গর্ভাবস্থায় আমড়া খাওয়ার উপকারিতা - গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খেলে কি হয়

গর্ভাবস্থায় পানি কম খেলে কি হয়গর্ভাবস্থায় আমড়া খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব।  পুরো আর্টিকেলটি যদি আপনারা মন দিয়ে পড়েন তাহলে আশা করি সমাধান পেয়ে যাবেন। গর্ভ অবস্থায়  মেয়েদের মনে নানা রকম দুশ্চিন্তা আসে। কি খাওয়া যাবে কি খাওয়া যাবে না কোনটা খেলে খুব ভালো উপকার পাওয়া যাবে আরো নানান বিষয়।
গর্ভাবস্থায়-আমড়া-খাওয়ার-উপকারিতা
যতগুলো ফল রয়েছে তার মধ্যে আমড়া এমন একটি ফল যা অনেকগুলো ভিটামিনের উৎস। পুষ্টি ও খাদ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে আমড়া তে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, আইরন ক্যালসিয়াম ও আঁশ রয়েছে।গর্ভ অবস্থায় যেকোনো নারীর জন্য এগুলো খুবই দরকারি। গর্ভ অবস্থায় মেয়েদের আয়রন খুব দরকার হয় এর জন্য ডাক্তাররা অনেক সময় মেডিসিন দিয়ে থাকে।  

পেজ সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় আমড়া খাওয়ার উপকারিতা 

গর্ভাবস্থায় আমড়া খাওয়ার উপকারিতা আমরা অনেকে জানিনা। বাচ্চার পেটে থাকা অবস্থায় প্রায় সকল মেয়েদের মুখে রুচি থাকে না মুখে অরুচি ভাব হয়। মুখের অরুচি ভাব দূর করার জন্য আমড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ফল। মুখে অরুচি ভাব থাকলে আমড়া খেলে মুখের অরুচি ভাব চলে যায়। আবার একটি কমন সমস্যা হল গর্ভ অবস্থায় গ্যাস্ট্রিক ও হজমের সমস্যা। এই সমস্যা দূর করতে আমড়া সাহায্য করে থাকে। গর্ভ অবস্থায় আমড়া খাওয়ার উপকারিতা আসুন জেনে নেওয়া যাক।

শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ যদি কোন মা গর্ভঅবস্থায় আমড়া গ্রহণ করে থাকে তাহলে তার বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাই। কেননা আমড়াতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ১০০ গ্রাম আমড়াতে ২৬.৪৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি রয়েছে। যেখানে মানুষের দেহে ৮৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি গ্রহণ করলে যথেষ্ট। 

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ আমড়া কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে থাকে। কোন শিশু যদি ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরে কোষ্ঠকাঠিন্য তে ভুগে থাকে। তাহলে মা যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করে  বুকের দুধ পান করান তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য হাত থেকে খুব সহজেই মুক্তি মিলবে। আমড়াতে প্রচুর পরিমাণ আঁশ রয়েছে। ১০০ গ্রাম আমড়াতে ৩.৫ গ্রাম আঁশ রয়েছে। তাই গর্ভাবস্থায় আমরা খাওয়ার উপকারিতা বলে শেষ করা যায় না। 

আয়রনের ঘাটতি পূরণ করেঃ একটি শিশু চরম দুর্ভোগে থাকেন ওই সময় যখন গর্ভ অবস্থায় রক্তশূন্যতায় ভুগে থাকেন। বর্তমানে আমাদের দেশের প্রায় ৯০ ভাগ গর্ভবতী মায়েরা গর্ভকালীন সময়ে রক্তস্বল্পতায় ভুগে থাকেন। যখন শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম হয় তখন রক্তশূন্যতা দেখা দেয় ভিটামিন সি হিমোগ্লোবিনের ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে থাকে। আমড়াতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে তাই গর্ভবতী মায়েদের খাদ্য তালিকায় প্রতিদিন আমড়া রাখা প্রয়োজন। 

 শিশুর ত্বক কোমল রাখতেঃ বাচ্চা কালো হোক বা ফর্সা হোক এটিতে কোন যায় আসে না যদি বাচ্চার একটা সুন্দর কোমল ত্বক পাওয়া যায় এবং সুস্থতা পাওয়া যায়। বাচ্চার কোমল ত্বক পেতে হলে অবশ্যই গর্ভ অবস্থায় মাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ আমড়া গ্রহণ করতে হবে কারণ আমড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি শিশুর ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। শিশুর হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে থাকে। 

গর্ভবস্থায় তেঁতুল খেলে কি হয়

গর্ভ অবস্থায় তেঁতুল খেলে কি হয় এটা আমাদের অনেকের প্রশ্ন থাকে। অনেকে মনে করেন যে গর্ভ অবস্থায় তেতুল খাওয়া কি আসলে নিরাপদ না অনিরাপদ প্রশ্নের উত্তরটি হবে অবশ্যই হ্যাঁ। তবে গর্ভ অবস্থায় এটি অবশ্যই পরিমিত গ্রহণ করতে হবে কোন কিছুই বেশি ভালো না তেমন তেতুলও বেশি খাওয়া যাবে না গর্ভ অবস্থায়। তেতুলে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ফাইবার,  শর্করা সকল কিছুই থাকে। গর্ভাবস্থায় তেঁতুল খেলে কি উপকার পাওয়া যায় আসুন জেনে নেওয়া যাক। 
  • তেতুলের মধ্যে এন্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য থাকে যা গর্ভ অবস্থার পরবর্তী পর্যায়ে পায়ের গোড়ালি ও শরীরের যে কোন জায়গার ফোলা ভাব ও পেশির ব্যথা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। 
  • তেতুলের মধ্যে পটাশিয়াম হালকা সোডিয়াম থাকার কারণে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে করে থাকে। 
  • কেউ যদি গর্ভাবস্থায় মিষ্টি তেতুল খায় তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয়ে থাকে। 
  • গর্ভ অবস্থায় পরিমিত তেতুল খেলে হজমের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি মলের প্রবাহ কে দৃঢ় হতে সহায়তা করে এভাবে ডায়রিয়ার বিরুদ্ধেও ব্যাপক লড়াই করে থাকে। 
গর্ভ অবস্থায় সকল মায়েদের মুখে বমি আসে সেক্ষেত্রে যদি এক টুকরো তেতুল লবণ মাখিয়ে মুখে দেওয়া হয় তাহলে অনেকাংশে বমি বমি ভাবটা কমে যায়। এতগুলো উপকার থাকা সত্বেও গর্ভ অবস্থায় খুবই পরিমান মত স্বল্প পরিসরে তেতুল গ্রহণ করতে হবে। কখনোই বেশি একসাথে খাওয়া যাবেনা কারণ অতিরিক্ত তেতুল খাওয়ার জন্য গর্ভপাত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। 

গর্ভাবস্থায় লেবু খাওয়া যাবে কি

গর্ভ অবস্থায় লেবু খাওয়া যাবে কিনা এটা কমবেশি সবার মনে প্রশ্ন থাকে। এই প্রশ্নের উত্তরটি হবে হ্যাঁ গর্ভ অবস্থায় লেবু খাওয়া যাবে। গর্ভ অবস্থায় লেবু খাওয়া যাবে কিনা এটা নিয়ে খুব বেশি গবেষণা না হলেও এটা নিশ্চিত ভাবে বলা যায় যে পরিমিত লেবু খেলে কোন সময় গর্ভবতী মায়ের এবং নবজাতকের কোন ক্ষতি হবে না। লেবুর মধ্যে থাকা ভিটামিন খনিজ পদার্থ এবং পুষ্টির নিখুঁত কম্বিনেশন মায়ের স্বাস্থ্য এবং শিশুর বিকাশে ব্যাপকভাবে সাহায্য করে থাকে।
গর্ভাবস্থায়-লেবু-খাওয়া-যাবে-কি
গর্ভ অবস্থায় প্রত্যেক গর্ভবতী মায়ের বমি বমি ভাব হয় মুখে অরুচি হয় সেজন্য লেবুর বিকল্প নেই।কেননা লেবু মুখের অরুচি ভাব দূর করে এবং বমি বমি ভাব উপশম করতে সাহায্য করে থাকে। লেবুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে যা মায়ের জন্য ও শিশুর জন্য খুবই উপকারী। তাই গর্ভ অবস্থায় আমড়া খাওয়ার উপকারিতা যেমন অনেক বেশি তেমন লেবু খাওয়ার উপকারিতা ও অনেক অনেক বেশি। 

গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবে না

গর্ভাবস্থায় কি কি ফল খাওয়া যাবেনা এটা নিয়ে অনেক চিন্তিত থাকে। কেননা গর্ভাবস্থায় নারীদের শারীরিক ও মানসিক নানা পরিবর্তন ঘটে থাকে।  তাই এ সময় গর্ভবতী মহিলাদের অতি সাবধানতার সাথে চলাফেরা করতে হয়। কারণ একটি গর্ভবতী মা শুধুই একাই একটি দেহ নয় বরং তার ভেতরের নতুন একটি প্রাণ ধীরে ধীরে বড় হয়ে ওঠে। গর্ভ অবস্থায় ফলের বিকল্প নেই। প্রায় সকল ধরনের ফলে এই অবস্থায় খাওয়া যায় তবে কিছু কিছু ফল রয়েছে যা একটু এড়িয়ে চলা ভালো। 
  • গর্ভ অবস্থায় না ধোয়া বা খোসা না ছড়ানো ফল কখনোই খাওয়া যাবে না। কেননা এতে ব্যাকটেরিয়া এবং পরজীবী যেমন সালমোনেলা ও লিস্টেরিয়ার মাধ্যমে দূষিত হয়ে থাকতে পারে। 
  • পেঁপেঃ আধা কাঁচা পেঁপে তে রয়েছে  লেটেক্স যা গর্ভবতী মায়ের জন্য ক্ষতিকর। অনেক সময় এই উপাদানটি কাঁচা পেঁপের মধ্যে থাকার জন্য গর্ভ অবস্থায় যদি কোন মা খায় তাহলে গর্ভপাত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 
  • আনারসঃ আনারস একটি টক মিষ্টি জাতীয় ফল এই ফল খেতে অনেক সুস্বাদু । তবে এতে থাকা  ব্রোমেলাইন নামক একটি উপাদান জরায়ুর পথকে কমল করে যা প্রাথমিক অবস্থায় ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। আবার অনেক সময় আনারস বেশি খেয়ে নিলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 
  • আঙ্গুরঃ অনেক সময় পুষ্টিবিজ্ঞানীরা গর্ভবতী মায়ের শেষ তিন মাস  আঙ্গুর ফল খেতে নিষেধ করেন। কেননা আঙ্গুরের রয়েছে তাপ উৎপাদনকারী উপাদান যা মা ও শিশুর ক্ষতির কারণ হয়ে যেতে পারে। 

গর্ভাবস্থায় মালটা খাওয়া যাবে কি

গর্ভাবস্থায় মালটা খাওয়া যাবে কি এই প্রশ্নের উত্তর অনেকে করে থাকেন। আর এটি যাদের প্রশ্ন তারা অবশ্যই সঠিক তথ্যটি পাবেন ইনশাআল্লাহ। গর্ভাবস্থায় অবশ্যই নিশ্চিন্তে মালটা খেতে পারবেন কেননা এমন কোন গবেষণায় এরকম তথ্য বের হয়নি যে গর্ভাবস্থায় মালটা খাওয়া যাবে না। মালটা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যা খেলে মা এবং নবজাতক উভয় অনেক সুস্থ থাকে। কেননা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় তাই গর্ভাবস্থায় মালটা খাওয়া অনেক প্রয়োজনীয়। আরো জানতে এখানে ক্লিক করুন

হাইড্রেশন দূর করেঃ মালটা বেশিভাগ পানি দ্বারা গঠিত যা গর্ভাবস্থায় সঠিক হাইড্রেটের মাত্রা বজায় রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। যদি কোন গর্ববতী মহিলা গর্ভাবস্থায় মালটা খেয়ে থাকে তাহলে তার শরীরে ডিহাইড্রেশন এর সমস্যা হয় না আবার কোষ্ঠকাঠিন্যর মত সমস্যা হয় না।এছাড়া ও মালটাই প্রাকৃতিক চিনি রয়েছে যা গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী বিশেষ করে যখন ক্লান্তি বা কম শক্তি অনুভব করে সে সময় মাল্টা গ্রহণ করলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়। 

গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়া যাবে কি

গর্ভাবস্থায় শসা খাওয়া যাবে। গরমে শরীর সতেজ ও ঠান্ডা রাখতে শসার  ভূমিকা অনস্বীকার্য। গর্ভবতী অবস্থায় খুব গরম অনুভব হয় এবং অস্বস্তি বোধ হয়। আর এই অস্বস্তি থেকে শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে থাকে। শসার মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। অনেক সময় গর্ভবতী মেয়েদের যেকোনো সময় মন খারাপ  হয়ে যায় অতিরিক্ত মন খারাপ যদি হয় তাহলে শসা খুব ভালো উপকার করে থাকে।
গর্ভাবস্থায়-শসা-খাওয়া-যাবে-কি
কেননা শসার মধ্যে এমন এক উপাদান রয়েছে যা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। কারণ শসাতে রয়েছে ভিটামিন বি ৬ এবং ভিটামিন বি ৯ যা মানসিক চাপ কমাতে আমাদের সাহায্য করে। এছাড়াও শসাতে রয়েছে ভিটামিন সি ভিটামিন কে ভিটামিন বি ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম এর মত খনিজ উপাদান।এই উপাদানগুলো আবার গর্ভাবস্থায় ভ্রুণকে সুস্থ রাখতে এবং বিকাশের জন্য বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে। আবার গর্ভাবস্থায় হরমোনের মাত্রা ঠিক রাখতে শসা সাহায্য করে। 

শেষ কথাঃ গর্ভাবস্থায় আমড়া খাওয়ার উপকারিতা 

গর্ভাবস্থায় আমড়া খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে উক্ত আর্টিকেলে বিস্তারিত লেখার চেষ্টা করেছি। আমড়া শুধু গর্ভাবস্থায় খেতে হবে এমনটি নয় আমড়া সকলের জন্যই খাওয়া প্রয়োজন।  কেননা আমড়া তে এমন কিছু ভিটামিন রয়েছে যা আমাদের সকলের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। যেহেতু আমড়া এত উপকারী একটি ফল তাহলে আর দেরি কেন আসুন আজ থেকেই আমড়া  খাওয়া শুরু করি এতে যেমন শরীর ভালো থাকবে তেমন মুখের রুচিও বৃদ্ধি পাবে। 

প্রিয় পাঠক দেখতে দেখতে একদম শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। আমরা চেষ্টা করেছি আমাদের লেখার মাধ্যমে আপনাদের অজানা বিষয়কে জানানোর জন্য। যদি এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর যদি আর্টিকেলে আপনাদের চোখে কোন ভুল পড়ে তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাবেন। আমরা সেটা সংশোধন করব ইনশাল্লাহ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমস ব্লগারেরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url