হালকা রক্তপাত কিসের লক্ষণ - গর্ভাবস্থায় রক্তপাত কতদিন থাকে

গর্ভাবস্থায় পেট শক্ত হয় কেনহালকা রক্তপাত কিসের লক্ষণ অনেক মহিলারাই তা জানেন না। প্রতিটা মহিলায় তার গর্ভধারণ নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় থাকে। অনেক মহিলা জানেনও না যে তাদের মাসিক ছাড়াও রক্তপাত হয়ে থাকে। তাই তাদের রক্তপাত হলে বুঝতে পারেনা এটা আসলে ঋতুস্রাব নাকি গর্ভধারণের আগাম সংকেত।
হালকা-রক্তপাত-কিসের-লক্ষণ
তাই এ বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাতেই আজকের এই পোস্টটি লেখা হয়েছে। আপনার যদি সম্পর্কে কোন ধারণা নাও থাকে তারপরও আমাদের এই পোস্ট পড়ার মাধ্যমে আপনি সকল বিষয় খুব ভালোভাবে জানতে পারবেন এবং বুঝতে পারবেন। তো দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।

পেজ সূচিপত্রঃ হালকা রক্তপাত কিসের লক্ষণ

হালকা রক্তপাত কিসের লক্ষণ

হালকা রক্তপাত কিসের লক্ষণ তা সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের কিছু বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। আপনারা অনেকেই spotting কথার সাথে অনেকেই কমবেশি পরিচিত। এই শব্দটির অর্থ হলো হালকা রক্তপাত। এইটা হওয়ার পর কোন মহিলা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারবে না যে সে প্রেগন্যান্ট। তবে কিছু কিছু মহিলার গর্ভধারণ হওয়ার পরে হালকা রক্তপাত হয়ে থাকে। এছাড়াও দুইবার মাসিকের পরবর্তী সময়ে হালকা মাসিক হওয়ার কিছু কারণ রয়েছে।
অনেক মহিলারই অভুলেশন হওয়ার সময় হালকা রক্তপাত হয়। এটা খুব একটা জটিল বিষয় নয়। এতে
ঘাবড়ানোর কিছু নেই। গর্ভবতী মহিলাদের প্রথম তিন মাস হালকা রক্তপাত হতে পারে। এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তবে যদি অতিরিক্ত রক্তপাত হয় এবং প্রচুর পরিমাণে পেটব্যথা করে তাহলে অবশ্যই তুমিও ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা খুবই জরুরী। আপনি গর্ভবতী কিনা এটা হালকার রক্তপাত হওয়ার অপর সম্পূর্ণ নির্ভর করবেন না।

আপনাকে প্রেগনেন্সি কনফার্ম হওয়ার জন্য অবশ্যই প্রেগনেন্সি কিট ব্যবহার করতে হবে। আপনারা জানলে হয়তো অবাক হবেন হালকা রক্তপাত কখনো কখনো ঝুঁকির কারণ হয়েও দাঁড়ায়। আপনি যদি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলেও কিন্তু আপনার হালকা রক্তপাত হতে পারে। এরকমটা যদি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে আলোচনা করুন। আশা করি এই আলোচনার মাধ্যমে আপনি জানতে পেরেছেন কেন হালকা রক্তপাত হয়ে থাকে।

গর্ভাবস্থায় রক্তপাত কতদিন থাকে

গর্ভাবস্থায় রক্তপাত কতদিন থাকে এ প্রশ্নটি অনেক গর্ভবতী মহিলারাই করে থাকেন কেননা একজন গর্ভবতী মহিলা গর্ভধারণ করার পর থেকে অনেক দুশ্চিন্তা ভোগ করেন। চিন্তার কিছু নেই কারণ এই পোস্টটিতে আমরা আপনাদেরকে জানাবো একজন গর্ভবতী মহিলার কতদিন পর্যন্ত রক্তপাত হয়ে থাকে। আমরা উপরের আলোচনা থেকে জানতে পেরেছি গর্ভাবস্থায় রক্তপাত কেন হয়? এখন জেনে নিন গর্ভাবস্থায় রক্তপাত কতদিন থাকে এবং রক্তপাত হলে কোন সমস্যা হয় কিনা।

গর্ভাবস্থায় সাধারণত দুই থেকে তিন দিন হালকা রক্তপাত হয়ে থাকে। এটির রং হালকা গোলাপি বা হালকা বাদামী রং হয়ে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে অনেক দেশেই প্রতি ১০০ জন গর্ভবতী মহিলার মধ্যে চারজন মহিলার এই হালকা রক্তপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ওভুলেশনের এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে এই রক্তপাত হতে পারে বা ডিম্বাণুর ছয় দিনের মাথাতেও এই রক্তপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যখন ডিম্বানু নিষিক্ত হয়ে জরায়ুতে আসে তখনো এই রক্তপাত হয়ে থাকে।

এই রক্তপাত হওয়ার আরো অন্যান্য কারণ রয়েছে যা এখনো শনাক্ত করা যায়নি। তবে সাইন্টিফিকদের মতে যখন জরায়ুর দেয়ালে ভ্রুন নিষিক্ত হয় বা নিষিক্ত ডিম্বাণু প্রতিস্থাপিত হয় সেই সময়েও এই হালকা রক্তপাত হতে পারে। এই রক্তপাতটি ফোটা ফোটা হয়ে পড়ে। এটা সাধারণত দুই থেকে তিন দিন হয় এতে ভয়ের কোন কারণ নেই। আশা করি আমার এই আলোচনা থেকে আপনি জানতে পেরেছেন গর্ব অবস্থায় কতদিন রক্তপাত হওয়া স্বাভাবিক।

গর্ভাবস্থায় রক্তপাত বন্ধের উপায়

গর্ভাবস্থায় রক্তপাত বন্ধের উপায় সম্পর্কে জানতে হলে আমাদেরকে আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে তাহলে খুব সহজে আপনি জানতে পারবেন কিভাবে গর্ভাবস্থায় রক্তপাত বন্ধ করা যায়। গর্ভাবস্থা কে সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে এক নম্বর হলো প্রথম ট্রাই মিস্টার দুই নাম্বার টি হল দ্বিতীয় ট্রাই মিস্টার আর তৃতীয় নাম্বারটি হল তৃতীয় ট্রাই মিস্টার। ট্রাই মিস্টারের অর্থ হল ত্রৈমাসিক। ১ থেকে ১৩ সপ্তাহকে প্রথম ত্রৈমাসিক,
১৪ থেকে ২৭ সপ্তাহকে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক এবং ২৮ থেকে ৪০ সপ্তাহে তৃতীয় ত্রৈমাসিক বলা হয়ে। সাধারণত প্রথম তিন মাসেই এই হালকা রক্তপাত দেখা যায়। প্রথম তিন মাসের মধ্যে যদি আপনার হালকা রক্তপাত হয় তাহলে সেটা কোন ধরনের সমস্যা নয়। যদি প্রথম তিন মাসে এরকম হালকা রক্তপাত হয় তাহলে ডাক্তাররা সাজেস্ট করে পেশেন্টকে এই তিন মাস বেড রেস্টে থাকার জন্য। এছাড়াও প্রতিদিন প্যাড ব্যবহার করার জন্য পরামর্শ দেন।

গর্ভাবস্থায় রক্তপাত বন্ধের দোয়া

গর্ভাবস্থায় রক্তপাত বন্ধের দোয়া কি তা অনেক মহিলারা জানতে চায়। গর্ভাবস্থায় রক্তপাত বন্ধের জন্য শারীরিক যত্ন নেয়ার পাশাপাশি আল্লাহর কাছে দোয়া করা অত্যন্ত প্রয়োজন। তবে অনেক গর্ভবতী মহিলায় জানেন না যে গর্ভপাত বন্ধের জন্য কি কি দোয়া রয়েছে। তাই আজকে আমি আপনাদেরকে জানাবো কোন দোয়া গুলো করার ফলে গরবস্থায় রক্তপাত বন্ধ হবে ইনশাল্লাহ তো চলুন জেনে নিন। আরো জানতে এখানে ক্লিক করুন
গর্ভাবস্থায়-রক্তপাত-বন্ধের-দোয়া
সূরা ইখলাস তিনবার পাঠ করে আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করুন। এই দোয়া সব ধরনের বিপদ ও কষ্ট থেকে রক্ষা পেতে খুবই কার্যকরী।অথবা আপনি সূরা মারিয়াম এর ২৫ নম্বর আয়াত পাঠ করতে পারেন পাঠের মাধ্যমে আল্লাহ আপনার শেফা দান করবেন ইনশাআল্লাহ। অথবা সূরা আর সুরাহ নিয়মিত তেলোয়াত করতে পারেন। এই দোয়া বিপদে ধৈর্য ধারণ করতে সহায়ক। হযরত আইয়ুব আলাই সাল্লাম এর মত দোয়া পাঠ করতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় কালো রক্তপাত

গর্ভাবস্থায় কালো রক্তপাত কেন হয় এটা হয়তো অনেক গর্ভবতী মহিলারা জানেন না। গড় অবস্থায় কালো রক্ত বের হওয়ার অনেকগুলো কারণ থাকে। জেনে নিন গর্ভাবস্থায় রক্তপাত কেন হয়? এবং এর থেকে প্রতিকার পাওয়ার উপায়। গর্ভাবস্থায় একজন গর্ভবতী মহিলার প্রথম তিন মাস যতটা আনন্দের হয় ঠিক ততটাই প্রত্যেকবার চিন্তারও হয়। এ সময় গর্ভবতী মহিলাদের শরীরে অনেক ধরনের পরিবর্তন ঘটে থাকে। যার ফলে গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসে বিভিন্ন কারণে রক্তপাত হয়ে থাকে।

গর্ভাবস্থায় যেকোনো সময়েই রক্তপাত হওয়াটা ঝুঁকির লক্ষণ বলে ধারণ করা হয়। সুতরাং এ অবস্থাতে আপনার উচিত হবে কোন ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া। আর কেন আপনার কালো রক্তপাত হচ্ছে তা নির্ণয় করতে হবে। সাধারণত গর্ভফুল অনেকটা নিচে নেমে যাওয়ার ফলেও কালো রক্তপাত হয়ে থাকে। তাই আপনার ডাক্তারের কাছে গিয়ে নিশ্চিত করা উচিত যে আপনার গর্ভফুলটা কোন অবস্থানে রয়েছে। আর এরকম কাল রক্তপাত হওয়ার সময় অবশ্যই আপনাকে সম্পূর্ণ বেড রেস্টে থাকতে হবে।

13 সপ্তাহের গর্ভাবস্থায় রক্তপাত

তেরো সপ্তাহের গর্ভাবস্থায় রক্তপাত কেন হয়ে থাকে প্রশ্নটি অনেক গর্ভবতী মহিলার কাছ থেকে শোনা যায়। 13 সপ্তাহ অর্থাৎ আপনি প্রথম ট্রাই মিস্টার পার করেছেন। আমরা জানি যে কোন সময়ই গর্ভাবস্থায় রক্তপাত হওয়া বিপদজনক। দ্বিতীয় টাই মিস্টারে বিভিন্ন কারণে রক্তপাত হয়ে থাকে। তার মধ্যে একটি কারণ হলো যখন জরায়ু থেকে প্লাসেন্টা অনেক দূর চলে যায় তাহলে অনেক সময় হালকা রক্তপাত হয়ে থাকে।
13-সপ্তাহের-গর্ভাবস্থায-রক্তপাত
আবার যখন প্লাসেন্টা জরায়ু থেকে ছিড়ে যায় অর্থাৎ অনেকটা দূরে চলে গিয়ে লেগে থাকে এরকম অবস্থাতেও রক্তপাত হয়ে থাকে। সাধারণত এরকম অবস্থাতে যদি আপনি পড়ে যান তাহলে বিশেষজ্ঞ কোন ডাক্তারের কাছে দ্রুত পরামর্শ নিন। না হলে আপনি বা আপনার সন্তান যে কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। আর এরকম অবস্থাতে আপনাকে অবশ্যই বেড রেস্টে থাকতে হবে। এরকম অবস্থাতে পড়ে গেলে দুশ্চিন্তা না করে ভালো চিকিৎসা গ্রহণ করুন।

শেষ মন্তব্যঃ হালকা রক্তপাত কিসের লক্ষণ

হালকা রক্তপাত কিসের লক্ষণ তা সম্পর্কে আশা করি পোস্টটি পড়ার পরে আপনি খুব ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। হালকা রক্তপাত হলে কোন দুশ্চিন্তা না করে স্থানীয় কোন ডাক্তারের পরামর্শ নেই। আর এরকম অবস্থাতে শারীরিক যত্নের উপরে নজর রাখুন। খুব সতর্কভাবে চলাফেরা করুন। তাহলে আশা করি এই সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাবেন।

আমাদের এই পোস্টটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই পোস্টের নিচে একটি গঠনমূলক মন্তব্য করুন। কারণ হতে পারে আপনার একটি মন্তব্য আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। আর আমাদের এই পোস্টটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করুন। আর প্রতিদিন এরকম নিত্যনতুন তথ্যবহুল কন্টেন্ট পড়ার জন্য আমাদের এই ওয়েবসাইটটিকে নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমস ব্লগারেরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url