্যমে মানসিক চাপমুক্ত হওয়া যায় এবং রক্তের শর্করার
পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। যার ফলে ডায়াবেটিস দ্রুত কমতে থাকে।
কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার পরিহারঃ কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার
পরিহার করতে হবে। বাবা আলু ভাত চিনি এগুলো আমাদের দেহে দ্রুত চিনি
সরবরাহ করে থাকে। তাই এই জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে। শাকসবজিতে যে
পরিমাণ কাজ থাকবে ততটুকু গ্রহণ করতে হবে।
ওজন নিয়ন্ত্রণঃ ডায়াবেটিস যদি তাড়াতাড়ি কমাতে হয় তাহলে অবশ্যই ওজনের
দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কোন অবস্থাতে অতিরিক্ত ওজন হতে দেওয়া যাবে
না। অতিরিক্ত ওজনের ফলে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের রোগের সৃষ্টি হয়ে থাকে তাই
একটা মানুষের আদর্শ ওজনের দিকে নজর রাখা জরুরি।
ডায়াবেটিস কমানোর খাবার
ডায়াবেটিস কমানোর খাবার অনেক রয়েছে। যেমন পালংশাক, পাতাকপি শালগম
ফুলকপি বাঁধাকপি লেটুসপাতা করলা ইত্যাদি খাবারে ক্যালরি এবং কার্বোহাইড্রেট এর
পরিমাণ অনেক কম তাই এই ধরনের খাবার অনেক বেশি গ্রহণ করলেও
রক্তের শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার কোন আশঙ্কা নেই। তাই আমরা
নিশ্চিন্তে সবুজ শাকসবজি গ্রহণ করতে পারি।
এক গবেষণায় দেখা যায় যে সবুজ শাকসবজিতে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত ডায়াবেটিস কমানো
সম্ভব।এছাড়াও লেবু , মালটা , এ জাতীয় ফল মূল ডায়াবেটিস প্রতিরোধে
কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। কোন মানুষের শরীরে যদি ভিটামিন সি এর অভাব
দেখা দেয় সে ক্ষেত্রেও ডায়াবেটিস হওয়ার প্রবণতা অনেকাংশে বেড়ে
যায়। ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায় গুলো যদি মেনে চলি তাহলে
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবারের তালিকা
ডায়াবেটিস রোগীর নিষিদ্ধ খাবারের তালিকা। ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক
উপায় গুলোর মধ্যে এটি একটি অন্যতম উপায়। কারণ খারাপ খাদ্য গ্রহণের ফলে
ডায়াবেটিস অনেক বৃদ্ধি পেয়ে যায়। তাই খাবারের প্রতি অনেক সতর্ক হতে
হবে।বিশেষ করে চিনি, তেল জাতীয় খাবার গুলো পরিহার করতে হবে।
ফাস্টফুড, কোল্ড ড্রিঙ্কস, এ জাতীয় খাবার গ্রহণ করা যাবে না।
এছাড়া ও বেশি কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করা যাবে না চাল, আটা, আলু, এ ধরনের খাবার
খুব বেশি গ্রহণ করা যাবে না।এছাড়াও আনারস ,পাকা আম, কলা প্রচুর পরিমাণে একসাথে গ্রহণ করা যাবে না। কিন্তু একেবারে নিষেধ নয় দিনে ছোট একটা বা মাঝারি একটা পাকা কলা খাওয়া যাবে। পাকা আম এক ফালি থেকে দুফালি খাওয়া যাবে এর বেশি গ্রহণ করা যাবে না।
মিষ্টি জাতীয় ফল যদি অধিক পরিমাণে খায় তাহলে রক্তের চিনির পরিমাণ বেশি হয়ে যাবে এবং ডায়াবেটিস বিপদসীমা অতিক্রম করবে। আপেল ও খুব বেশি একসাথে খাওয়া যাবেনা কারণ আপেলও মিষ্টি ফল। বেশি চর্বিযুক্ত খাবার এবং তেলে ভাজা খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে যতদূর পারা যায় কারণ ভাঁজাপোড়া খাবারে অনেক ফ্যাট এর পরিমাণ বেশি থাকে যা আমাদের শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টরেল সৃষ্টি করে।
দুধের তৈরি খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া যাবে না। শুকনো ফল অর্থাৎ ড্রাই ফুড বেশি খাওয়া যাবেনা বরং না খাওয়াই ভালো। কাঁচা লবণ খাওয়া যাবেনা কিংবা তরকারিতে বেশি লবণ খাওয়া যাবেনা। প্রসেসিং করে রাখা মাংস খাওয়া যাবেনা। দুধ চা দুধ কফি ও কিসমিস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে যতটা পারা যায়। সংক্ষেপে খাবারের তালিকা বলতে গেলে বলা যায় চিনি ও মিষ্টি জাতীয় খাবার , চর্বিযুক্ত ও ভাজাপোড়া খাবার , দুধের তৈরি যে কোন খাবার কাঁচা লবণ ড্রাই ফুড প্রসেসিং মাংস দুধ চা ও কফি ও কিসমিস
শেষ কথা
প্রিয়পাঠক আশা করি আপনারা পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং বুঝতে পেরেছেন। আমরা আমাদের লিখনির মাধ্যমে আপনাদেরকে সর্বদা অজানা বিষয় সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করে থাকি। ডায়াবেটিস কমানোর প্রাকৃতিক উপায় গুলো সম্পর্কে উক্ত আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
ডায়াবেটিস কমানোর কিছু প্রাকৃতিক উপায় গুলো যদি মেনে চলা যাই তাহলে অবশ্যই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।আপনাদের যদি এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করতে ভুলবেন না।কারন আমরা প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য সম্পর্কে নতুন নতুন আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।
Onek upokari post