ছেলে সন্তান কত মাসে হয় - ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ

গর্ভাবস্থায় আমড়া খাওয়ার উপকারিতাছেলে সন্তান কত মাসে হয়? ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ কি? ছেলে সন্তান কত সপ্তাহে হয়? এগুলো গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খুবই কমন এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। তাই আমাদের এই পোস্টটিতে এই সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
ছেলে-সন্তান-কত-মাসে-হয়ছেলে বা মেয়ে সন্তান হওয়ার জন্য আলাদা সময় লাগে না। সন্তান গর্ভধারণের পর সাধারণত ৩৮ থেকে ৪০ সপ্তাহ বা প্রায় ৯ মাসের পূর্ণ গর্ভকালীন সময় লাগে। এটি ছেলে বা মেয়ে উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য। আরো বিস্তারিত জানার জন্য আমাদের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পেজ সূচিপত্রঃ ছেলে সন্তান কত মাসে হয়

ছেলে সন্তান কত মাসে হয়

ছেলে সন্তান কত মাসে হয় এই প্রশ্নটির উত্তর অনেক গর্ভবতী মায়েরা জানেন না। কিন্তু তাদের এই প্রশ্নের উত্তরটি জানা অত্যন্ত জরুরী। যারা জানেন না তাদের চিন্তার কোন প্রয়োজন নেই। কারণ আজকের এই পোস্টটি পড়ার পর থেকে আপনি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জেনে যাবেন। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক। ছেলে হোক বা মেয়ে উভয় ক্ষেত্রে নরমাল ডেলিভারির জন্য নয় মাস দশ দিন থেকে ১৫ দিনের মধ্যে বাচ্চা ডেলিভারি হয়ে যায়।
আর যারা সিজার করে ডেলিভারি করাতে চান তাদের অনেক সময় দেখা যায় নয় মাসের আগেও বাচ্চা ডেলিভারি হয়ে যায়। তবে সাধারণত নরমাল ডেলিভারি হওয়ার জন্য নয় মাসের বেশি সময় লেগে থাকে। গর্ভবতী মহিলাদের যখন ৯ মাস পড়ে যায় তখন তাদেরকে সতর্কতার সাথে চলাচল করা উচিত এবং পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে রাখা উচিত। সবকিছু যদি ঠিক থাকে তাহলে ৩৮ থেকে ৪২ সপ্তাহের মধ্যে বাচ্চা ডেলিভারি হয়ে যায়।

ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ

ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ গুলো কি কি তা সম্পর্কে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করব। অনেক গর্ভবতী মহিলারাই প্রশ্ন করে থাকেন ছেলে সন্তান যদি পেটে থাকে তাহলে তার কি কোন লক্ষণ পাওয়া যায়? তাদের প্রশ্নের উত্তরে আমি বলব হ্যাঁ, ছেলে সন্তান পেটে থাকলে কিছু লক্ষণ পাওয়া যায়। ছেলে সন্তান পেটে থাকার কিছু লক্ষণ সমূহ নিচে তুলে ধরা হলো।
  • পেটের অবস্থান, আপনার পেট যদি নিচের দিকে বেশি ঝুলে যায় তাহলে বুঝে নিবেন আপনার পেটে ছেলে সন্তান রয়েছে। কারণ এরকমটা হলে ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি থাকে।
  • ইউরিনের রং বা কালার, অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে গর্ভাবস্থায় মায়ের প্রস্তাবের রং যদি গায়ে হলদেটে হয় তাহলে ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা বেড়ে যায়।
  • স্তনের আকৃতি, গর্ভাবস্থায় মহিলাদের স্তনের সাইজ অনেকটাই বেড়ে যায়। কারণ এই সময় মায়ের শরীরে দুধের সঞ্জয় হতে শুরু করে। সাধারণত এই সময় ডানের স্তনের থেকে বাম স্তন একটু বেশি ভারী হয়ে যায়। তবে আপনার ক্ষেত্রে যদি উল্টোটা হয় তাহলে ধারণা করে নিতে পারেন আপনার ছেলে সন্তান হতে চলেছে।
  • পায়ের পাতা ঠান্ডা হওয়া, আপনার যদি পায়ের পাতা মাঝেমধ্যে ঠান্ডা হয় এটা বুঝতে পারেন তাহলে ধরে নিতে পারেন আপনার ছেলে সন্তান হতে চলেছে কারণ এরকমটা ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ।
  • হার্টের রেট, গর্ভাবস্থায় অনেক সময় চিকিৎসকরা গর্ভে থাকা শিশুর হার্ট রেট মেপে থাকেন। এই সময় যদি দেখতে পান বাচ্চার হার্ট রেট ১৪০ এ রয়েছে তাহলে ধারণা করে নিবেন আপনার ছেলে সন্তান হতে চলেছেন কারণ এরকমটা ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ।
  • চুলের বৃদ্ধি, মায়ের চুলের বৃদ্ধি দেখে অনেক সময় বলা যায় তার ছেলে সন্তান হবে নাকি মেয়ের সন্তান। অনেক সময় গবেষণাতে দেখা গেছে গর্ভাবস্থায় মায়ের চুলের বৃদ্ধি যদি স্বাভাবিক অবস্থা থেকে বেশি হয় তাহলে ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি থাকে।
  • ক্ষুধা লাগা, গর্ভাবস্থায় যদি আপনার বেশি বেশি ক্ষুধা লাগে তাহলে ধরে নিতে পারেন আপনার ছেলে সন্তান হতে চলেছে কারণ এরকমটা পেটে ছেলে সন্তান থাকলে হয়ে থাকে।

গর্ভের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে

গর্ভের সন্তান ছেলে নাকি মেয়ে রয়েছে তা অনেক গর্ভবতী মহিলারাই বুঝতে পারেন না। চলুন কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই জেনে নিন কিভাবে বুঝবেন আপনার গর্বের সন্তানটি ছেলে নাকি মেয়ে। ১৯৯০ সালের একটি গবেষণা হতে দেখা যায়, বেশিরভাগ মানুষই বিশ্বাস করেন যে জড়াইতে শিশু যখন বাড়তে থাকে বা বড় হতে থাকে তখন যদি পেট বেশিরভাগ নিচের দিকে বেশি ঝুলে থাকে তাহলে ধারণা করা হয় সে ক্ষেত্রে তার গর্ভের সন্তানটি ছেলে সন্তান হতে পারে।

আবার গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মহিলার যদি পেটের মাঝখানটা যদি মোটা থাকে সে ক্ষেত্রে তার গর্বের সন্তানটি মেয়ে হতে পারে। এই তথ্যগুলো পাওয়ার পরে একদম গবেষক এটার উপরে গবেষণা শুরু করেন এবং গবেষণা করে দেখতে পান এই তথ্যগুলো একদম ভুল। এই তথ্যগুলোর কোন সায়েন্টিফিক ব্যাখ্যা নেই। একজন গর্ভবতী মহিলার জরায়ুর সাইজ মোটা হবে নাকি লম্বা হবে নাকি ছোট হবে নাকি নিচের দিকে ঝুলে থাকবে তা নির্ভর করে তার গর্ভে থাকা সন্তানের ওজনের উপর।

অনেকে মনে করেন গর্ভে থাকা সন্তানের হার্টবিট রেট ১৪০ পার মিনিট এর বেশি হয় তাহলে গর্বে থাকা সন্তানটি মেয়ে হতে পারে। আর হার্টবিট রেট যদি ১৪০ পার মিনিটের কম হয় তাহলে গড়বে থাকা সন্তানটি ছেলে হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এ গবেষণাটি ১৯৯৯ সালে একদল গবেষক গবেষণা করেন এবং তারা এটি সত্য বলে প্রমাণ করেছেন। তারা বলেছেন যে হার্টবিট রেট যদি ১৪০ এর বেশি হয় তাহলে মেয়ে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে আর যদি একটি কম থাকে তাহলে ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

গর্ভের সন্তান ছেলে হওয়ার উপায়

গর্ভে সন্তান ছিল হওয়ার উপায় কি এর সম্পর্কে অনেক গর্ভবতী মহিলারা প্রশ্ন করে থাকেন। এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার আগে আমাদের একটি ঘটনা সম্পর্কে জানতে হবে। ঘটনাটি হল ফ্রান্সে প্রায় আজ থেকে ২০০ আড়াইশো বছর আগের কথা। সে সময়কার সম্ভ্রান্ত পরিবারের পুরুষেরা তাদের অন্ডকোষকে বেঁধে রাখত। কেউ কেউ আবার অন্ডকোষ কেটে ফেলত যাতে ছেলে সন্তান হয় তার জন্য। এই কাজটা করার জন্য তাদের একটি চিন্তা ছিল বৈজ্ঞানিক শোনা যায় এরকম একটা ব্যাখ্যা ছিল ব্যাখ্যাটি হল।
গর্ভের-সন্তান-ছেলে-হওয়ার-উপায়
পুরুষের তো দুইটা অণ্ডকোষ থাকে দুইটা অন্ডকোষের কাজ আলাদা আলাদা। দুইটা দেখতেও একটু আলাদা একটা একটু বড় থাকে একটা একটু ছোট থাকে ডান পাশেরটা একটু বড় থাকে বাম পাশেরটা একটু ছোট থাকে। তাই তারা ভাবতো ডান দিকের অন্ডকোষ থেকে ছেলে সন্তান হয় আর বামদিকের অন্ডকোষ থেকে মেয়ে সন্তান হয়। যেহেতু বাম দিকের অন্ডকোষ থেকে মেয়ে সন্তান হয় তাই সে অন্ডকোষটির দ্বারা বেধে রাখত বা অনেক সময় দেখা যেত কেটেও ফেলতো। এই ধারণাগুলো ছিল একদম ভ্রান্তিক এবং যুক্তিহীন।

আপনাদের জন্য একটি সতর্কমূলক বাধ্য হল গর্ভাবস্থায় আপনাদের যদি কেউ পুত্র সন্তান বা মেয়ে সন্তান পাওয়ার জন্য কোন উপায় অবলম্বন করার কথা বলে তা থেকে আপনারা দূরে থাকবেন কারণ এগুলো মিথ্যা এবং বানোয়াট কথা। এতে আপনার অর্থ এবং সময়ের উভয়েরই ক্ষতি হতে পারে বা অনেক সময় শারীরিক ক্ষতি হতে পারে। তাই এগুলো থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

কি খাবার খেলে ছেলে সন্তান হবে

কি খাবার খেলে ছেলে সন্তান হবে? এ প্রশ্নটিই অনেক গর্ভবতী মায়েরায় করে থাকেন। আজকে আমি আপনাদের সামনে এমন কয়েকটি খাবারের কথা বলব যে খাবারগুলো খেলে আপনার ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। অনেক গবেষণাতে দেখা গেছে বিশেষ কিছু খাবার খাওয়ার ফলে ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা বেড়ে যায়। কেননা এই খাবারগুলো খাওয়ার পরে শরীরের এমন কিছু পরিবর্তন আনে ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়।
  • কলাঃ কলাতে থাকা পটাশিয়াম ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনাকে অনেকটা বাড়িয়ে তোলে। আসলে এই খনিজ টি মায়ের শরীরে স্পার্ম যাতে বেশি সময় নিয়ে জীবিত থাকতে পারে তা খেয়াল রাখে। যে কারণে অনেকে দাবি করেছেন এটা ছেলের সন্তান হওয়ার সঙ্গে অনেকটা ভূমিকা রাখে।
  • সিরিয়াল জাতীয় খাবারঃ পুষ্টিকর পরিবেশে স্পার্মের কার্যকারিতা বেশি বৃদ্ধি পায়। আর স্পার্ম যত বেশি বৃদ্ধি পাবে তত বেশি ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বাড়াবে।
  • মাশরুমঃ স্পার্মের কার্যকারিতা বাড়াতে ভিটামিন ডি এবং পটাশিয়াম বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এ দুটি উপাদান মাশরুমের ভিতরে প্রচুর পরিমাণে থাকে তাই এটা খাওয়ার ফলে ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
  • সাইট্রাস ফলঃ এ ধরনের ফলে ভিটামিন সি বেশি মাত্রায় থাকে। এই উপাদানটি মায়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটনার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ শক্তিশালী করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ফলে ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
  • সি ফুডঃ এ ধরনের খাবারে উপস্থিত জিংক স্পার্ম কাউন্ট বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখে যা ছেলে সন্তান হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ ছেলে সন্তান হওয়া বা মেয়ে সন্তান হওয়া এ দুটো বিষয়ই আল্লাহতালা নির্ধারণ করে থাকেন। তাই কার ছেলে হবে কার মেয়ে হবে এটা আল্লাহতালা আগে থেকে নির্ধারণ করে রাখেন এবার ঠিক আছে তাই ফল ফলান্তি খাওয়ার ফলে খাবার খাওয়ার ফলে ছেলে সন্তান হবে ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল।

স্বপ্নে কি দেখলে ছেলে সন্তান হয়

স্বপ্নে কি দেখলে ছেলে সন্তান হয়? অনেক গর্ভবতী মহিলারাই স্থানীয় হুজুর বা আলেমদের কাছে এ প্রশ্নটি করে থাকেন। ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে স্বপ্নে কি দেখলে ছেলে সন্তান হয় এ বিষয়ে হাদিসে কোন তথ্য বা মতামত নেই। তাই বলাই যায় যে স্বপ্ন দেখার সাথে ছেলে সন্তান হওয়ার কোন সম্পর্ক নেই। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, "আল্লাহ যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন। আবার যাকে ইচ্ছা পুত্র এবং কন্যা উভয়ই দেন এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা (সন্তানহীন) করেন। তিনি সর্বজ্ঞ, ক্ষমতাশালী।"
(সূরা আশ-শুরা, আয়াত: ৪৯-৫০)
স্বপ্নে-কি-দেখলে-ছেলে-সন্তান-হয়

শেষ মন্তব্যঃ ছেলে সন্তান কত মাসে হয়

ছেলে সন্তান কত মাসে হয় এ পোস্টটি পড়ার পর আশা করি আপনারা সকলে জানতে পেরেছেন। ছেলে হোক না মেয়ে এটা সম্পূর্ণ আল্লাহর ইচ্ছার উপরেই নির্ভরশীল। গর্ভধারণের সময় ৩৮ থেকে ৪০ সপ্তাহ বা নয় মাসের একটু উপরে হলেও ছেলে সন্তান নিয়ে কিছু প্রচলিত ধারণা রয়েছে। যার বেশিরভাগই বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তি নেই। খাবার বা অন্যান্য পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে ছেলে সন্তান বা মেয়ে সন্তান নির্ধারণ সম্ভব নয়। তাই এ ধরনের ধারণা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন।

প্রিয় পাঠক আমাদের এই পোস্টটির মধ্যে কোথাও যদি ভুল ত্রুটি পেয়ে থাকেন তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। এবং বিষয়টি আমাদেরকে অবগত করবেন। পরবর্তীতে অবশ্যই আমরা তা সংশোধন করার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ। আমাদের এই পোস্টটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই পোস্টের নিচে একটি গঠনমূলক মন্তব্য করতে ভুলবেন না কেননা হতে পারে আপনার একটি মন্তব্য আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। আর প্রতিদিন এরকম নিত্য নতুন তথ্যবহুল কন্টেন্ট পড়ার জন্য আমাদের এই ওয়েবসাইট নিয়মিত থেকে ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমস ব্লগারেরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url