সিগারেট খেলে কি ৪০ দিন ইবাদত কবুল হয় না

শিমুল মূল খাওয়ার উপকারিতাসিগারেট খেলে কি ৪০ দিন ইবাদত কবুল হয় না? জি হ্যাঁ, সিগারেট বা বিড়ি তামাক জাতীয় দ্রব্য সেবন করলে ৪০ দিন ইবাদত কবুল হয় না। কেননা এ প্রসঙ্গে রাসুল সাঃ বলেন কেউ যদি নেশাদার দ্রব্য জাতীয় খাবার পান করে ৪০ দিন তার সালাত কবুল হবে না।
সিগারেট-খেলে-কি-৪০-দিন-ইবাদত-কবুল-হয়-না
এই হাদিস থেকে বোঝা যায় কোন ব্যক্তি যদি একবার সিগারেট পান করে তাহলে তার ৪০ দিন ইবাদত কবুল হবে না। কারণ সিগারেট একটি নেশাদার দ্রব্য। এখন অনেকের প্রশ্ন হল সিগারেট কি নেশাদার দ্রব্য তাদের উত্তরে আমি বলব হ্যাঁ কারণ সিগারেট একমাত্র খাবার যার উপরের লিখা থাকে এটা খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

পেজ সূচিপত্রঃ সিগারেট খেলে কি ৪০ দিন ইবাদত কবুল হয় না 

সিগারেট খেলে কি ৪০ দিন ইবাদত কবুল হয় না

সিগারেট খেলে ৪০ দিন ইবাদত কবুল হয় না এই কথাটি একদম সঠিক। কেননা হাদিসে এসেছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন প্রত্যেক মাতক দ্রব্য হারাম, এবং প্রত্যেক হারাম মাদক দ্রব্য জান্নাতের পথে বাধা সৃষ্টি করবে। অপর এক হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন কোন ব্যক্তি যদি একদিন মাদকদ্রব্য সেবন করে তাহলে সে ব্যক্তি ৪০ দিন আল্লাহকে তার নিজের দিকে করতে পারবে না।
আর পৃথিবীতে সিগারেট একমাত্র খাবার যার প্যাকেটের শরীরে লেখা থাকে এটা খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর বা মৃত্যুর কারণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সংস্থা গুলো জানান, সিগারেট বা ধুমপান ক্যান্সারের একটি প্রধান কারণ। ধূমপান বিশেষ করে ফুসফুস, মুখ, গলা, খাদ্যনালী এর ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। অন্য আরেকটি গবেষণায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানান সিগারেটের ধোঁয়া ৭০ টির বেশি ক্যান্সার জনিত উপাদান ধারণ করে।

জর্দা সিগারেট খাওয়া কি হারাম 

জর্দা সিগারেট খাওয়া কি হারাম? অনেকেই প্রশ্নটি করে থাকেন। এই পোস্টটি পড়ার পর আপনি খুব সহজেই জানতে পারবেন জর্দাহ আসলে হালাল নাকি হারাম? ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে জর্দা সিগারেট খাওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ বা হারাম। কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যারা নিয়মিত বিড়ি, সিগারেট, জর্দা, তামাক, গুল নেশাদার দ্রব্য পান করে বা খায় তারা জান্নাতে যাবে না। অপর এক হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

যে জিনিসটা বেশি খেলে বিবেকের ক্ষতি হয় তার কম খাওয়াও হারাম। অতএব এই হাদিসের ভিত্তিতে বলা যায়, যারা বিড়ি, সিগারেট, জর্দা, তামাক, গুল নেশাদার দ্রব্য খাই বা পান করে তারা কখনো জান্নাতে যাবে না যতক্ষণ না পর্যন্ত সে তওবা করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের একটি গবেষণায় জানাই যে তামাকজাত পণ্যে প্রায় ৭০ হাজার রাসায়নিক উপাদানের উপস্থিতি রয়েছে। এর মধ্যে ২৫০টির বেশি রাসায়নিক অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং ৭০ টির বেশি রাসায়নিক পদার্থ ক্যান্সারের জন্য দায়ী।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরেকটি গবেষণা তে বলেছেন, সিগারেট খাওয়া ফুসফুস ক্যান্সারের প্রধান কারণ। যারা ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় তাদের মধ্যে ৯০% এর বেশি মানুষ সিগারেট খাওয়ার ফলে আক্রান্ত হয়ে থাকে। সিগারেট জর্দা খাওয়ার ফলে এক সময় মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। দীর্ঘমেয়াদে সিগারেট ধূমপান হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (COPD) এর ঝুঁকি বহুগুণ বাড়ায়। তথ্যসূত্রঃ WHO Tobacco Fact Sheet, 2021

সিগারেট খেলে কি নামাজ হবে 

সিগারেট খেলে কি নামাজ হবে যারা এই প্রশ্নটি করে থাকেন তারা আমাদের এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে খুব সহজেই জানতে পারবেন সিগারেট খেলে নামাজ হবে কিনা। সিগারেট খেলে ৪০ দিন কোন ইবাদতি কবুল হয় না সেখানে সিগারেট খেলে কি আর নামাজ আদায় হয় বলুন? রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কেউ যদি নেশাদার দ্রব্যজাতীয় কোন কিছু খায় বা পান করে তাহলে তার ৪০ দিন সালাত কবুল হয় না।
যারা নিয়মিত সিগারেট বা ধূমপান করে থাকেন তাদের মুখের প্রচন্ড দুর্গন্ধ হয় যার ফলে সে যখন নামাজে যায় তখন ফেরেশতারা এবং মসজিদের মুসল্লিরা অনেক কষ্ট পায়। যার ফলে তার আরেক ধরনের পাপ হয়ে যায়। বাংলাদেশের বিখ্যাত আলেম আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ এর মতে সিগারেট খেয়ে নামাজ বা সালাত আদায় করলে সালাত কবুল হবে না কেননা সিগারেট একটি নিশাদার দ্রব্য বা হারাম খাদ্য।

সিগারেট খেলে কি গুনাহ হয় 

সিগারেট খেলে কি গুনাহ হয়? এ প্রশ্নের উত্তরে আমি বলব হ্যাঁ অবশ্যই গুনাহ হয় কারণ উপরে আমরা কিছু হাদিস বর্ণনা করেছি যেখানে বিড়ি সিগারেট তামাক জর্দা গুল এগুলো খাওয়া সম্পূর্ণ হারাম বা যেগুলো খেলে ইবাদত কবুল হয় না। তাই এগুলো হাদিস থেকে খুব সহজে বোঝা যায় যে খাবারগুলো হারাম বা নিষিদ্ধ সেগুলো পান বা গ্রহণ করা অবশ্যই গুনাহের কাজ। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত সিগারেট খাওয়া থেকে বিরত থাকা।

আগেকার সময়ে সিগারেট খাওয়া কে মাক্রুহ করা হতো কিন্তু বর্তমান সময়ের ইসলামিক স্কলারশিপ রা প্রমাণ করেছেন সিগারেট খাওয়া সম্পূর্ণ হারাম এবং গুনাহের কাজ। কারণ সিগারেট খেলে শরীরের মারাত্মক ব্যাধি সৃষ্টি হয়। আবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি গবেষণার ভিত্তিতে বলেছেন নিয়মিত সিগারেট খাওয়ার ফলে ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। বাংলাদেশে ধূমপান তামাকজাত দ্রব্যজাতীয় খাদ্য গ্রহণের ফলে প্রতিবছর ১ লক্ষ্য ৬১ হাজার মানুষ প্রান হারান। এই আলোচনাগুলো থেকে বোঝা যায় সিগারেট খাওয়া গুনাহের কাজ।

ধূমপান ছাড়ার পর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

ধূমপান ছাড়ার পর শরীরে বেশ কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কোন ব্যক্তি যদি দীর্ঘদিন যাবত ধুমপান করে এবং হঠাৎ করেই ধূমপান করা বন্ধ করে দেয় তাহলে তার শরীরে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। ধূমপান ছাড়ার পর শরীরের যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলো দেখা যায় নিচে তা তুলে ধরা হলো।
ধূমপান-ছাড়ার-পর-পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া
  • মনোযোগের ঘাটতি ও উত্তেজনা
  • মাথা ব্যথা ও ক্লান্তি
  • ক্ষুধা বৃদ্ধি ওজন বৃদ্ধি
  • মানসিক অবসাদ ও বিষন্নতা
  • হাত-পা কাঁপা ও ঘামের প্রবণতা
  • অনিদ্রা ও দুঃস্বপ্ন
  • গলা ব্যথা ও দুঃস্বপ্ন
  • হজমে সমস্যা সৃষ্টি হওয়া
  • ঘন ঘন তৃষ্ণার অনুভূতি

ধুমপান প্রতিরোধের উপায় 

ধূমপান প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। ধূমপান প্রতিরোধ করার জন্য আমাদেরকে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে যে পদক্ষেপগুলো নেয়ার ফলে ধূমপান প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। তুলুন জেনে না যাক ধূমপান প্রতিরোধ করতে কোন পদক্ষেপগুলো নেওয়া দরকার। ধূমপান প্রতিরোধ করার মূল মন্ত্র হল সচেতনতা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর মতে, জনসাধারণকে ধূমপানের প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করতে হবে এবং ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালাতে হবে যা ধূমপান প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

তামাকজাদ দ্রব্য বা মাদকজাত দ্রব্যের দাম অধিক বাড়াতে হবে তাহলে ধূমপান কারীদের সংখ্যা অনেকটা কমে আসবে। গবেষণায় দেখা গেছে তরুণ প্রজন্মের যারা ধূমপান করে থাকে যখন তামাকজাদ দ্রব্য এর দাম বাড়ানো হয় তখন তাদের সংখ্যা অনেকটাই কমে আসে। তথ্যসূত্র: The Tobacco Atlas, 2022 ধূমপান প্রতিরোধের আরও একটি উপায় হল প্রকাশের ধূমপান নিষিদ্ধ করা। অর্থাৎ কেউ প্রকাশে ধূমপান করতে পারবে না যা ধূমপান প্রতিরোধ করতে অনেকটা ভূমিকা রাখবে।

বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান সীমিত করলে ধূমপায়ীদের মধ্যে ধূমপানের অভ্যাস কমে।পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ করার পর, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ধূমপানের হার ২০% কমে গেছে। তথ্যসূত্রঃ American Cancer Society, 2020 বোঝা যাচ্ছে প্রকাশ্যে ধূমপান নিষিদ্ধ করলে ধূমপান প্রতিরোধে তা কতটা কার্যকরী। রুণ প্রজন্মের মধ্যে তামাক ব্যবহারের হার কমাতে বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে গবেষণায় দেখা গেছে,

বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করার পর বাংলাদেশসহ অনেক দেশে তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৫-২৫% পর্যন্ত কমে গেছে। তথ্যসূত্রঃ Tobacco Free Initiative, WHO, 2021 ধূমপান প্রতিরোধ করার জন্য আরেকটি উপায় হল ধূমপান ত্যাগ করার জন্য পরামর্শমূলক সেবা ও চিকিৎসা প্রদান করা। গবেষণায় দেখা গেছে নিকোটিন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি (NRT), কাউন্সেলিং এবং সাপোর্ট গ্রুপ ধূমপান ত্যাগে সহায়ক। গবেষণায় দেখা গেছে, পেশাদার কাউন্সেলিং এবং থেরাপি পদ্ধতির মাধ্যমে ধূমপায়ীদের ৫০% বেশি সফলভাবে ধূমপান ছেড়ে দিতে পেরেছেন। তথ্যসূত্রঃ Cochrane Library, 2020

ধূমপান ছাড়ার উপকারিতা

ধূমপান ছাড়ার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ধূমপান বন্ধ করার কিছুদিন পর থেকে শরীরে বেশ কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা দেয়। ধূমপান ত্যাগের ফলে দেহের স্বল্প মেয়াদী এবং দীর্ঘ মেয়াদী দুইভাবেই উপকার পাওয়া সম্ভব। ধূমপান ছাড়ার পর শরীরের বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটে। ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার 20 মিনিট পরে হৃদ স্পন্দন এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক সীমায় ফিরে আসে। আরো জানতে এখানে ক্লিক করুন

ধূমপান ছাড়ার ১২ ঘন্টা পর কার্বন মনোক্সাইড এর মাত্রা কমতে শুরু করে। দুই থেকে বারো সপ্তাহ পরে রক্ত সঞ্চালন এবং ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়তে শুরু করে। ১২ সপ্তাহের মধ্যে হার্ট এবং ফুসফুস পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন গ্রহণ করা শুরু করে। এমনকি ধূমপান ছাড়ার একমাস পরে কাশি এবং শ্বাসকষ্টের পরিমাণ অনেকটা কমে যায়। ধূমপান ছাড়ার পাঁচ বছর পরে স্ট্রোকের ঝুঁকি একবারে কমে যায়। ধূমপান ছাড়ার ১০ বছর পরে সকল ধরনের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা ৫০% কমে যায়।

সিগারেট খেলে কি উপকার হয় 

সিগারেট খেলে কি উপকার হয়? এই প্রশ্নটি অনেকের মনে ঘুরপাক খায় কেননা বর্তমান সময়ে প্রায় অধিকাংশ মানুষের সিগারেট বা ধূমপান করে থাকে। আমরা প্রত্যেকেই জানি পৃথিবীতে সিগারেটই একমাত্র খাবার যার প্যাকেটের উপরে লেখা থাকে সিগারেট খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এতে মৃত্যু হতে পারে। কিন্তু অনেকেই জানিনা সিগারেট খাওয়ার কোন উপকারিতা আছে কিনা কেন এত পরিমানে মানুষ ধূমপান করে থাকে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
সিগারেট-খেলে-কি-উপকার-হয়
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এর তথ্য অনুযায়ী গোটা বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৮০ লক্ষ মানুষ ধূমপানের কারণে মারা যায়। অর্থাৎ প্রতি মিনিটে প্রায় ১৫ জন মানুষ ধূমপানের কারণে মারা যায়। হারবার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল নিউরোলজি এর উপরে তাদের একটি গবেষণা প্রকাশ করেন ২০০৮ সালে যাতে তারা খুঁজে পেয়েছেন যারা ধূমপান করে তাদের পারকিনসন বা স্নায়ু ক্ষয় রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম।

আরো এক গবেষণা তে দেখা গেছে ধূমপানকারীরা খুব সহজেই ওজন কমাতে পারে। কারণ ধূমপানে একটি নিকোটিন রয়েছে যে নিকোটিন খাবারের আসল স্বাদ গ্রহণ করতে বাধা প্রদান করে ফলে ধূমপানকারী খাবারের আসল স্বাদ পায় না এবং তৃপ্তি করে খেতে পারেন না যার ফলে তার শরীরের ওজন খুব দ্রুত কমে যায়। সিগারেট খাওয়ার আরো একটি যে উপকার রয়েছে তা হল হাঁটু প্রতিস্থাপন সার্জারি। যারা ধূমপান করে না তাদের থেকে ধূমপানকারীদের শরীরের কোন জয়েন্ট প্রতিস্থাপন করা সম্ভাবনা বেশি।

অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ্রাইটিস এবং রিউমাটিসম নামক সাময়িক পত্রিকার একটি গবেষণায় উঠে এসেছে প্রতিস্থাপন মূলক সার্জারি মূলত যারা নিয়মিত যারা দৌড়াদৌড়ি করেন এবং স্থূলতা সমস্যায় ভুগছেন তাদেরকেই এই সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয় অন্যদিকে যারা ধূমপান করেন তারা দৌড়াদৌড়ির সেরকম করেন না অনেকটাই কম করেন তারপরেও তাদের এই সমস্যাটা অনেকটাই কম।

শেষ কথাঃ সিগারেট খেলে কি ৪০ দিন ইবাদত কবুল হয় না 

সিগারেট খেলে কি ৪০ দিন ইবাদত কবুল হয় না এ সম্পর্কে হাদিসের আলোকে আলোচনার চেষ্টা করেছি। এখন আপনি বলুন সিগারেট খাওয়া কি আপনার উচিত হবে নাকি নয়? প্রিয় পাঠক সিগারেট খেলে কি হয় আশা করি এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা খুব সহজে বুঝতে পেরেছেন। এই পোষ্টের মাঝে আমাদের অজান্তে কোথাও যদি ভুল পেয়ে থাকেন তাহলে তা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

পরিশেষে পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধু বান্ধবের কাছে তা শেয়ার করবেন এবং আপনাদের কোন কিছু নিয়ে যদি জানার আগ্রহ থাকে তাহলে বিষয়টি আমাদেরকে অবগত করবে আমরা তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ। আর এরকম নিত্যনতুন তথ্যবহুল পোস্ট পেতে নিয়মিত আমাদের এই ওয়েবসাইটটিকে ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমস ব্লগারেরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url