ওজন কমানোর ১০ টি উপায়কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যাই তা নিয়ে আমরা এই পোস্ট এ বিস্তারিত আলোচনা করবো। পেটের মেদ বা চর্বি এখন প্রায় সকল মানুষের একটি বড় ধরনের সমস্যা। কিন্তু বর্তমানে আমাদের অনিয়মিত
জীবন যাপনের জন্য পেটের চর্বি অনেক গুরুতর সমস্যা হয়ে
দাঁড়িয়েছে।
শারীরিক ব্যায়াম এবং ভালো খাদ্য অভ্যাস এর মাধ্যমে পেটের চর্বি রোধ করা যায়। যেহেতু পেটের চর্বি সকল ধরনের রোগের ক্ষেত্রেও ভূমিকা পালন করে তাই দ্রুত কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায় সে বিষয়ে আসুন জেনে নেওয়া যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়
পেটের চর্বি কমানোর ৫ টি কার্যকরী ব্যায়াম
বর্তমানে পেটের চর্বি একটা বড় ধরনের সমস্যা । যেমন পেটের চর্বি বৃদ্ধি পেলে
শারীরিক সমস্যা হয়। তেমন সৌন্দর্যেরও হানি ঘটে কোন ড্রেস ঠিকমতো ঠিক হয়
না দেখতে খুব বাজে দেখায়। কিন্তু এ সমস্যা থেকে ব্যায়ামের মাধ্যমে কিভাবে
বেঁচে থাকা যায় আসুন জেনে নেই।
বোটিংঃ পেটের চর্বি কমাতে বোটিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমে মেঝেতে বসুন পা
দুটো সোজা করে ওপরের দিকে উঠান হাত দুটো সোজা করে হাঁটু বরাবর রাখুন। তারপর
কোমর থেকে শরীরের উপরের অংশ সোজা করে এমন ভাবে রাখতে হবে যেন তা পায়ের সঙ্গে
সমকোণে থাকে। এভাবে থেকে পাঁচবার জোরে জোরে শ্বাস নিতে হবে এবং স্বাভাবিক
অবস্থায় ফিরে আসতে হবে।
লেগ রেইজঃ লেগ রেজের ক্ষেত্রে পা দুটো মাটি থেকে ৯০ ডিগ্রি উপরে এবং পা
তুলতে হবে এবং শ্বাস ছাড়তে হবে। তারপর ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস ছাড়তে হবে এবং পা
নিচের দিকে নামাতে হবে। পরের বার খেয়াল রাখতে হবে যেন পা মাটি থেকে কিছুটা উপরে
থাকে ফলে পেটে প্রেসার পড়ে এভাবে দুই তিন বার করতে হবে।
সিটআপঃ সেট আপ এর ক্ষেত্রে উভয় পা ভাঁজ করে মেঝেতে শুয়ে পড়তে হবে । হাত
সোজা রাখতে হবে। এবার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পা ভাজ অবস্থায় সোজা হয়ে বসতে
হবে এবার আগের অবস্থায় শুয়ে যেতে হবে। এইভাবে কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ বার করতে
হবে দুই তিন সেটে।
স্কোয়াট থ্রাস্টঃ প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বসতে হবে পায়ের পাতা
সামনের দিকে অংশ এবং দুহাত মেঝেতে রেখে বসতে হবে। এরপর দুহাতের ওপর ভর
দিয়ে কোমর থেকে নিজের অংশ পেছনদিকে ছড়িয়ে পায়ের আঙ্গুলের ওপর ভর দিয়ে রাখতে
হবে। তারপর পা গুটিয়ে পূর্বের অবস্থায় বসার স্টাইল করতে হবে। এভাবে প্রায়
৮মতো ব্যায়াম করতে হবে।
নি টু চেস্ট ঃ পেটের চর্বি কমানোর ক্ষেত্রে নি টু চেস্ট গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে। শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পা দুটো বুকের কাছে এনে পেটের সঙ্গে রাখতে
হয়। এভাবে অন্তত ১ সেকেন্ড চেপে রাখুন তারপর ধীরে ধীরে পা সোজা করতে হবে। পা
দুটো মাটি থেকে কিছুটা উপরে রাখার চেষ্টা করতে হবে এভাবে কমপক্ষে ২-৩ বার করতে
হবে।
পেটের চর্বি কমানোর ওষুধ
দিন দিন পেটের চর্বি মানুষের একটা গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে তবে এই সমস্যার
সমাধান এখন সম্ভব। পেটের চর্বি কমানোর জন্য অনেক গবেষণা করে অনেক ধরনের ঔষধ
আবিষ্কার হয়েছে। ওষুধ গুলোর মধ্যে একটি কার্যকরী ঔষধ হলো সিপিএসিসি।আন্তেনিউর
উনিভার্সিটি অফ টেক্সাস হেলথ সাইন্স সেন্টারের বিজ্ঞানীরা এই ওষুধটি আবিষ্কার
করেছেন।
মেডিসিনের অধ্যাপক আমাদের মুনিস্বামীর নেতৃত্বে গবেষকরা এই ওষুধটি আবিষ্কার
করেছেন তা মূলত চিনি ও ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে যে ধরনের পেটে চর্বি তৈরি
হয় তার সমস্যা দূর করে। এই ওষুধটা মোটা হওয়ার সমস্যা দূর করে
থাকে। এই ওষুধ এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই তাই পেটের চর্বি কমানোর
ক্ষেত্রে সিপিএসিসি ওষুধটি নিঃসন্দেহে সেবন করা যায়।
পেটের চর্বি কমানোর খাবারের তালিকা
পেটের মেদ বা চর্বি যেমন কোন ব্যক্তির শরীরের সৌন্দর্য নষ্ট করে তেমন একজন
ব্যক্তির জন্য তা অস্বস্তিকর। এ অস্বস্তি এড়াতে আমরা যদি নিয়মিত কিছু কিছু
খাবার গ্রহণ করে থাকে তাহলে আমাদের যে অতিরিক্ত মেদ বা চর্বি তা বার্ন করা
যাবে। আসুন জেনে নেওয়াও যাক কি কি খাবার খেলে পেটের চর্বি কমানো
যায়।
কাজুবাদামঃ কাজুবাদাম চর্বি কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
থাকে। কাজুবাদাম ভিটামিন ই ও আমিষ সমৃদ্ধ। কাজু বাদামে যে ফ্যাট রয়েছে তা ফ্যাট
তৈরিতে ভূমিকা পালন করে না তাই অন্যান্য খাবারের চাইতে কাজুবাদাম খেলে কোন ক্ষতি
হয় না।
তরমুজঃ পেটে চর্বি কমানোর যে খাবারগুলো রয়েছে তার মধ্যে তরমুজো
গুরুত্বপূর্ণ। তরমুজে রয়েছে 82 শতাংশ পানি একটি লম্বা সময়ের জন্য
ক্ষুদাহীন থাকতে সহায়তা করে। এই সুস্বাদু ফলটিতে এক কাপে ১০০ ক্যালোরি
রয়েছে। তাই তারকাদের মত সুন্দর শরীর যদি রাখতে চান তাহলে অবশ্যই খাবারের
তালিকায় তরমুজ অন্তর্ভুক্ত করুন।
শশাঃ পেটের চর্বি কমানোর ক্ষেত্রে শসার গুরুত্ব অপরিসীম। শসা প্রায়
৯৬ শতাংশই পানি। এটি অত্যন্ত কম ক্যালরিযুক্ত খাবার। একটি শসাতে মাত্র
45 ক্যালরি থেকে থাকে। তাই নেট কমানোর ক্ষেত্রে শসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে।
পানিঃ পেটে চর্বি কমানোর ক্ষেত্রে পানির গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা যদি
প্রতিদিন সকালে কুসুম গরম পানি খায় তাহলে পেটের চর্বি অনেক কমে যায়। এছাড়াও
বেশি পানি পান করলে পেট বেড়ে যাবে এরকম কোন আশঙ্কাও নেই।
পেটের চর্বি কমানোর ৫ টি সহজ উপায়
পেটের চর্বি কমানোর ৫ টি সহজ উপায় সম্পরকে নিচে বিস্তারিত তুলে ধরা হলঃ
ফাইবার যুক্ত খাবার গ্রহণঃ পেটের চর্বি কমানোর ক্ষেত্রে ফাইবারযুক্ত
খাবার গ্রহণ করতে হবে। স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা বলেন ফাইবার যেমন চর্বি কমানোর
ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তেমন আবার ফাইবারযুক্ত খাবার অল্প
খেলে পেট ভরে যায়। ক্যালরির পরিমাণটা কমতে শুরু করে তাই ওজন কমার ক্ষেত্রে
ফাইবারযুক্ত খাবারের কোন তুলনা নেই।
জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলুনঃ পেটের চর্বি কমানোর যদি আমাদের লক্ষ্য হয়ে
থাকে তাহলে অবশ্যই জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলতে হবে। কেননা জাঙ্ক ফুড
আমাদের চর্বি তৈরিতে খুবই সাহায্য করে থাকে। তাই স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা পেটের
চর্বি সহ শরীরের যেকোনো সমস্যার ক্ষেত্রে জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলতে পরামর্শ প্রদান
করে থাকেন।
হাই প্রোটিনযুক্ত খাবারঃ পেটের চর্বি কমানোর জন্য হাই
প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি গ্রহণ করতে হবে। কেননা প্রোটিন বিপাকীয় হার
বারায় এবং পেশির ভর ধরে রাখতে সাহায্য করে থাকে। হাই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার
খেলে পেট ভর্তি থাকে এবং ঘন ঘন খোদা ভাব কেটে যায়। হাই প্রোটিন পেট ভর্তি
রাখার কারণে ক্যালরির খরচও কমে যায়।
অল্প পরিমাণ খাবার গ্রহণঃ খুবই অল্প পরিমাণ খাবার গ্রহণ করতে হবে
ক্যালরি যুক্ত খাবার ভাত রুটি এগুলো কম করে খেতে হবে। শাকসবজি জাতীয় খাবার অনেক
বেশি খেতে হবে। মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। খুব বেশি পরিমাণ
খাবার একসাথে গ্রহণ করা যাবে না অল্প অল্প করে খাবার গ্রহণ করতে হবে।
প্রতিদিন শরীর চর্চাঃ আমাদের শরীর সুস্থ ও সুন্দর মেদহীন রাখতে হলে
অবশ্যই প্রতিদিন শরীর চর্চা করতে হবে। আমরা যদি অলসতা করে সময় কাটিয়ে দেই তাহলে
আমাদের শরীরের যে কোন অংশে মেদ জমতে পারে এবং তা আমাদের শরীরের জন্য হুমকি হয়ে
দাঁড়াতে পারে। তাই সুস্থ জীবন যাপন করতে হলে শরীর চর্চার কোন বিকল্প
নেই। ছোট থেকে বড় প্রায় সকল বয়সের মানুষের জন্য প্রতিদিন শরীর চর্চা
করা উচিত।
পেটের চর্বি কমাতে চিয়াসিড এর ভূমিকা
পেটের চর্বি কমাতে চিয়াসিড এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পেটের চর্বি কমানোর ক্ষেত্রে চিয়াসিড
খুবই ভালো কাজ করে থাকে। চিয়াসিড পানিতে সাধারণ তাপমাত্রায় ৩০ মিনিট খাওয়ার
আগে ভিজিয়ে রাখতে হয়। প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন থাকার কারণে দিনে ১০০
গ্রাম চিয়াসিড খেলে পেট ভর্তি থাকে সেজন্য ক্ষুধা লাগে না। তাই ওজন বৃদ্ধি হওয়ার কোন
সম্ভাবনা থাকেনা। পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে চিয়াসিড ওজন কমানোর জন্য শুধু নয় বরং সুস্থ থাকার জন্যও গ্রহণ করা উচিত।
পেটের চর্বি কমাতে লেবু খাওয়ার ভূমিকা
চর্বি কমানো লেবু খাওয়া লেবু খাওয়ার ভূমিকা অনেক। যতগুলো
খাবারের তালিকা রয়েছে মেদ ঝরানোর ক্ষেত্রে তার মধ্যে লেবু খুবই কার্যকরী একটা
উপাদান। প্রতিদিন সকালে কুসুম গরম পানির সাথে অনেকেই লেবুর রস মিশিয়ে
খেয়ে থাকেন।কুসুম গরম পানি ও লেবুর রস একত্রে করে খাওয়া এটা শরীরের
জন্য যেমন উপকারী তেমন পেটের বাড়তি চর্বি ঝরাতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকেন।
তবে পানি ও লেবুর রস খাওয়ার ক্ষেত্রে কোন প্রকারের চিনি ব্যবহার করা যাবে না
তবে ভাল অর্গানিক মধু ব্যবহার করা যায়। এক কাপ পরিমাণ পানিতে অর্ধেক
লেবুর রস মিশিয়ে খেতে হয়। তাই আমার নিঃসন্দেহে বলতে পারি লেবুর রস পেটের
চর্বি কমানোর ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পেটের চর্বি কমাতে আপেল সিডার ভিনেগার খাওয়ার নিয়ম
পেটের চর্বি কমাতে আপেল সিডের ভিনেগার খাওয়ার নিয়ম নিয়ে আমরা এখন আলোচনা করবো। পেটের চর্বি কমাতে আপেল সিডের ভিনেগার খুবই জনপ্রিয়। আপেল সিডার ভিনেগার
শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ ,কোলেস্টেরল , রক্তে শর্করার ,পরিমাণ কমানো সহ
বিভিন্ন ধরনের উপকার করে থাকে। আসুন আমরা জেনে নেই পেটের চর্বি কমানোর
ক্ষেত্রে আপেল সিডার ভিনেগার কিভাবে খেতে হয়।
আপেল সিডার ভিনেগারে অ্যাসিটিক অ্যাসিড থাকার কারণে এই ভিনেগার খুবই গন্ধযুক্ত
হয় । এটির মধ্যে প্রোটিন ও এনজাইম কিছু উপকারী ব্যাকটেরিয়া বেশি পরিমাণ
থাকে। আর প্রোটিন থাকার কারণে আপেল সিডার ভিনেগার পান করলে ক্ষুধার পরিমাণ
কমে যায়। আপেল সিডের ভিনেগার খাওয়ার নিয়ম হলো সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস
উষ্ণ পানিতে আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে পান করতে হয়।
পেটের চর্বি কমাতে সবজির ভূমিকা
পেটের চর্বি কমাতে সবজির ভূমিকা বলে শেষ করা যাবেনা। পেটের চর্বির সমস্যা এখন প্রায় সকল মানুষের। অনেক মানুষেরই পেটের
মেদ নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই। পেটের মেদ সৌন্দর্য নষ্ট করার পাশাপাশি
অনেক ধরনের রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই পেটের মেদ ঝরাতে সবারই খেয়াল
বেশি। এক্ষেত্রে শুধু শরীর চর্চা করে নয় বিশেষ কিছু পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের
মাধ্যমে পেটের মেদ ঝরানো যাই।
আরো পড়ুনঃ বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম
পালং শাকঃ পালং শাক নানা ধরনের ভিটামিন ও খনি যে
পরিপূর্ণ। এটি আমাদের শরীরের সকল ধরনের মেদ ঝরানোর পাশাপাশি বিশেষ করে
পেটের চর্বি কমাতে বিশেষভাবে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। এ সাকে
উচ্চ মাত্রার ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যা রক্তের শর্করার মাত্রা
নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
লাউঃ পেটে চর্বি কমানোর ক্ষেত্রে লাউয়ের ভূমিকা অনেক বেশি। কেননা
লাউ হলো উচ্চফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। তাই লাউ নামক সবজির জনপ্রিয়তা জুড়ি
মেলা ভার। লাউ খুদা কমাতে সাহায্য করে। তাই আমরা সহজেই বলতে পারি
পেটের চর্বি কমানোর ক্ষেত্রে লাউয়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
করলাঃ করলা তেতো সাধের হওয়ার কারণে আমরা অনেকেই এড়িয়ে
চলি। তবে এর স্বাস্থ্য উপকারিতা অন্যান্য সকল সবজির থেকে কোন অংশে কম
নয়।। অতিরিক্ত মেদ কমাতে করলা কার্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে।
ফুলকপিও গাজরঃ ফুলকপি অনেক সুস্বাদু একটা সবজি ফুলকপি পছন্দ করেনা
এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর। ফুলকপি পেটে চর্বি কমানোর ক্ষেত্রে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফুলকপিতে ক্যালরির পরিমাণ কম আছে এবং
ফাইবারের পরিমাণ বেশি আছে এজন্য পেটের মেয়ের ঝরাতে এই সবজি অনেক ভূমিকা পালন
করে।
গাজর শুধু আমাদের দৃষ্টিশক্তির জন্যই ভালো একটি সবজি নয় বরং পেটের মেদ
কমাতেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। এটিতে ক্যালরির পরিমাণ অনেক
কম কিন্তু ফাইবার অনেক বেশি থাকে আবার ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে
ভরপুর। এক কাপ গাজর খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। এই জন্য গাজর
পেটের চর্বি কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
শশাঃ পেটের চর্বি কমানোর জন্য যতগুলো খাদ্য তালিকা রয়েছে তার
মধ্যে শসা হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ সবজি। আমরা অনেকেই সালাদ হিসাবে শসা খেতে
পছন্দ করি। শসা তে ৯৯ ভাগ পানি থাকে যার শরীরকে আদ্র রাখে । এতে
ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম এবং ফাইবার অনেক বেশি থাকে যা ওজন কমাতে সাহায্য করে ও
শরীরের বজ্র পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
ব্যায়াম ছাড়া চর্বি কমানোর উপায়
ব্যায়াম ছাড়া কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হল
ব্যায়াম ছাড়া চর্বি কমানোর উপায়ঃ ব্যায়াম ছাড়া চর্বি কমানো যায় কিছু কিছু উপায় মেনে চললে। শরীর সুস্থ থাকার
জন্য ব্যায়ামের গুরুত্ব অনস্বীকার্য এবং ওজন হ্রাসের ক্ষেত্রেও একই গুরুত্ব
বহন করে থাকে। তবে আমরা ব্যস্ততার কারণে অনেক সময় শরীর চর্চা করতে পারি
না। তাই কিছু নিয়ম মেনে চললে ব্যায়াম ছাড়া চর্বি কমানো যায় আসুন সেগুলো
জেনে নেওয়া যাক।
ব্যায়াম ছাড়া ও পেটের চর্বি কমানো যায়। প্রতিদিন সকালে একগ্লাস গরম
পানিতে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে পানি পান করলে পেটের যে বাড়তি চর্বি রয়েছে বা
শরীরের অন্যান্য মেদ রয়েছে তা ঝরে যায়। পানি ও লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়ার সময়
কোনভাবে চিনি ব্যবহার করা যাবে না হালকা একটু বিট লবণ ব্যবহার করতে
পারেন।
লাল চালের ভাত গ্রহণঃ সাদা চালের ভাতের পরিবর্তে লাল চালের ভাত
পরিমান মত খেতে হবে সবচাইতে ভালো হয় যদি ঢেঁকি ছাটা চাল হয়। লাল চালের
ভাতে অতিরিক্ত ক্যালরি থাকে না ফলে পেটে চর্বি তেমন বাসা বাঁধতে পারে না।
চিনি যুক্ত খাবার বর্জনঃ ওজন নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে চিনিযুক্ত
খাবার একেবারে গ্রহণ করা যাবে না। এছাড়াও কোল্ড ড্রিংকস তেলে
ভাজা বিভিন্ন ধরনের খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। কেননা এই ধরনের
খাবারগুলো আমাদের শরীরে খুবই তাড়াতাড়ি চর্বি বাড়াতে সাহায্য করে থাকে
বিশেষ করে পেটো উরুতে চর্বি জমাতে সাহায্য করে।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আমরা আশা করি যে এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনি পেটের
মেদ কমানোর উপায় গুলোর ব্যাপারে অনেক ভালোভাবে ধারণা পেয়েছেন। আমরা
আমাদের লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায়। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন কিভাবে পেটের চর্বি কমানো যায় ।
আপনাদের যদি এই আর্টিকেলটি উপকারে আসে তাহলে আমাদের সার্থকতা। আশা করছি
আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে যদি আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে
তাহলে এই ধরনের বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয় জানতে আমাদের
ওয়েবসাইটটি ফলো করতে থাকুন। কারণ আমরা নিয়মিত এই ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ
করে থাকি। আজকের মত এখানেই শেষ করছি ধন্যবাদ।
Fat komer tips gulo osadharon