গর্ভাবস্থায় কত সপ্তাহে কত মাস
গর্ভাবস্থায় পেট শক্ত হয় কেনগর্ভাবস্থায় কত সপ্তাহে কত মাস এ প্রশ্নটি অনেক গর্ভবতী মায়েরা করে থাকেন।
এটা গর্ভবতী মায়েদের জন্য খুবই কমন এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। আজকে আমরা আমাদের
এই পোস্টটিতে এ বিষয় নিয়ে সম্পূর্ণ আলোচনা করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। আপনি
যদি আমাদের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে খুব সহজেই তা সম্পর্কে জানতে
পারবেন।
আমাদের এই পোস্টটিতে গর্ভাবস্থায় কত সপ্তাহে কত মাস সহ গর্ভাবস্থার আরো বেশ
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। আমরা জানি গর্ভাবস্থার এই সময়
কালকে সপ্তাহ হিসেবে গণনা করা হয়। কিন্তু অনেকেই এটি মাস হিসেবে গণনা করতে
পারেন না মূলত তাদের উদ্দেশ্যেই লেখা হয়েছে আমাদের এই পোস্টটি তো চলুন
শুরু করা যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ গর্ভাবস্থায় কত সপ্তাহে কত মাস
- গর্ভাবস্থায় কত সপ্তাহে কত মাস
- ২৮ সপ্তাহের গর্ভাবস্থায় কত মাস
- ৩৬ সপ্তাহের গর্ভাবস্থায় কত মাস
- ৩৭ সপ্তাহে সিজার করা যায়
- সর্বনিম্ন কত সপ্তাহে সিজার করা যায়
- ২য় সিজার কত সপ্তাহে করা যায়
- শেষ মন্তব্যঃ গর্ভাবস্থায় কত সপ্তাহে কত মাস
গর্ভাবস্থায় কত সপ্তাহে কত মাস
গর্ভ অবস্থায় কত সপ্তাহে কত মাস হয় এটা অনেক গর্ভবতী মহিলারা জানেন না।
চিন্তা করার কোন প্রয়োজন নেই কারণ আমাদের এই পোস্টটি করার পর থেকে আপনি খুব
সহজেই এগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন। মূলত গর্ভাবস্থার সময়কে তিন ভাগে ভাগ করা
হয়ে থাকে। ১ নাম্বার হল প্রথম ত্রৈমাসিক, দুই নাম্বার টি হল দ্বিতীয়
ত্রৈমাসিক, তিন নাম্বারটা হলো তৃতীয় ত্রৈমাসিক। সাধারণত প্রতি তিন মাসকে
ত্রৈমাসিক বলা হয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ
ছেলে সন্তান কত মাসে হয়
তবে এটা সপ্তাহে হিসেবে গুনতে গেলে একটু ভিন্ন হবে। সপ্তাহের হিসেবে গুনতে গেলে
প্রথম এক থেকে ১৩ সপ্তাহকে প্রথম ত্রৈমাসিক, ১৪ থেকে ২৭
সপ্তাহকে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক, আর ২৮ সপ্তাহের পরবর্তী সময় কালকে তৃতীয়
ত্রৈমাসিক বলা হয়ে থাকে। এখন আপনি হিসাব অনুযায়ী মিলিয়ে নিন আপনার
গর্ভাবস্থার সময় কাল কোন ত্রৈমাসিক এ পড়েছে। এবার জেনে নিন কত সপ্তাহে
কত মাস হয়। সাধারণত ১ থেকে ৪ সপ্তাহকে প্রথম মাস হিসেবে ধরা হয়।
৫ থেকে ৮ সপ্তাহকে দ্বিতীয় মাস হিসেবে ধরা হয়। ৯ থেকে ১৩ সপ্তাহকে
গর্ভাবস্থার ৩ মাস ধরা হয়। এই প্রথম থেকে ১৩ সপ্তাহকে শিশুর প্রথম
ত্রৈমাসিক বলা হয়। ১৪ থেকে ১৭ সপ্তাহকে গর্ভাবস্থার চতুর্থ মাস
বলা হয়। ১৮ থেকে ২১ সপ্তাহকে গর্ভাবস্থার পঞ্চম মাস বলা হয়, ২২ সপ্তাহ
থেকে ২৬ সপ্তাহ পর্যন্ত এ সময় কালকে গর্ভাবস্থার ষষ্ঠ মাস বলা হয়। এই ১৪ থেকে
২৬ সপ্তাহকে গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক বলা হয়ে থাকে। ২৭ থেকে ৩০
সপ্তাহকে গর্ভাবস্থার সপ্তম মাস বলা হয়।
আরো পড়ুনঃ
গর্ভাবস্থায় আমড়া খাওয়ার উপকারিতা
৩১ থেকে ৩৫ সপ্তাহকে গর্ভাবস্থার অষ্টম সপ্তাহ বলা হয়। এসময় শিশু বাইরের
পরিবেশে উপযুক্ত হওয়ার বয়স হয়ে যায়। আর ৩৬ থেকে ৪০ সপ্তাহকে
গর্ভাবস্থার নবম মাস বলা হয় এ সময় শিশু একদম সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকে বাইরের
পরিবেশে বেঁচে থাকার জন্য। এই ২৭ থেকে ৪০ সপ্তাহ পর্যন্ত সময়কালকে গর্ভাবস্থার
তৃতীয় ত্রৈমাসিক বলা হয়। আশা করি আমাদের এই আলোচনার মাধ্যমে আপনি জানতে
পেরেছেন গর্ভাবস্থায় শিশুর কত সপ্তাহে কত মাস হয়।
২৮ সপ্তাহের গর্ভাবস্থায় কত মাস
২৮ সপ্তাহের গর্ভাবস্থায় কত মাস হয় এ প্রশ্নটি অনেক গর্ভবতী মহিলারাই করে
থাকেন। ২৮ সপ্তাহকে সাধারণত গর্ভাবস্থার তৃতীয় ত্রৈমাসিক বলা হয়ে থাকে।
আমরা জানি ২৭ থেকে ৩০ সপ্তাহকে গর্ভাবস্থার সপ্তম মাস হিসেবে ধরা হয়। এ সময়
গর্ভাবস্থায় থাকা শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাসের বিকাশ ঘটে এবং হাত ও পায়ের
বিকাশ ঘটে। এই তৃতীয় ত্রৈমাসিক এ সকল গর্ভবতী মহিলাদেরকে খুব সচেতনভাবে
চলাফেরা করতে হয়। কারণ গর্ভাবস্থায় সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সময়
হল তৃতীয় ত্রৈমাসিক।
এ সময় কোন গর্ভবতী মহিলা সাবধানতার সাথে চলাফেরা না করে তাহলে গর্ভে থাকা
শিশু বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে পারে। বিশেষ করে ২৭ থেকে ৪০ সপ্তাহ পর্যন্ত একজন
গর্ভবতী মহিলাকে খুব সচেতনতার সাথে চলাফেরা করা উচিত। আপনি যদি এখনো বুঝতে
না পেরে থাকেন যে ২৮ সপ্তাহে গর্ভাবস্থায় কত মাসে হয় তাহলে অবশ্যই পোস্টের
নিচে মন্তব্য করে আমাদেরকে জানাতে পারেন আমরা অবশ্যই আপনাকে সাহায্য করার
চেষ্টা করব।
৩৬ সপ্তাহের গর্ভাবস্থায় কত মাস
৩৬ সপ্তাহের গর্ভাবস্থায় কত মাস এ প্রশ্নটি অনেক গর্ভবতী মহিলায় করে থাকেন।
আমরা জানি গর্ভাবস্থার সময় কালকে তিনটি সময়ে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমটি হল
প্রথম ত্রৈমাসিক, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক, আর হলো তৃতীয় ত্রৈমাসিক। এক থেকে ১৩
সপ্তাহের মধ্যে সময় কালকে গর্ভাবস্থার প্রথম ত্রৈমাসিক বলা হয়। ১৪ থেকে
২৬ সপ্তাহ সময় কালকে গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক বলা হয়। ২৭ থেকে ৪০
সপ্তাহ সময় কালকে গর্ভাবস্থার তৃতীয় ত্রৈমাসিক বলা হয়।
৩৬ সপ্তাহকে মাসে রূপান্তর করতে গেলে দেখা যাবে এটি নবম মাসে পতিত হচ্ছে। কেননা
৩৬ থেকে ৪০ সপ্তাহকে গর্ভাবস্থার নবম হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। এই সময়টা গর্ভবতী
মায়েদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ কেননা এ সময় বাচ্চা প্রসবের একদম সঠিক সময়।
তাই এ সময় প্রত্যেক গর্ভবতী মায়েদের খুবই সতর্কতার সাথে চলাফেরা
করা উচিত এবং আগে থেকে পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে রাখা উচিত যেন পরবর্তীতে কোন
সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয়।
৩৭ সপ্তাহে সিজার করা যায়
৩৭ সপ্তাহে সিজার করা যায় কিনা এই প্রশ্নটি অনেক গর্ভবতী মায়েরা করে থাকেন।
জেনে নিন ৩৭ সপ্তাহে সিজার করলে কোন সমস্যা হবে নাকি হবে না। এ প্রশ্নের উত্তর
দেওয়ার আগে আমি আপনাদের যে বিষয়টি বলবো তা হল আপনি সিজার এর চিন্তা ভাবনা
করার আগে আপনার অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এবং ডাক্তারের পরামর্শ
সকল কার্যক্রম চালানো উচিত নয়তো আপনি বা আপনার সন্তান যে কোন সমস্যার সম্মুখীন
হতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ
গর্ভাবস্থায় পানি কম খেলে কি হয়
সাধারণত ৩৭ সপ্তাহের পর থেকে বাচ্চা প্রসবের জন্য উপযুক্ত সময় হয়ে থাকে।
তাই আপনার যদি সবকিছু ঠিকঠাক মনে হয় তাহলে আপনি সিজার করিয়ে নিতে পারেন এতে
কোন সমস্যা নেই। তবে আপনার যদি নরমালে বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে
অবশ্যই সিজার করা থেকে বিরত থাকুন। যদি আপনার কোন রকমের সমস্যা না থাকে তাহলে
আপনি ৪০ সপ্তাহ পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করুন কেননা চল্লিশ সপ্তাহ গর্ভাবস্থার
পূর্ণ সময় আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
সর্বনিম্ন কত সপ্তাহে সিজার করা যায়
সর্বনিম্ন কত সপ্তাহে সিজার করা যায় এটা অনেক গর্ভবতী মহিলারাই জানেন না। তাই
অনেক সময় চিন্তিত হয়ে পড়েন যে কত সপ্তাহে তারা সিজার করাবেন। চিন্তার কোন
কারণ নেই কারণ এই পোস্ট পড়ার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই জানতে পারবেন সর্বনিম্ন
কত সপ্তাহে আপনি সিজার করতে পারবেন এবং কত সপ্তাহে করালে আপনার বা আপনার
বাচ্চার কোন সমস্যা হবে না তো চলুন জেনে নিন স্বরবর্ণ কত সপ্তাহে স্বীকার করা
যায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে গর্ভধারণের পূর্ণ মেয়াদ হলো ৩৯ সপ্তাহ। তারা মূলত সিজার করার
জন্য ৩৯ সপ্তাহকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। তবে কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতি বা
সমস্যার জন্য দু এক সপ্তাহ আগেও সিজার করা যেতে পারে তাতে কোন সমস্যা নেই।
তবে ৩৯ সপ্তাহর আগে সিজার করলে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আপনার যদি
শারীরিক কোন সমস্যা না থাকে তাহলে ৩৯ সপ্তাহর আগে সিজার না করাই ভালো। তবে
আপনি চাইলে ৩৭ সপ্তাহ তে সিজার করে নিতে পারেন।
২য় সিজার কত সপ্তাহে করা যায়
২য় সিজার কত সপ্তাহে করা যায় আমরা অনেকেই তা জানিনা। তাই আজকে আমি আপনাদের
জানাবো দ্বিতীয় সিজার কত সপ্তাহে করলে বেশি ভালো হবে। ডক্টর সাবিনা পারভিন এর
মতে তিনি বলেছেন গর্ভাবস্থায় আপনি যে চিকিৎসকের পরামর্শে বা যার কাছে চিকিৎসা
নিবেন তার পরামর্শ মোতাবেক সিজার করানো সবচাইতে বেশি ভালো হবে। তার মতে
আপনার গর্ভাবস্থার বয়স যখন ৩৬ সপ্তাহ অতিক্রম করবে তখন আপনি যে কোন সময় সিজার
করাতে পারেন। তিনি আরো বলেছেন যদি ৩৮ সপ্তাহ পর্যন্ত থাকা যায় তাহলে সেটি আরো
ভালো হবে। আরো জানতে
এখানে ক্লিক করুন
শেষ মন্তব্যঃ গর্ভাবস্থায় কত সপ্তাহে কত মাস
গর্ভাবস্থায় কত সপ্তাহে কত মাস হয় তার সম্পর্কে আপনি খুব ভালোভাবে জানতে
পেরেছেন। আমাদের এই প্রশ্নের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এবং গবেষণামূলক তথ্য দেওয়ার
চেষ্টা করেছি। এই পোস্টটি পড়ার পর আপনি বুঝতে পেরেছেন যে সাধারণত গর্ভাবস্থার
সময় কালকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। তা হল প্রথম ত্রৈমাসিক, দ্বিতীয়
ত্রৈমাসিক এবং তৃতীয় ত্রৈমাসিক। আপনি আরো জানতে পেরেছেন ৩৭ সপ্তাহের পর চাইলে
যেকোনো সময় সিজার করানো যেতে পারে।
প্রিয় পাঠক আমাদের এই পোস্টটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই
নিচে একটি গঠনমূলক মন্তব্য করতে ভুলবেন না কারণ আপনার এটি মন্তব্য হতে পারে
আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। আর যদি আপনার কাছে উপকারী পোস্ট বলে মনে হয় তাহলে
আপনি বন্ধুবান্ধবদের মাঝে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর এরকম নিত্য নতুন তথ্যবহুল
গবেষণামূলক কন্টেন্ট পেতে আমাদের এই ওয়েবসাইটটি কে নিয়মিত ভিজিট করুন
ধন্যবাদ।
ড্রিমস ব্লগারেরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url