ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক - ড্রাগন ফলের অপকারিতা
কালোজিরা খেলে কি হয়ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক নিয়ে আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব। বর্তমানে
ড্রাগন ফল একটি জনপ্রিয় ফল ছোট থেকে বড় এ ফল সকলেই খুব বেশি পছন্দ করে।
অন্যান্য ফলের তুলনায় দামে যেমন কিছুটা কম ঠিক দেখতে অনেক সুন্দর এবং সুস্বাদু
হওয়ার জন্য এই ফল সকলে খেতে খুব বেশি পছন্দ করে থাকে। এ ফলের অনেক
পুষ্টিগুণ রয়েছে।
তবে সকল জিনিসের যেমন ভাল ও খারাপ দিক রয়েছে তেমন ড্রাগন ফলেরও কিছু খারাপ দিক
রয়েছে।কেউ যদি মাত্রা অতিরিক্ত প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ড্রাগন ফল খেয়ে থাকে
তাহলে অবশ্যই কিছু কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে । কেউ যদি
ড্রাগন ফল অনেক বেশি পছন্দ করে থাকে এবং প্রতিদিন খেয়ে থাকে তাহলে তার অবশ্যই
ড্রাগনের যে ক্ষতিকর দিকগুলো রয়েছে তা জানা প্রয়োজন।
পেজ সূচিপত্রঃ ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক
-
ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক
- ড্রাগন ফলের অপকারিতা
-
ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
-
গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা
-
ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক সময়
- লাল ড্রাগন ফলের উপকারিতা
- ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা
-
সারসংক্ষেপঃ ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক
ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক
ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে অনেকে জানেনা। তাই আজকের আর্টিকেলে আমরা
ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক নিয়ে আলোচনা করব।ড্রাগন খুব জনপ্রিয় ফল এটা
ছোট-বড় সকলে খুব পছন্দ করে সকল ফলের চাইতে দামে কিছুটা কম হওয়ার জন্য এবং দেখতে
খুবই আকর্ষণীয় ও সুস্বাদু হওয়ার জন্য সবাই ড্রাগন খেতে খুব পছন্দ করে
থাকে। তবে বর্তমানে ড্রাগন ফলের অনেক জনপ্রিয়তা থাকার কারণে কিছু অসাধু
ব্যবসায়ীরা খুব দ্রুত ড্রাগনকে বড় করার জন্য টনিক ব্যবহার করছে।
আরো পড়ুনঃ
কাঁচা গাজর খাওয়ার উপকারিতা
এ টনিক আমাদের শরীরের জন্য খুবই মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই ড্রাগন কেনার পূর্বে
অবশ্যই ভালোভাবে দেখে শুনে কিনতে হবে। এছাড়াও ড্রাগন কে আরো আকর্ষণীয় ও
অল্প সময়ে পাকানোর জন্য বিভিন্ন কেমিক্যাল ব্যবহার করা হচ্ছে এটাও আমাদের শরীরের
জন্য খুব ক্ষতিকর। তাই ড্রাগন কেনার পূর্বে অনেক সতর্কতা অবলম্বন করতে
হবে। কেননা ছোটদেরও ড্রাগন খুব পছন্দের খাবার । যে সকল ড্রাগন সাইজে
অনেক বেশি বড় সেগুলো ভালো নয়।
এছাড়াও ড্রাগনে রয়েছে অত্যাধিক পরিমাণ শর্করা যা রক্তের শর্করা পরিমাণ যেকোনো
সময় বাড়িয়ে দিতে পারে তখন ডায়াবেটিসের সমস্যা যাদের রয়েছে তাদের সেই সমস্যা
আরো বেড়ে যেতে পারে। তাই যারা ডায়াবেটিস রোগী তারা ড্রাগন খাওয়ার
পূর্বে কি পরিমান খেতে পারবেন তা সম্পর্কে অবশ্যই আগে ডাক্তারের পরামর্শ
নিবেন। এলার্জির সমস্যা যাদের আছে সে ক্ষেত্রেও তাদের অ্যালার্জি বেড়ে
যাওয়া সম্ভাবনা থাকতে পারে।
ড্রাগন অত্যাধিক গোলাপি রঙের হওয়ার জন্য যদি কেউ বেশি পরিমাণে ড্রাগন খেয়ে
থাকে তাহলে তার প্রসব গোলাপের অঙ্গে হয়ে যেতে পারে।ড্রাগন ফলে রয়েছে
প্রচুর পরিমাণ ফাইবার তাই নিয়ম মেনে ড্রাগন খেতে হবে মাত্রা অতিরিক্ত ড্রাগন
কখনই গ্রহণ করা ঠিক হবে না। কেউ যদি অনেক বেশি ড্রাগন খেয়ে থাকে তাহলে তার
বদহজমের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ড্রাগন ফলের অপকারিতা
ড্রাগন ফলের অপকারিতা অনেকে জানে না। অনেকের খুব পছন্দের একটি ফল হল
ড্রাগন। ফলটি দেখতে যতটা সুন্দর ঠিক তেমন খেতে ও অনেক সুস্বাদু। ছোট
থেকে বড় সকলের পছন্দের ফলের তালিকায় এ ড্রাগন ফলটি
রয়েছে। তবে কেউ যদি অতিরিক্ত এ ফলটি খেয়ে থাকে তাহলে কিছু সমস্যা দেখা
দিতে পারে। অনেক সময় যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে তারা যদি এই ফল
অনেক বেশি খায় তাহলে তাদের গ্যাসের সমস্যা বেড়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ
শিমুল মূল খাওয়ার উপকারিতা
কারো অ্যালার্জি সমস্যা থেকে থাকে তাহলে যদি অতিরক্ত ড্রাগন খায় তাহলে তার
অ্যালার্জি বেড়ে যেতে পারে । তাই অ্যালার্জি যাদের রয়েছে তাদের অতিরিক্ত
ড্রাগন খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। খুব বেশি পরিমানে ড্রাগন ফল খেলে
কিডনির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। আবার যাদের কিডনির পাথর সমস্যা রয়েছে
তারা যদি ড্রাগন খায় তাদের কিডনির পাথর সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। আবার
ডায়াবেটিস রোগী যদি বেশি মাত্রায় ড্রাগন খেয়ে থাকে তাহলে তার সুগারের
পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুন ও উপকারিতা
ড্রাগন ফলের পুষ্টিগুন ও উপকারিতা অনেক বেশি। এ ফলটি ছোট থেকে বড় সকলেই
খুব ভালো করে খেতে পারে কেননা এটি অত্যাধিক নরম এবং সুস্বাদু একটি
ফল। যেমন সুন্দর দেখতে ফলটি ঠিক তেমন পুষ্টিগুণেও ভরপুর এবং এর উপকারিতা
অনেক বেশি। আসুন আমরা ড্রাগন ফলের পুষ্টিগ্ন উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত
জেনে নেই।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়ঃ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ড্রাগন ফল
কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ডায়াবেটিস যদি নিয়ম অনুযায়ী ড্রাগন ফল গ্রহণ
করে থাকে তাহলে তার মধ্যে থাকা ফাইবার চিনির মধ্যকার স্পাইক
এরাই। ড্রাগনের মধ্যে এমন এক উপাদান রয়েছে যা ইনসুলিন তৈরি করে চিনিকে
ভেঙে দেয়। তাই ড্রাগন ফলকে চিনি নিয়ন্ত্রণের জন্য অত্যন্ত কার্যকারী
একটি ফল মনে করা হয়।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়ঃ ড্রাগন ফলের মধ্যে অনেক বেশি
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্লেভোনয়েড, ফেনোলিক, এসিড এবং বিটা
সায়ানিন সমৃদ্ধ। এটি বিশেষ করে কোলন ক্যান্সারের মতো ক্যান্সার এর ঝুঁকি
কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী। এ ফলটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ তাই শরীরের রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে। এটি বিভিন্ন
দীর্ঘস্থায়ী রোগ যেমন ক্যান্সার ডায়াবেটিস পারকিনসন এর মত জটিল রোগ প্রতিরোধে
ভূমিকা পালন করে।
আরো পড়ুনঃ
কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ ফল হল ড্রাগন ফল এর ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম তবে এতে
যথেষ্ট পরিমাণ ডায়েটরি ফাইবার বিদ্যমান। এক কাপ ড্রাগন ফলে ক্যালরির
পরিমাণ ১৩৬, প্রোটিনের মাত্রা ৩, ফ্যাটের
মাত্রা০, ফাইবারের মাত্রা ৭ গ্রাম, আয়রনের মাত্রা ৮%
ম্যাগনেসিয়ামের মাত্রা ১৮% ভিটামিন সি এর মাত্রা ৯ শতাংশ ভিটামিন ই এর মাত্রা
৪ শতাংশ। এত পুষ্টিগুণ থাকার জন্য আমাদের শরীরে এ ফলটি অত্যাধিক
প্রয়োজনীয়।
হার্টের জন্য উপকারীঃ এর ফলটি হার্টের রোগীর জন্য খুবই উপকারী একটি
ফল। এ ফলের বীজগুলোতে ওমেগা ৩ এবং ওমেগা ৯ ফ্যাটি এসিড রয়েছে। এগুলো
হাটের জন্য অত্যাধিক উপকারী এবং কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ এর ঝুঁকি কমাতে সাহায্য
করে। তাই এই ফল খেলে হার্টের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব ভালো ফলাফল পাওয়া
যায়। এছাড়াও অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা মানসিক চাপ দুশ্চিন্তা ও খারাপ খাদ্য
অভ্যাসের কারণে আজকাল অল্প বয়সে বার্ধক্যর মত সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যেহেতু
ড্রাগন ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সেহেতু এটি খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে
সাহায্য করে এবং চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে।
গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের উপকারিতা অনেক বেশি। বর্তমানে এমন অনেক মা
রয়েছে যারা গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা গুলো ভালোভাবে জানে
না। যেহেতু গর্ভাবস্থায় ড্রাগন ফলের অনেক উপকার রয়েছে তাই সকলের এ
বিষয়টি ভালোভাবে জানা দরকার। কেননা গর্ভবতী মা শুধু নিজের স্বাস্থ্যই না
বরং তার সাথে অন্য একটি প্রাণের সম্পর্ক থাকে মা যত ভালো থাকবে সন্তান ঠিক
ততটাই ভালো থাকবে। আর সন্তানও মা ভালো থাকার ক্ষেত্রে ড্রাগন ফল খেলে খুব ভালো
উপকার পাওয়া যায়।
কেননা ড্রাগন ফলে ভিটামিন বি, ফলেট, আইরন ইত্যাদি রয়েছে যা একজন
গর্ভবতী মায়ের জন্য খুবই দরকারি। ভিটামিন বি ও ফলেট নবজাতকের
ত্রুটিগুলো দূর করতে সাহায্য করে। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি
থাকার জন্য গর্ভবতী মায়ের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য
করে। ড্রাগন ফলে যে উপাদান রয়েছে তা ভ্রুনের হার বৃদ্ধি করতে
সাহায্য করে থাকে।
ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক নিয়ম
ড্রাগন ফল খাওয়ার সঠিক নিয়ম কি আপনাদের জানা আছে। আপনাদের যদি
এই বিষয়টি না জানা থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি এ বিষয়টি জেনে রাখবেন। ড্রাগন
ফল খাওয়ার নিয়ম-কানুন না জানা থাকলে এটা অনিয়মিত ভাবে খেলে অনেক সময় যেকোনো
ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। ড্রাগন আপনি সকাল অথবা বিকেলে খেতে
পারেন। ভরা পেটে ড্রাগন না খাওয়াই ভালো কারণ খালি পেটে ড্রাগন খেলে বেশি
ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
ড্রাগন ফল খাওয়ার সময় অবশ্যই তা পানি দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে
তারপর খোসাটি সুন্দরভাবে ছাড়িয়ে ভেতরের সুন্দর নরম আঁশগুলো খেতে হবে। এর
খোসা সরাসরি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে তবে আপনি চাইলে ড্রাগন ফলের খোসা
পরবর্তীতে জুস বানিয়ে খেতে পারবেন। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগুণ
বিদ্যমান থাকার জন্য এটা খাদ্য তালিকায় রাখা যেমন দরকার তেমন সেটি কি নিয়মে
খেলে পুষ্টিগুণ বজায় থাকে সেদিকেও লক্ষ রাখা আমাদের দরকার।
লাল ড্রাগন ফলের উপকারিতা
লাল ড্রাগন ফলের উপকারিতা অনেক বেশি। লাল ড্রাগন ফলকে আবার কেউ পিটায়া
নামে চিনে থাকে। প্রাণবন্তর সুন্দর রং এবং অনেকগুলো স্বাস্থ্য সুবিধার
কারণে দিন দিন ড্রাগনের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। এ ফলটি শুধু দেখতে
সুন্দর তাই নয় বরং এতে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিগণ বিদ্যমান। তাই উক্ত
নিবন্ধে আমরা লাল ড্রাগন ফুলের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করব।
ভিটামিন এবং খনিজঃ লাল ড্রাগন ফলে ভিটামিন সি ভিটামিন বিটামিন ই সহ
বেশ কয়েক ধরনের ভিটামিন রয়েছে। এই ভিটামিন গুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। তাছাড়াও ত্বকের স্বাস্থ্যকে সুন্দর রাখতে কাজ
করে। এর মধ্যে রয়েছে আরও ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম আয়রন এর মত
প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান যা হাড়ের স্বাস্থ্য এবং বিপাকীয় কার্যকলাপ গুলোর
ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টঃ লাল ড্রাগনের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ এন্টি
অক্সিডেন্টের আঁধার রয়েছে। এই অ্যান্টি অক্সিডেন্টগুলো এমন
যৌগ যেগুলো শরীরের যেকোনো ধরনের ক্ষতি প্রতিরোধ করে দীর্ঘস্থায়ী
রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। ড্রাগনের আকর্ষণীয় প্রাণবন্ত লাল
রং বেটা লাইনের উপস্থিতির কারণে হয় একদল শক্তিশালী আন্টি অক্সিডেন্ট যা খুবই
গুরুত্বপূর্ণ উপাদান মানব দেহের জন্য।
হজমে সাহায্য করেঃ লাল ড্রাগনের সবচাইতে উল্লেখ যোগ্য সুবিধা হল
উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ ফল এটি।লাল ড্রাগনে এমন এক উপাদান রয়েছে যা কোষ্ঠকাঠিন্যর
মত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে থাকে এবং হজমের সমস্যা দূর করে স্বাস্থ্যকর
পাচনতন্ত্র গঠন করতে সাহায্য করে। যে ব্যক্তি তার খাদ্য তালিকায় লাল
ড্রাগন রাখবে তার পাচনতন্ত্র মসৃণ এবং দক্ষতার সাথে কাজ করবে। এত সব
উপকারিতা শর্তেও ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক রয়েছে সেদিকেও কিন্তু খেয়াল রাখতে
হবে।
ড্রাগন ফলের খোসার উপকারিতা
ড্রাগন ফলের খোসার অনেক উপকারিতা রয়েছে। ড্রাগন ফল শুধু মানুষের
জন্য উপকারী তাই নয় বরং ড্রাগন ফলের খোসাতে রয়েছে অনেক গুনাগুন। ড্রাগন
ফলের খোসাতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ওমেগা ফ্যাটি এসিড বিটা ক্যারোটিন
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফাইবার এবং আয়রন যা আমাদের শরীরের জন্য খুব
বেশি উপকারী। তবে এটি সরাসরি খাওয়া যায় না জুস বানিয়ে খেলে খুব
ভালো উপকার পাওয়া যায় আসুন এর উপকারিতাগুলো জেনে নেওয়া যাক।
- চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়
- ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনে
- হজমের জন্য ভালো কাজ করে থাকে
- হাড়কে শক্ত রাখে
- ত্বক মসৃণ ও সুন্দর রাখতে সাহায্য করে
- হার্টের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য
কেউ যদি ড্রাগন ফলের খোসা জুস বানিয়ে খায় তাহলে উপরের সমস্যাগুলো থেকে
মুক্তি পাবে ইনশাআল্লাহ। আমরা না জানার কারণে শুধু ড্রাগনের ভেতরের অংশ
খেয়ে বাইরের অংশ ফেলে দেয়। তাই আজ থেকে আমরা ড্রাগনের খোসা আর না ফেলে জুস
বানিয়ে খাবো এবং অনেক ভালো উপকার পাব। ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক যেমন
রয়েছে তার চাইতে বেশি অনেক উপকারী দিকো রয়েছে।
সারসংক্ষেপঃ ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক
প্রিয় পাঠক আশা করি আপনারা নিশ্চয় ড্রাগন ফলের ক্ষতিকর দিক যেগুলো রয়েছে তা
বুঝার পাশাপাশি এর উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। আলোচনা থেকে
আপনারা স্পষ্টভাবে এটি বুঝতে পেরেছেন যে ড্রাগন ফলের যে ক্ষতিকর দিক রয়েছে তার
চাইতে কিন্তু অনেক বেশি উপকারী দিক রয়েছে। এটা আমাদের শরীরের জন্য খুবই
উপকারী একটি ফল।
আপনাদের যদি উক্ত আর্টিকেলটি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো
করতে ভুলবেন না। কেননা আমরা প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্য বিষয়ে নতুন নতুন পোস্ট
আপলোড করে থাকি। আর আমাদের পোস্টে যদি আপনারা কোন ভুল ত্রুটি পান তাহলে
অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন আমরা পরবর্তীতে সেগুলো সংশোধন করার
চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। আসসালামু আলাইকুম।
ড্রিমস ব্লগারেরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url