গর্ভাবস্থায় জরায়ু মুখ খোলার লক্ষণ

ছেলে সন্তান কত মাসে হয়গর্ভাবস্থায় জরায়ু মুখ খোলার লক্ষণ গুলো অনেকে জানে না। এখন পর্যন্ত অধিকাংশ মহিলারাই জানে না কিভাবে চলাফেরা করলে নরমাল ডেলিভারি হওয়া সম্ভাবনা থাকে। কিছু কিছু বিষয়ে সতর্ক না থাকার কারণে বা না জানার কারণে অনেক গর্ভবতী মহিলা গর্ভাবস্থায় অনেক চিন্তিত থাকে।
গর্ভাবস্থায়-জরায়ু-মুখ-খোলার-লক্ষণ
গর্ভাবস্থায় কি ধরনের উপসর্গ গুলো দেখা দিতে পারে গর্ভাবস্থায় কোন সময় জরায়ুর মুখ খুলে কি কি লক্ষণ দেখা দেয় এ বিষয়গুলো নিয়ে আজকে আমরা আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ। আশা করি পুরো আর্টিকেলটি আপনারা মনোযোগ সহকারে পড়বেন । 

পেজ সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় জরায়ুর মুখ খোলার লক্ষণ

গর্ভাবস্থায় জরায়ু মুখ খোলার লক্ষণ

গর্ভাবস্থায় জরায়ু মুখ খোলার লক্ষণগুলো জানা এবং সঠিক সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । কেননা এই ক্ষেত্রে যদি আমরা সঠিকভাবে এই লক্ষণগুলো বুঝতে না পারি তাহলে অনেক সময় গর্ভপাত হওয়ার সম্ভাবনা ও থাকতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় এই জরায়ুর মুখ খোলার লক্ষণগুলো জানা খুবই প্রয়োজনীয় এবং পর্যাপ্ত যত্ন নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসুন জরায়ুর মুখ খোলার লক্ষণগুলো জেনে নেওয়া যাক।
পেটে প্রচন্ড ব্যথা ঃ গর্ভাবস্থায় জরায়ুর মুখ খোলার প্রথম এবং গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ হল পিঠে এবং পেটে প্রচন্ড ব্যথা অনুভূত হবে। এই ব্যথা সাধারন এলোমেলো বা নিয়মিতভাবে অনুভূত হতে পারে কখনো মনে হবে হালকা ব্যথা আবার কখনো তীব্র ব্যথা হতে পারে। সন্তান প্রসবের আগ মুহূর্তে এই ধরনের ব্যথা অনুভূত হয় এটি গর্ভাবস্থায় প্রথম ভাগের দিকে ঘটে। 

তলপেটে ব্যথাঃ গর্ভাবস্থায় জরায়ু মুখ খোলার একটি অন্যতম লক্ষণ হলো তল পেটে ব্যথা। মাসিক চলাকালীন সময়ে কিছু না এদের ক্ষেত্রে যেমন তীব্র ব্যথা হয় ঠিক সেই রকম ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এ ব্যথা অনেক সময় হালকা হয় আবার অনেক সময় তীব্র হয়ে থাকে। 

জরায়ু মুখ নরম বা পাতলা হওয়াঃ গর্ভ অবস্থায় জরায়ুর মুখের গঠন পরিবর্তন হয়ে যাওয়া। যখন দেখা যাবে জরায়ু মুখ নরম পাতলা হয়ে যায় তখন বুঝতে হবে সে জরায়ু মুখ খোলার একটি লক্ষণ । এ সময়ে জরায়ুর মুখের গঠন কেবল ১ ইঞ্চি থেকে প্রসারিত হতে শুরু করে এবং তা ধীরে ধীরে প্রসারিত হতে শুরু করে। 

সহবাসের পর ব্যথাঃ সহবাসের পর যদি ব্যথা অনুভূত থাকে এবং তা অব্যাহত থাকে তাহলে জরায়ু মুখ খোলার একটি অন্যতম লক্ষণ হতে পারে। এ ব্যথা সব সময় বিপদজনক হয় না এটি একটি স্বাভাবিক বিষয় । তবে তীব্র ব্যথা আবার অনেক সময় বিপদের কারণ হতে পারে সেজন্য ব্যথা অনুভূতি হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। 

গর্ভাবস্থায় জরায়ু নিচে নামার লক্ষণ

গর্ভাবস্থায় জরায়ু নিচে নামার লক্ষণ অনেকে জানে না। গর্ভ অবস্থায় জরায়ুর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা গর্ভের শিশুকে সঠিক জায়গা প্রদান করে থাকে জরায়ু। এটি গর্ভবতীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংগ। গর্ভবতী অবস্থায় জরায়ুতে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। অনেকের ব্যথা হয় আবার অনেকের জরায়ু নিচের দিকে নেমে যায়। আসুন গর্ভাবস্থায় জড়ায় নিচে নামার লক্ষণগুলো জেনে নেওয়া যাক। 
  • গর্ভাবস্থায় যদি জরায়ু নিচের দিকে নেমে যায় সব সময় অস্বস্তিকর একটি অনুভূতি হয়। অনেক সময় মনে হয় জরায়ু দিয়ে কিছুই একটা বের হয়ে চলে আসছে অনেক সময় আবার ভারি ভারি মনে হয়। 
  • দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় অনেক সময় মাজার ব্যথা অনুভূত হয়
  • অনেক সময় ঘনঘন প্রসব হওয়ার সমস্যা দেখা দেয় আবার ফোঁটা ফোটা হয়ে প্রসব বের হতে থাকে।
  • সাদা স্রাব লাল স্রাব অনেক সময় দেখা দিতে পারে

গর্ভাবস্থায় জরায়ুতে ইনফেকশনের কারণ

গর্ভাবস্থায় জরায়ুতে ইনফেকশন বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এই কারণগুলো সাধারণত ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস বা অন্যান্য মাইক্রোবিয়াল এজেন্ট দ্বারা সৃষ্টি হয়ে থাকে। আসুন আমরা জেনে নিই গর্ভাবস্থায় জরায়ুতে ইনফেকশন হওয়ার বিভিন্ন কারণগুলো। 

১. ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজিনোসিসঃ গর্ভাবস্থায় জরায়ুতে ইনফেকশনের এটি একটি উন্নতম কারণ। কেননা ব্যাকটেরিয়া যখন জরায়ু বা মলদ্বারের আশেপাশের অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে তখনই এটি জরায়ুতে ইনফেকশন সৃষ্টি করে থাকে।

২. যৌন যোগাযোগঃ যখন স্বামী স্ত্রী মিলত হয় তখন যৌনভাবে সংক্রামক রোগ যেমন গনোরিয়া সিফিলিস ক্লামিডিয়া ইত্যাদি ইনফেকশনের মাধ্যম হতে পারে। তাই সর্বদা সহবাসের ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। 

৩.ব্যক্তিগত স্যানিটেশনঃ গর্ভাবস্থায় জরায়ুতে ইনফেকশনের একটি অন্যতম কারণ হলো অস্বাস্থ্যকর স্যানিটেশন। আমরা অনেক সময় অসুস্থকর প্যান্টি ও প্যাড টিস্যু ব্যবহার করে থাকি যার ফলে সেগুলোর মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া আমাদের জরায়ুতে প্রবেশ করে এবং ইনফেকশন ছড়ায়। 

৪. ওভারব্যাকটেরিয়া ঃ অনেক মহিলাদের গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তনের কারণে শরীরের মধ্যে অতিরিক্ত ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয় এবং তা থেকে জড়ায়ুতে সংক্রমণ করে ইনফেকশন তৈরি করে। 

৫. সুগার ডায়াবেটিসঃ যদি কোন গর্ভবতী মহিলা ডায়াবেটিসে ভুগে থাকে তাহলে তার জন্য ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি একটু বেশি থাকে কারণ উচ্চ রক্তের শর্করার পরিমাণ ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ঘটাতে পারে এবং তখন জরায়ুতে ইনফেকশন সৃষ্টি করেন। 

গর্ভাবস্থায় জরায়ু ব্যথার কারণ

গর্ভাবস্থায় জরায়ুর ব্যথা বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকতে পারে। গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন কারণে জরায়ুর ব্যথা হতে পারে। অনেক সময় জরায়ুর ব্যথা স্বাভাবিক হয়ে থাকে। কোন সময় তা ঝুঁকির কারণ হয় না আবার কোন কোন ক্ষেত্রে এমন তীব্র ব্যথা হয় যা ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায় তাই আসুন গর্ভাবস্থায় জরায়ুর ব্যথার কারণ গুলো জেনে নেওয়া যাক। গর্ভাবস্থায় জরায়ুর মুখ খোলার লক্ষণ গুলির পাশাপাশি জরায়ুর ব্যাথার কারণ জানা প্রয়োজন।
গর্ভাবস্থায়-জরায়ু-ব্যথার-কারণ
  • বেবি যদি গর্ভাবস্থায় মিসক্যারেজ হয় বেশি হয় বা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে রক্তপাতের সাথে সাথে পেট তীব্র ব্যথা ও হালকা ব্যথা শুরু হয়ে যায় এবং পেট ব্যথা শুরু হয়। তখন জরায়ুতে ব্যথা অনুভূত হয়। 
  • পূর্বে সিজারিয়ান থাকলে দ্বিতীয়বার যখন গর্ভধারণ করবে সে ক্ষেত্রে তার জরায়ুতে ব্যথা হতে পারে। আগের সেলাই যদি ঠিকমতো না দেয়া হয় বা কাটা জায়গায় টান লাগে সে ক্ষেত্রে ব্যথা দৃষ্টি হতে পারে। আবার জরায়ু যদি বড় হয়ে যায় তাহলে সে ক্ষেত্রে তা ফেটে যেতে পারে এজন্য দ্বিতীয়বার গর্ভধারণ করলে অবশ্যই বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। 
  • অনেক সময় ৩৭ সপ্তাহের আগেই প্রসব বেদনা দেখা দিতে পারে এক্ষেত্রে তলপেট ও পিঠে যেমন  ব্যথা করবে তার পাশাপাশি ইউটেরাইন কনস্ট্রাকশন রক্তপাত পানি ভাঙ্গা দেখা দিবে। এ সময় যদি জড়া হতে তীব্র ব্যথা হয় তাহলে ভয় পাওয়ার কারণ নেই এটি প্রসব বেদনা বলে ধরে নেওয়া যায়। 

গর্ভাবস্থায় জরায়ুর পরিবর্তন

গর্ভাবস্থায় জরায়ুর পরিবর্তন সকলের হয় যারা মা হয়েছেন তারা এ বিষয়টি কম বেশি সকলেই জানেন। গর্ভাবস্থায় জরায়ুর যে পরিবর্তন হয় সে পরিবর্তনের মধ্যে অন্যতম একটি পরিবর্তন হলো জরায়ু বড় হয়ে যাওয়া। কোন মহিলা গর্ভধারণের পূর্বে তার জরায়ু ছোট সাইজের হয়ে থাকে আর যখন সে গর্ভবতী হয় তখন তার জরায়ু বৃদ্ধি পেতে থাকে ক্রমশ। মহিলাদের জরায়ু গর্ভাবস্থার পূর্বে একটি নাশপাতি আকারের হয়ে থাকে।
কিন্তু যখন গর্ভ ধারণ করে তখন তার জরায়ু দিন দিন বড় হতে থাকে যা অগ্রগতির সাথে সাথে ক্রমবর্ধমান ভ্রুণকে মিটমাট করার জন্য বারবার প্রসারিত হতে থাকে গর্ভাবস্থার শেষের দিকে এটি তার গর্ভাবস্থার পূর্বের আকারের কয়েকগুণ পর্যন্ত বড় হয়ে থাকে। এ সময় জরায়ু অনেক বড় হয়ে যায় যাতে বাচ্চা খুব সুন্দর ভাবে প্রাকৃতিক নিয়মে দুনিয়ায় প্রবেশ করতে পারে। কেননা সন্তান প্রসবের  রাস্তা হল জরায়ু যারা আকার পরিবর্তনের মাধ্যমে সন্তান ভুমিষ্ট হয়। 

গর্ভাবস্থায় জরায়ুর মুখ খোলার জন্য করনীয়

গর্ভাবস্থায় জরায়ুর মুখ খোলার জন্য বিশেষ কিছু উপায় রয়েছে। যদি কারো জরায়ুর মুখ না খোলে সময় হয়ে যাওয়ার পরও তাহলে বেশ কিছু প্রাকৃতিক ও চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে যার মাধ্যমে জরায়ুর মুখ খুলে যায়। আসুন জরায়ুর মুখ খোলার জন্য প্রাকৃতিক ও চিকিৎসা গত কি কি পদ্ধতি রয়েছে সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।
গর্ভাবস্থায়-জরায়ুর-মুখ-খোলার-জন্য-করনীয়

জরায়ুর মুখ খোলার প্রাকৃতিক উপায়

১. হাটা এবং শারীরিক ক্রিয়াকলাপঃ অনেক সময় সময়ই পার হয়ে যাওয়ার পরও জরায়ুর মুখ তেমন ভাবে খোলে না। সে ক্ষেত্রে হাটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে গর্ভাবস্থায় যদি হাটা চলাফেরা করা যায় তাহলে সময়ের সাথে সাথে খুব সুন্দর ভাবে  জরায়ুর মুখ খুলে যায় তাই হাঁটার বিকল্প নেই। 

২. যোগব্যায়ামঃ গর্ভাবস্থায় যোগ ব্যায়াম করা প্রয়োজন কেন না যোগ ব্যায়ামের মাধ্যমে পেশীগুলো সংকুচিত এবং প্রসারিত হতে পারে যার মাধ্যমে জরায়ুর মুখ সুন্দরভাবে খুলে যায়। তবে কি ধরনের যোগ ব্যায়াম করতে হবে তা শুরু করার আগে অবশ্যই গাইনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

৩. সহবাসঃ গর্ভাবস্থার শেষের দিকে অনেক সময় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সহবাস করলে এটি জরায়ুর মুখ খোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বীর্যে একপ্রকার পদার্থ থাকে যা জরায়ুর মুখে নরম করতে সাহায্য করে থাকে।  তবে যৌন মিলনের ক্ষেত্রেও ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে করতে হবে কারণ অনেক ক্ষেত্রে এটি আবার বিপদজনক হতে পারে। 

চিকিৎসা গত পদ্ধতি

১.মেমব্রেন স্ট্রিপিংঃ গর্ভাবস্থায় জরায়ুর মুখ খোলার জন্য ডাক্তাররা মেমব্রেন স্ট্রিপিং এই পদ্ধতিতে ব্যবহার করে থাকে। এ সময় ডাক্তাররা হাতে গ্লাভস পড়ে জরায়ুর মুখে মেমব্রেন আলগা করেন যা প্রসবের সংকোচন শুরু করতে সাহায্য করে থাকে এটির সামান্য কষ্টকর হলেও জরায়ুর মুখ খোলার ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। 
 
২.অক্সিটোসিনঃ গর্ভাবস্থায় জরায়ুর মুখ খোলার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি জরায়ুর সংকোচন বাড়াতে খুবই সাহায্য করে থাকে এবং প্রসব প্রক্রিয়াকে দ্রুত ত্বরান্বিত করে থাকে। গর্ভ অবস্থায় জরায়ুর মুখ খোলার জন্য এই পদ্ধতি ও ভালো জনপ্রিয়। 

লেখক এর শেষ কথা

গর্ভাবস্থায় জরায়ু মুখ খোলার লক্ষণ গুলো কি কি এ বিষয়টি খুব ভালোভাবে আলোচনা করলাম। এমন অনেক মহিলা রয়েছে যারা গর্ভাবস্থায় জরায়ু মুখ খোলার লক্ষণগুলো কি এ বিষয়ে কিছুই জানে না তাই আমরা উক্ত আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদের না জানা বিষয়গুলো খুব সুন্দর করে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আশা করি আপনারা পুরো আর্টিকেলটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। 

আপনাদের যদি আমাদের আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আর্টিকেল টির নিচে আপনাদের মতামত জানাতে ভুলবেন না। আর যদি পোস্টে কোনরকম ভুল পান তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে অবগত করুন আমরা আমাদের ভুলগুলো সংশোধন করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।এতক্ষণ ধৈর্য ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ আসসালামু আলাইকুম।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমস ব্লগারেরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url