কিভাবে চিকন হওয়া যায় - ১০টি কার্যকরী টিপস
পেজ সূচিপত্রঃ কিভাবে চিকন হওয়া যায়
- কিভাবে চিকন হওয়া যায়
- সঠিক সময়ে সকালের নাস্তা
- ওজন কমানোর খাদ্য তালিকা
- চিকন হওয়ার জন্য শরীর চর্চা
- চিকন হতে ফাস্টফুড ও কোমল পানীয় বর্জন
- চিকন হতে পর্যাপ্ত পানি গ্রহণ
- চিকন হতে পর্যাপ্ত ঘুম
- চিকন হতে নিজেকে মানসিক চাপমুক্ত রাখুন
- কোন কোন সবজি খেলে ওজন কমে
- সকালে কি খেলে ওজন কমে
- কোন কোন ফল খেলে ওজন কমে
কিভাবে চিকন হওয়া যায়
আরো পড়ুনঃ ওজন কমানোর জন্য ১০ টি কার্যকরী উপায়
- সঠিক সময়ে সকালের নাস্তা
- ওজন কমানোর খাদ্য তালিকা
- চিকন হওয়ার জন্য শরীর চর্চা
- চিকন হতে ফাস্টফুড ও কমল পানীয় বর্জন
- চিকন হতে পর্যাপ্ত পানিগ্রহণ
- চিকন হতে পর্যাপ্ত ঘুম
- চিকন হতে নিজেকে মানসিক চাপমুক্ত রাখুন
- কোন কোন সবজি খেলে ওজন কমে
- সকালে কি খেলে ওজন কমে
- কোন কোন ফল খেলে ওজন কমে
সঠিক সময়ে সকালের নাস্তা
ওজন কমানোর খাদ্য তালিকা
ওজন কমানোর খাদ্য তালিকা যদি আমরা মেনে চলি তাহলে চিকন হওয়া সম্ভব
হবে। চিকন হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ খাদ্য
তালিকা। আমরা যদি কি ধরনের খাবার গ্রহণ করতে হবে এই বিষয়টা না জেনে থাকি
তাহলে কখনোই ওজন কমিয়ে চিকন হতে পারব না। এজন্য খাবারের তালিকায় কি কি
রাখতে হবে এবং কি কি রাখা যাবে না এ বিষয়ে জ্ঞান থাকতে হবে।
কিভাবে চিকন হওয়া যায় যাদের মনে এ প্রশ্নটা অনেক বেশি তাদেরকে অবশ্যই একটি ভালো
খাদ্য তালিকা মেনে চলতে হবে। খাদ্য তালিকায় সর্বপ্রথম যে জিনিস গুলো রাখতে
হবে সেটি হলো পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন শাকসবজি ফলমূল এবং হোল গ্রেইন যুক্ত
খাবার। আর কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ কম রাখতে হবে। প্রোটিন যুক্ত খাবার
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
প্রোটিনের ভালো উৎস হল মাছ, মাংস, ডিম, ডাল, ছোলা, ইত্যাদি। যারা চিকন হতে
চায় তাদের খাদ্য তালিকায় এই খাবারগুলো প্রতিদিন রাখতে হবে। এ খাবারগুলো
যদি প্রতিদিন নিয়ম করে গ্রহণ করা যায় এবং বাজে খাবারগুলো যদি বর্জন করা যায়
তাহলে ওজন কমানো সম্ভব হবে ।
চিকন হওয়ার জন্য শরীর চর্চা
চিকন হওয়ার জন্য শরীরচর্চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোন ব্যক্তি যদি চিকন হতে
চায় তাহলে তাকে অবশ্যই শরীরচর্চা করতে হবে। শুধু মোটা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে
নয় বরং সকল মানুষের জন্য শরীরচর্চা করা অতীব ও প্রয়োজনীয়। কেননা
শরীরচর্চার মাধ্যমে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শরীর
সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে।
সকল মানুষের জন্য প্রতিদিন ৩০ মিনিট থেকে এক ঘন্টা পর্যন্ত শরীর চর্চা করা
প্রয়োজন। শরীরচর্চা বিভিন্নভাবে করা যায় যেমন হাটা, চালানো যোগব্যায়াম,
ইত্যাদি। শরীর চর্চা করলে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং শরীরের জমে থাকা
ক্ষতিকর ফ্যাট বার্ন হয়। নির্দিষ্ট সময়ে শরীর চর্চা করা যায় তাহলে ফ্যাট
বার্ন হয়ে আকর্ষণীয় শারীরিক গঠন তৈরি করা যায়।
ব্যায়াম করার সবচাইতে উত্তম সময় হলো খালি পেটে সকালে এবং বিকালে। প্রতিদিন
নির্দিষ্ট সময়ে ব্যায়াম করলে অত্যাধিক ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। যা চিকন
হওয়ার জন্য অধিক ভূমিকা পালন করে থাকে। কিভাবে চিকন হওয়া যায় এ বিষয়ে
নিয়ে যারা দুশ্চিন্তায় আছেন তারা অবশ্যই শরীরচর্চা করবেন তাহলে আপনি অবশ্যই
চিকন হতে পারবেন খুব অল্প সময়ের মধ্যে।
চিকন হতে ফাস্টফুডো কমল পানীয় বর্জন
চিকন হতে ফাস্টফুড ও কোমল পানীয় বর্জন করতে হবে। বর্তমানে আমাদের ফাস্টফুড
ও কোমল পানীয় গ্রহণ করার ফলে এই ধরনের সমস্যা বেশি দেখা দিচ্ছে। যাদের মোটা
হওয়ার সমস্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। তারা কিভাবে চিকন হওয়া যায় এটি নিয়ে
দুশ্চিন্তায় পড়ে আছে তাদের জন্য অবশ্যই ফাস্ট ফুড ও কোমল পানীয় বর্জন
করতে হবে।
এই খাবারগুলো অত্যাধিক মুখরোচক হলেও আমাদের শরীরের জন্য তা মারাত্মক
ক্ষতিকর। ফাস্টফুড খাবার তৈরিতে ফ্যাট জাতীয় উপকরণ অনেক বেশি ব্যবহার করা
হয়ে থাকে। যা আমাদের শরীরে ফ্যাট জমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
থাকে। আর কোমল পানি হতে থাকে প্রচুর পরিমাণ চিনি এবং
কার্বন-ডাই-অক্সাইড। এসব খাবার যদি আমরা দীর্ঘদিন গ্রহণ করতে থাকে তাহলে
আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ বাসা বাঁধে।
চিকন হতে পর্যাপ্ত পানি গ্রহণ
চিকন হতে পর্যাপ্ত পানি গ্রহণ করতে হবে। কিভাবে চিকন হওয়া যায় যারা এ বিষয়ে চিন্তিত তারা অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি গ্রহণ করবেন। কেননা পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি গ্রহণ চিকন হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। একজন মানুষের জন্য ৮ থেকে ১২ গ্লাস পানি প্রতিদিন পান করতে হবে।
চিকন হতে পর্যাপ্ত ঘুম
চিকন হতে পর্যাপ্ত ঘুম এর প্রয়োজন অপরিসীম। অনিয়ম ঘুম মোটা হওয়ার
ক্ষেত্রে খুব বেশি প্রভাব বিস্তার করে। কিভাবে চিকন হওয়া যায়
যাদের প্রশ্ন তাদেরকে অবশ্যই নিয়মমাফিক ভাবে পর্যাপ্ত ঘুমাতে
হবে। ভালো ঘুমের মাধ্যমে আমাদের শরীরে যে ঘাটতি গুলো থাকে সেগুলো পূরণ হয়ে
যায় এবং ঘুমের মাধ্যমে আমরা সারাদিন কাজ করার শক্তি পেয়ে থাকে।
একটা মানুষের জন্য প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুম অপরিহার্য। অবশ্যই রাত ১০
টা থেকে ১১ টার মধ্যে ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। দিনের বেলা না
ঘুমালে ভালো। বিশেষ করে খাদ্য গ্রহণের পরে না ঘুমানো ভালো । কারণ খাবার
খাওয়ার পর ঘুমালে আমাদের শরীরে তা ফ্যাট জমাতে সাহায্য করে।
চিকন হতে নিজেকে মানসিক চাপমুক্ত রাখুন
চিকন হতে নিজেকে মানসিক চাপমুক্ত রাখুন এটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক বেশি
দুশ্চিন্তা চিকন হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তাই যতটা সম্ভব
মানসিক চিন্তা মুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে অত্যাধিক চিন্তার কারণে আমাদের পরিপাক
ক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়ে খাদ্য হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে।কিভাবে চিকন হওয়া
যায় এ নিয়ে চিন্তিত ব্যক্তিরা অবশ্যই নিজেকে মানসিক চাপমুক্ত রাখবেন।
মানুষের চিন্তা করার জন্য খাবারগুলো শক্তিতে অনেক সময় রূপান্তরিত না হয়ে শরীরের
ফ্যাটের সৃষ্টি করে থাকে। দুশ্চিন্তা শুধু চিকন হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা প্রদান
করে থাকে না বরং বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করতেও ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই সর্বদা
মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে।
কোন কোন সবজি খেলে ওজন কমে
কোন কোন সবজি খেলে ওজন কমে সেটা জানা দরকার। কিভাবে চিকন হওয়া যায় এটাই এখন অনেক মানুষেরই প্রশ্ন।যারা ওজন কমিয়ে চিকন হতে চান তারা অবশ্যই সবজি বেশি পরিমাণ খাবেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক কি কি সবজি খেলে চিকন হওয়া যায় এবং ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার কোন আশঙ্কা থাকে না।
পালং শাকঃ পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিকর উপাদান
বিদ্যমান। পালং শাক খেলে পেট অধিক সময় ধরে ভরা থাকে এবং ক্ষুধার পরিমাণ কম
লাগে। তাই প্রতিদিন আমাদের খাদ্য তালিকায় পালং শাক যোগ করা
উচিত। গবেষকের মতে পালং শাক আমাদের ৯৫% খাওয়ার ইচ্ছা কমিয়ে দেয়।
শসাঃ আমরা অনেকেই জানি যে শসা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি
সবজি। কেন না শসা ফ্যাট বার্ন করতে সাহায্য করে থাকে। শসা শরীরের পানের
পরিমাণ বৃদ্ধি করে। শসার মধ্যে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে এটা শরীর থেকে অনেক দূষিত
পদার্থ বের করে দিতে পারে।
লাউঃ ওজন কমানোর ক্ষেত্রে লাউ নামক শব্দটি খুবই উপকারী একটি
সবজি। কারণ এতে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম থাকে এবং পানির পরিমাণ
অনেক বেশি থাকে। এ কারণে লাউকে ওজন কমানোর আদর্শ খাবার হিসেবে ধরা
হয়। লাউয়ের মধ্যে থাকে পানি ও আঁশজাতীয় পদার্থ যা দ্রুত পেট ভরিয়ে
দিতে সাহায্য করে এবং ক্যালরি গ্রহণের ইচ্ছা কমিয়ে দেয়। এছাড়াও গাজর,
করলা , ব্রকলি , ফুলকপি , ওজন কমাতে সাহায্য করে।
সকালে কি খেলে ওজন কমে
সকালে কি খেলে ওজন কমে তা জানা সকলের প্রয়োজন। কিভাবে চিকন হওয়া যায় যারা এ বিষয়ে জানতে চান তারা অবশ্যই সকালে জিরা ভেজানো পানি পান করুন। কারণ জিরা ভেজানো পানি আপনার মেটাবলিজম বাড়াতে দারুন ভাবে কাজ করে থাকে।
আরো পড়ুনঃ কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
আবার আপনি ইচ্ছে করলে দারুচিনিও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতেই এক চামচ মধু এবং এক চিমটি পরিমাণ দারুচিনি গুড়া মিশিয়ে নিতে হবে এবং পান করতে হবে। এভাবে যদি আপনি পান করতে থাকেন তাহলে আপনার শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে যাদুকরি ভূমিকা পালন করবে এই পানীয়।
কোন কোন ফল খেলে ওজন কমে
কোন কোন ফল খেলে ওজন কমে এটাও আমাদের জানা দরকার। এমন অনেক ফল রয়েছে
যা খেলে ওজন কমানো যায়। আমরা যদি নিয়মিত আমাদের খাদ্য তালিকায় ফল রাখি তাহলেও
চিকন হওয়া সম্ভব। আসুন কোন কোন ফল গ্রহণের ফলে ওজন কমানো যায় সে বিষয়ে
জেনে নেই।
আপেলঃ ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ফাইবার অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি
উপাদান। আপেলে রয়েছে প্রচুর পরিমান ফাইবার। কিন্তু আপেলে আবার
ক্যালরি রয়েছে কিন্তু সেটি পরিমাণে খুবই কম। এছাড়াও আপেলে রয়েছে মিনারেল
ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তাই খোসা সহ আপেল খেলে ওজন কমাতে দ্রুত সাহায্য
করে।
পেঁপেঃ চিকন হওয়ার ক্ষেত্রে পেঁপে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ফল। কারণ
এতে ফ্যাটের পরিমাণ খুবই কম থাকে প্রায় থাকে না বললেই চলে। পেটে প্রচুর
পরিমাণ এনজাইম বিদ্যমান সাহায্য করে থাকে। চিকন হওয়ার জন্য সঠিকভাবে হজম
হওয়াটা খুবই জরুরী একটি বিষয়। তাই প্রতিদিন খাবারের তালিকায় পেপে রাখলে
খাদ্য দ্রুত হজম হবে এবং ওজন দ্রুত কমতে সাহায্য করবে।
khub sundor information
dhonnobad
sundor
dhonnobad
very good
kaje lagbe
Help ful post