চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার - কালোকেশীর গুনাগুন এবং উপকারিতা
চুল পড়া বন্ধ করতে কার্যকরী উপায় চুলের যত্নে ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কালোকেশী, কেশতী,
কেশরাজ বিভিন্ন নামে ডাকা হয়ে থাকে এই গাছটিকে। এটি অত্যন্ত উপকারী
একটি ঔষধি ঘাস ফুলের গাছ। এই গাছ থেকে এক ধরনের কালো রং বের হয় যা
চুলকে ঘন কালো করতে সাহায্য করে।
কেশরাজ গাছ থেকে যে রস বের হয় তা আবার চুল পড়া বন্ধ হতে ব্যাপক ভূমিকা
পালন করে থাকে। যাদের চুল পড়া বন্ধ হয় না আবার খুব অল্প বয়সে চুল সাদা হয়ে
যায় তারা এটি ব্যবহার করে খুব ভালো ফলাফল পেয়ে থাকে। চুলের যত্নে কালো
কেসি জাদুকরি ভূমিকা পালন করে থাকে।
পেজ সূচিপত্রঃ চুলের যত্নে কালোকেশীর ব্যবহার
- চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার
- কালোকেশীর বৈজ্ঞানিক নাম কি
- কালোকেশী কোথায় পাওয়া যায়
- কালোকেশী পাতার উপকারিতা
- কালোকেশী গাছের উপকারিতা
- কালোকেশী গাছ দেখতে কেমন?
- কালকেশী পাতার গোপন কিছু কার্যকারিতা
- কালোকেশী কি চুল পড়া রোধ করে
- শেষ কথা
চুলের যত্নে কালোকেশি ব্যবহার
চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার অনেক আগে থেকে হয়ে আসছে। কেশরাজ বা কালোকেশী
চুলের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। চুলের পড়ে যাওয়া রোধ
করতে কালোকেশীর পাতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
থাকে। চুলের রুক্ষতা দূর করতে কালোকেশী পাতার ব্যবহার অনস্বীকার্য।
যদি কোন মানুষের অকালে চুল সাদা হয়ে যায় তাহলে তার প্রতিকার মেলে কালোকেশীর
মাধ্যমে।
কালোকেশীর পাতায় এমন এক ধরনের উপাদান রয়েছে যা চুল কালো করতে সক্রিয়
ভূমিকা পালন করে থাকে। কালোকেশী এমন একটি ঔষধি গাছ যা চুলের যত্নে খুবই
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার পাশাপাশি আরও অনেক ধরনের কাজে লেগে
থাকে। চুলের যত্নে কালো কেসের ব্যবহার গুনাগুন ও কি কি উপকারিতা
রয়েছে আসুন আমরা উক্ত আর্টিকেল এর মাধ্যমে তা জানার চেষ্টা করি।
কালোকেশীর বৈজ্ঞানিক নাম
কালকেশীর বৈজ্ঞানিক নাম হল False Daisy (Eclipta alba) এটি অত্যন্ত একটি উপকারী ঔষধি গাছ। এ গাছ মানুষের চুলের যত্ন ছাড়াও বিভিন্ন কাজে লেগে থাকে। কালোকেশী আরো অনেক নাম রয়েছে সেগুলো হল কেশরাজ ,ভৃঙ্গরাজ, কেসুতি। এই গাছ পাওয়া যায় জঙ্গলে, বনে, পুকুরের চারিপাশে । এটা একটি ঘাস জাতীয় গাছ খুব সহজে এই গাছের দেখা মেলে।
এটি পেতে অনেক বেশি ভোগান্তির শিকার হতে হয় না। পাওয়া যদিও সহজ
কিন্তু এর গুনাগুন বলে শেষ করা যাবে না।চুলের যত্ন থেকে শুরু করে অনেক
রোগের ঔষধ হিসেবে এই গাছটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। একাক এলাকায় এই গাছটিকে
একেক নামে ডেকে থাকে। চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার-কালো কেসির গুনাগুন এবং
উপকারিতা অনেক অনেক বেশি।
কালোকেশী কোথায় পাওয়া যায়
কালোকেশী কোথায় পাওয়া যায় এই বিষয়টি অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে। তবে উক্ত
বিষয় নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কারণ নাই এটি কোন দুর্লভ গাছ নয়। কালোকেশী গাছ
যেখানে সেখানে জন্মে থাকে এটা খুব সহজেই পাওয়া যায়। কেশরাজ বা কালকেশী গাছ
বাংলাদেশ, ভারত, চীন, থাইল্যান্ড এবং ব্রাজিলে অধিক পরিমাণে পাওয়া
যায়।
বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা যেমন বন জঙ্গল, পুকুরের চারিপাশ অধিক পরিমাণে এই
ঘাসফুল জাতীয় গাছের দেখা মেলে।এটি অত্যন্ত উপকারী একটি ঘাস ফুলের গাছ যাকে
চুলের মহাঔষধ বলে বিবেচিত করা হয়। স্থান কাল পাত্র ভেদে এক এক জায়গায় এক
এক নামে এই কাজকে ডাকা হয়ে থাকে। চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার-কালোকেশীর গুনগুন
এবং উপকারিতা অনেক বেশি হওয়ায় এ গাছটির জনপ্রিয়তা বেশি।
কালকেশীর পাতার উপকারিতা
কালকেশির পাতার উপকারিতা অনেক বেশি। কালকেশী চুলের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে
যেমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান তেমনি এটি একটি মহা ঔষধ হিসেবে
পরিচিত। কালকেশী শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত
কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। কালোকেশী পাতার অনেক উপকার রয়েছে আসুন এক
ঝলকে দেখে আসি কি কি উপকার রয়েছে।
ক্ষত শুকাতে কালোকেশী পাতাঃ শরীরের যদি কোন অংশ কেটে যায় এবং কেটে যাওয়া
স্থান দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ না হয় সেক্ষেত্রেকালকেশীর পাতা অত্যন্ত
কার্যকরী। কেশরাজ পাতা বেটে পেস্ট বানিয়ে সাথে সাথে কেটে যাওয়া স্থানে
লাগালে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায় এবং আস্তে আস্তে কেটে যাওয়া স্থানে
শুকিয়ে যায়।
কৃমির উপদ্রব কমানোর ক্ষেত্রেঃ কোন ব্যক্তির ক্ষেত্রে যদি কৃমির উপদ্রব অনেক
বেশি হয় তাহলে এই পাতার মাধ্যমে প্রতিকার মেলে। কেশরাজ পাতা কয়েকটি
বেটে খেয়ে নিলে কৃমির উপদ্রব কমে যায়।
চুল বড় হতে সাহায্য করেঃ অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে কেশরাজ
তেল মাথার ত্বকে দিলে ও চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় যার ফলে চুলের
বৃদ্ধি হতে সাহায্য করে। চুলের ফলিকলকে সক্রিয় করে তোলে যার ফলশ্রুতিতে
চুলের বৃদ্ধি হয় চোখে পড়ার মতো। তবে অবশ্যই তেল ব্যবহার করার সময়
সার্কুলার মোসনে অন্তত দশ মিনিট ভালো করে তেল মালিশ করে নিতে হবে।
চুল পড়া রোধ করেঃ অনেক সময় যে কোন কারনে ছেলে এবং মেয়ে বা যে কোন বয়সের
মানুষের চুল ঝরে যেতে পারে।আর এই চুল ঝরে পড়া রোধ করতে কেশরাজ পাতার
ভূমিকা চোখে পড়ার মতো।ভৃঙ্গরাজ তেল ব্যবহার করলে মাথা ঠান্ডা থাকে এবং মানসিক
শান্তি পাওয়া যায় যার ফলে চুল পড়া অনেকাংশে কমে যায়। চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার-কালো কিসের গুনাগুন এবং উপকারিতা আসলে অনেক বেশি।
কালোকেশী গাছের উপকারিতা
কালোকেশী গাছের উপকারিতা সম্পর্কে বলে শেষ করা যাবেনা। চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার - কালোকেশীর গুনাগুন এবং উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। কেননা এটি এমন এক ধরনের
ঘাসফুল জাতীয় গাছ যা অনেক রোগের ঔষধ হিসেবে ও কাজ করে থাকে। এই গাছ থেকে এক
ধরনের কালো রঙ বের হয়ে যা চুলকে কালো করতে সাহায্য করে থাকে এবং চুল পড়া বন্ধ
করতে সাহায্য করে থাকে।
কালোকেশী গাছের সকল অংশই ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। একটি সুনামধন্য
পত্রিকায় কেশরাজ ক্যান্সার কোষগুলোকে মেরে ফেলতে সক্ষম তারা এই তথ্যটি
প্রকাশ করেন। এমন অনেক মানুষ রয়েছে যাদের ঘনঘন মাথা ব্যথা হয়ে থাকে
মাথাব্যথা দূর করার জন্য কেশরাজ হলো একটি অনন্য ভেষজ।
এজন্য কেশরাজের রস নাকের ভেতরে দুই ফোঁটা দিয়ে দেবেন তারপর কপালে মালিশ
করবেন । তাহলে দেখবেন নিমিষেই মাথা ব্যথা দূর হয়ে গেছে । এছাড়াও লিভার
সিরোসিস জন্ডিস এসবের প্রদাহ থেকে কেশরাজ গাছ সঠিকভাবে ব্যবহার করলে মুক্তি
দেয়।
কালোকেশী গাছ দেখতে কেমন
কালোকেশী গাছ দেখতে কেমন এটা অনেকের মনে জানার আগ্রহ জাগে। চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার- কালোকেশীর গুনাগুন এবং উপকারিতা অনেক বেশি হওয়ায় এই গাছ সম্পর্কে
মানুষের আগ্রহের শেষ নেই।কেশরাজ বর্ষজীবী গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। এই ফুল গুলো
অনেক শোভা বর্ধক ফুল দেখতে অনেক সুন্দর।ঘাসের মতো কিছুটা বহু সংখ্যক জাতের
সমন্বয়ে আর অনেক গন্ধ মিলিয়ে ফুলটি হয়ে ওঠে অনন্য।
এর শাখা গুলো লতানো থাকে এবং শাখা প্রশাখা বৃদ্ধি পেতে থাকে। পাতাগুলো ২
ইঞ্চি থেকে চার ইঞ্চি লম্বা এবং ২ ইঞ্চি পর্যন্ত চড়া হয়ে থাকে। আগের দিকটা
সরু আকৃতির হয়ে থাকে। পাতাগুলোর রং সবুজ গাঢ় বর্ণের হয়ে
থাকে। বাংলাদেশে কেশরাজ এর যে সকল গাছগুলো দেখা যায় তা মোটামুটি ১ ফুট
পর্যন্ত উচ্চতা হয়ে থাকে। আবার স্থান ভেদে কোন কোন জায়গায় তিন ফুট উচ্চতা
পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।
কালো কিছু পাতার গোপন কিছু কার্যকারিতা
কালোকেশী পাতার গোপন কিছু কার্যকারিতা রয়েছে যা অনেকেই তা সম্পর্কে অবগত নয়। চুলের যত্নে অধিক পরিমাণে
কেশরাজ ব্যবহার হওয়ার কারণে একে কালোকেশী বলা হয়ে কালোকেশিতে ডিম খাইলিন
গ্লুকোজ ৬ ফসফটের ফসফেট এরথাকে। অনেক রোগের চিকিৎসায় এই ভেষজ গাছটি ব্যবহার
হয়ে থাকে । আসুন জেনে নেওয়া যাক কি কি চিকিৎসার ক্ষেত্রে কালোকেশী ব্যবহার হয়ে
থাকে।
আরো পড়ুনঃ বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়
ডায়াবেটিস চিকিৎসায়ঃ বর্তমানে একটি গবেষণায় দেখা গেছে যদি কোন ডায়াবেটিস
আক্রান্ত রোগী দুই চামচ কেসরাজের রস খায় তাহলে তার ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি
পাওয়া সম্ভব। এটি ব্লাড সুগারের মাত্রা কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
কার্যকরী ভাবে ভূমিকা পালন করতে পারে।
লিভার সুরক্ষার ক্ষেত্রেঃ আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো
লিভার। আর এ লিভার কে সুরক্ষা প্রদান করার ক্ষেত্রে কালোকেশী অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কালোকেশীতে এমিডোপাইরিন নামক এক ধরনের
উপাদান থাকে যা ডিমথাইলিন গ্লুকোজ-৬ ফসফেট এর কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণ
করে লিভার সিরোসিস লিভারের প্রদাহ জন্ডিস দূর করতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে
থাকে।
রক্ত পরিষ্কার করার ক্ষেত্রেঃ রক্ত পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে কালোকেশি বা
কেশরাজ পাতা অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। যদি কোন ব্যক্তির রক্ত
অপরিষ্কার থাকে তাহলে এক চামচ পাতার রস আধা কাপ পানির সাথে মিশিয়ে খেলে রক্তের
সকল ধরনের ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে এবং রক্ত পরিষ্কার
করে। চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার-কালোকেশীর গুনাগুন এবং উপকারিতা অনেক
বেশি যা বলে শেষ করা যায় না।
নিরাপদ কীটনাশক হিসেবেঃ গবেষণায় দেখা গেছে কে সেরা বা কালোকেশী পরিবেশের
কোন ক্ষতি করে না। কেশরাজ পরিবেশের ক্ষতি ছাড়াই মশার লার্ভা ধ্বংস করতে
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ২ চামচ কে সিরাসপাতার রস হাফ লিটার
পানির সাথে মিশিয়ে ঘরের ভিতর বা বাড়ির আনাচে কানাচে যদি স্প্রে করা হয় তাহলে
মশার উপদ্রব থেকে নিমিষে রক্ষা পাওয়া যায়।
কালোকেশী কি চুল পড়া রোধ করে
কালোকেশী কি চুল পড়া রোধ করে এটা আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে। এ প্রশ্নের উত্তরটি
হবে হ্যাঁ অবশ্যই কালকেশী চুল পড়া রোধ করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
কালকালকেশীর পাতা থেকে এক ধরনের রস বের হয় যা আমাদের চুলের জন্য অনেক বেশি
কার্যকরি। কালোকেশী নিয়মিত ব্যবহারের ফলে চুল পড়া রোধ হয় এবং নতুন চুল গজাতে ভূমিকা রাখে।
যদি কেউসপ্তাহের দুই তিন দিন নারিকেল তেলের সাথে কেশরাজ পাতা রস মিশিয়ে
ব্যবহার করা হয় তাহলে চুল পড়ার সমস্যা কমে যায়। এছাড়াও ভৃঙ্গরাজ তেলও পাওয়া
যায় যা ব্যবহারের ফলে চুল পড়া দূর হয়। এখন প্রশ্ন হল চুল পড়া দূর করতে হলে এই
কালোকেশী দিয়ে তেল কিভাবে তৈরি করতে হবে এবং ব্যবহার করতে হবে আসুন
বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
প্রথমে একটি চুলায় প্যান দিতে হবে এক কাপ নারিকেল তেল নিতে হবে এর সাথে
কালোকেশীর পাতা রস যোগ করতে হবে যদি পাতার রস পাওয়া না যায় তাহলে কালোকেশীর
গুড়া এক চামচ ব্যবহার করতে হবে। এর সাথে আরো এক চামচ মেথি যোগ করে নিতে
হবে। অথবা আপনি চাইলে এলোভেরার নির্যাস মিশ্রণ করতে পারেন তাহলে ফলাফল ভালো পাবেন
সকল উপকরণ মেশানো হলে পাঁচ মিনিট জাল দিয়ে নিতে হবে। তারপর চুলা বন্ধ করে
ঠান্ডা হলেই একটি কাচের জারে সংরক্ষণ করতে হবে। এরপর সপ্তাহে দুই-তিন দিন মাথার
ত্বকে ভালোভাবে এপ্লাই করতে হবে তাহলে অবশ্যই চুল পড়া অনেক অংশে কমে যাবে। আশা করি আলোচনার মাধ্যমে বুঝতে পেরেছেন কাল অবশ্যই ব্যবহার করলে চুল পড়া রোধ হয় কিনা।
প্রশ্ন ও সমাধানঃ
প্রশ্ন: কালোকেশী ব্যবহারে চুলের কী উপকারিতা?
উত্তর: কালোকেশী চুলের শুষ্কতা রোধ করে, মজবুত করে এবং প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। এটি চুল পড়া কমাতে ও স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়ক।
প্রশ্ন: চুল পড়া বন্ধে কী করা উচিত?
উত্তর: পুষ্টিকর খাবার, নিয়মিত চুলের তেল ম্যাসাজ, সulfate-free শ্যাম্পু ব্যবহার, এবং পর্যাপ্ত পানি পান চুল পড়া রোধে কার্যকর।
প্রশ্ন: প্রতিদিন চুল ধোয়া কি চুলের জন্য ভালো?
উত্তর: প্রতিদিন চুল ধোয়া চুলের প্রাকৃতিক তেল শুষে নিয়ে শুষ্কতা সৃষ্টি করে। সপ্তাহে ২-৩ দিন মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করা ভালো।
প্রশ্ন: চুল ঘন করার জন্য কী ব্যবহার করা যেতে পারে?
উত্তর: অ্যালোভেরা জেল, ক্যাস্টর অয়েল, এবং আমলকির পেস্ট চুলের ঘনত্ব বাড়ায়। সুষম ডায়েটও এতে সাহায্য করে।
প্রশ্ন: চুল উজ্জ্বল করতে কী করা যায়?
উত্তর: ডিমের সাদা অংশ ও মধুর মাস্ক, গভীর কন্ডিশনিং, এবং সঠিক ডায়েট চুলের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
প্রশ্ন: শীতকালে চুলের যত্নে কী করা উচিত?
উত্তর: শীতকালে নিয়মিত তেল ম্যাসাজ, গভীর কন্ডিশনিং, এবং সিলিকন-মুক্ত পণ্য ব্যবহার করলে চুল মজবুত থাকে।
প্রশ্ন: চুলে রাসায়নিক রং ব্যবহারের ক্ষতি কী?
উত্তর: রাসায়নিক রং চুলের প্রাকৃতিক কোষ নষ্ট করতে পারে, শুষ্কতা ও ভঙ্গুরতা বাড়ায়। হেনা বা প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করলে ক্ষতি কম হয়।
শেষ কথা
চুলের যত্নে কালোকেশী ব্যবহার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। প্রিয় পাঠক আশা করি আপনারা পুরো আর্টিকেলটি অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং কেশরাজ বা কালোকেশী চুলের যত্ন ছাড়াও আরো কত গুনে গুণান্বিত সে বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। আমরা সর্বদা আমাদের লেখনীর মাধ্যমে আপনাদের অজানা বিষয়কে তুলে ধরার চেষ্টা করি আমরা কোন প্রকার ওষুধ বিক্রয় বা অন্য কোন লেনাদেনার সাথে যুক্ত নয়।
আপনাদের যদি উক্ত আর্টিকেলটিভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো
করতে ভুলবেন না। কারণ আমরা প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য বিষয়ে নতুন নতুন পোস্ট আপলোড
দিয়ে থাকি। যদি আপনাদের এই পোস্ট উপকার আসে তাহলে অবশ্যই বন্ধুবান্ধব ও
পরিচিতদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
ড্রিমস ব্লগারেরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url