কাঁচা ছোলা খেলে কি মোটা হওয়া যায়

চিয়া সিড খেলে কি হয়কাঁচা ছোলা খেলে কি মোটা হওয়া যায় এটা অনেকের প্রশ্ন। কাঁচা ছোলার পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্রহণ করলে অবশ্যই মোটা হওয়া যায়। তবে যদি আমরা নিয়ম করে পরিমিত গ্রহণ করি তাহলে ওজন কমানোর  ক্ষেত্রেও তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
কাঁচা-ছোলা-খেলে-কি-মোটা-হওয়া-যায়
কাঁচা ছোলায় অনেক প্রোটিন রয়েছে। কাঁচা ছোলা খেলে শরীর অনেক পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হয়ে থাকে। কাঁচা ছোলা অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর একটি খাবার যা অনেক পুষ্টিগুণে ভরপুর। কাঁচা ছোলা খেলে সারাদিন শরীর প্রাণবন্ত থাকে ও সতেজ থাকে।

পেজ সূচিপত্রঃ কাঁচা ছোলা খেলে কি মোটা হওয়া যায়

কাঁচা ছোলা খেলে কি মোটা হওয়া যায় 

কাঁচা ছোলা খেলে কি মোটা হওয়া যায় জি হ্যাঁ কাঁচা ছোলা প্রতিদিন নিয়ম মাফিক খেলে মোটা হতে তা অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখে। কারণ ছোলা হচ্ছে উচ্চমাত্রার প্রোটিন যুক্ত খাবার। যা মানুষের মাংসের অভাবকে পূরণ করে থাকে। কাঁচা ছোলাতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং ভিটামিন রয়েছে। যা আপনি প্রতিদিন সকালে নিয়মিত খেলে দুর্বলতা দূর করতে সহায়তা করবে।
কাঁচা ছোলা খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে মাংস বৃদ্ধি পায় তাই মোটা হতে আপনি নিয়মিত কাঁচা ছোলা খেতে পারেন। কাঁচা ছোলা শুধু ওজন বাড়াতেই ভূমিকা রাখেনা বরং এর আরো বেশ কিছু কার্যকারিতা রয়েছে। যেমন এটি মাথার চুল পড়া কমাতেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে তাই যারা চুল পড়া সমস্যা তে ভুগছেন তারা নিয়মিত কাঁচা ছোলা খেতে পারেন। কাঁচা ছোলা শরীরের হাড়কে মজবুত করে রাখে কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম।

এছাড়াও কাঁচা ছোলা শরীরে ক্যান্সার রোধ করে, মেরুদন্ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে, শরীরের সৌন্দর্যকে ধরে রাখে এবং যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যারা জিম করেন এবং মোটা হতে চান তারা যদি নিয়মিত পরিমান মাফিক কাঁচা ছোলা গ্রহণ করেন তাহলে কাঁচা ছোলা আপনাকে মোটা হতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কাঁচা ছোলা থেকে দ্রুত ফলাফল পাওয়ার জন্য তার সাথে আপনি দুধ মিশিয়ে খেতে পারেন।

একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছিল সেখানে লিখা ছিল যে শর্করা, প্রোটিন, এবং চর্বির ভারসাম্যপূর্ণ উৎস হিসেবে ছোলা দেহের ক্যালোরি ঘাটতি পূরণ করে ওজন বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে ছোলা এমন ব্যক্তিদের জন্য উপকারী যারা শক্তি ও পুষ্টির অভাবে ওজন কমাতে ভুগছেন। আশা করি আমার দেওয়া এই তথ্যগুলোর ভিত্তিতে সহজেই বুঝতে পারছেন আপনাকে মোটা হতে সাহায্য করবে কিনা 

কাঁচা ছোলা কি 

কাঁচা ছোলা কি এটা আমাদের আগে জানতে হবে। কাঁচা ছোলা হলো একটি দানাদার যুক্ত খাবার। যাতে রয়েছে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন ও মিনারেল এর সমৃদ্ধ উৎস। কাঁচা ছোলা বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ায় বেশ জনপ্রিয়। কাঁচা ছোলা সাধারণত শুকনো অবস্থাতে পাওয়া যায় তা খাওয়ার আগে সেটা আমাদের ভিজিয়ে রেখে নরম করে নিতে হয়। এটি হলো একটি অতিমাত্রায় প্রোটিন যুক্ত খাবার কাঁচা ছোলাতে ক্যালরি ও রয়েছে।

এটিতে প্রচুর পরিমাণ শর্করা, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি,  ভিটামিন ১ ভিটামিন ২ ভিটামিন ৬ থাকে। কাঁচা ছোলাতে প্রচুর পরিমাণ আমিষ বিদ্যমান থাকে। কাঁচা ছোলাতে প্রচুর পরিমাণ এন্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান। এছাড়াও অন্যান্য উপাদান ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, কপার, ও আয়রন রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। তাই কোন ব্যক্তি যদি রোগা হওয়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে তার খাদ্য তালিকায় কাঁচা ছোলা রাখলে সে অল্প কিছুদিনের মধ্যে ভালো ফলাফল পেয়ে থাকবে।

তাই এটি খাওয়া শরীরের জন্য অনেক উপকারী। কাঁচা ছোলাকে সুস্বাদু খাবারও বলা যায় আর এর দাম খুব একটা বেশি না হওয়ায় বাজারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এটা শুধু কাঁচা বা সেদ্ধ অবস্থাতেই নয় আপনি চাইলে সালাত, তরকারি বা বিভিন্ন স্নেকস এর সাথেও রান্না করে খেতে পারেন। ছোলার ময়দা বিভিন্ন খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয় এবং এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী।

কাঁচা ছোলা কখন খেতে হয় 

কাঁচা ছোলা কখন খেতে হয় তা অনেকেই জানে না। ছোলা সুপরিচিত একটি খাবার ছোলা চিনে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। অনেকে ছোলা ভুনা খুব বেশি পছন্দ করে থাকে তবে ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী রান্না করা ছোলার চাইতে কাঁচা ছোলা খেলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যদি কাঁচা ছোলা রাখা যায় তাহলে মিলবে অনেক বেশি উপকারিতা। কেননা কাঁচা ছোলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা পাকস্থলীতে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া তৈরীর মাধ্যমে হজম ক্ষমতার উন্নতি সাধন করে থাকে।

আসুন আমরা জেনে নেই কাঁচা ছোলা কখন খেলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়। গবেষণায় দেখা যায় কাঁচা ছোলা সকালে খেলে বেশি উপকারী। বিশেষ করে যদি এটি রাতে ভিজিয়ে রেখে খাওয়া হয়। ২০১৭ সালে জার্নাল অফ নিউট্রিশন এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে কাঁচা ছোলা সকালে খেলে তা শরীরের বিপাক ক্রিয়া উন্নত করতে সহায়তা করে এবং দীর্ঘদিন পর্যন্ত শক্তি দেয়।

অনেকের মতে কাঁচা ছোলা খালি পেটে খেলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়। কাঁচা ছোলা খালি পেটে খেলে রক্তের শর্করার মাত্রা কমে যায়।সেই সঙ্গে যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে ডায়াবেটিস রোগীদের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এটি শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। 

খালি পেটে কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা 

খালি পেটে কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের হয়তো অনেকেরই জানা নেই। খালি পেটে কাঁচা ছোলা খাওয়ার যে কত উপকারীতা তা জানলে হয়তো আপনিও অবাক হবেন। খালি পেটে সকালে ভেজানো কাঁচা ছোলা খাওয়া শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কাঁচা ছোলা খালি পেটে খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। অন্ত্র পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। একটি ক্ষুধা নিবারনেও সাহায্য করে। কাঁচ ছোলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে নীচে আরো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।

অনেকেরই সকাল শুরু হয়ে থাকে আগের দিন রাতে ভেজানো কাঁচা ছোলা খেয়ে। সকলে না জানলেও বেশি ভাগ মানুষ কাঁচা ছোলার গুনাগুন সম্পর্কে অবগত। উচ্চ মাত্রার প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার হলো এই ছোলা। পর্যাপ্ত পরিমাণ কাঁচা ছোলা গ্রহণ করলে যেমন ওজন বৃদ্ধি পায় ঠিক তেমনি নিয়ম করে কাঁচা ছোলা খেলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমেও যায়। আসুন জেনে নেওয়া যাক খালি পেটে কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা গুলো।

চুল ভালো রাখেঃ অনেকে নিজের শরীর ভালো রাখার পাশাপাশি চুল সম্পর্কেও সচেতন। যারা চুলকে প্রাণবন্ত রাখতে চান তারা অবশ্যই তাদের ডায়েটে কাঁচা ছোলা রাখুন। অনেকগুলো ভিটামিন এটির মধ্যে বিদ্যমান থাকার জন্য চুল খুব ভালো থাকে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখলে। যদি কেউ প্রতিদিন ভেজানো ছোলা খেয়ে থাকে তাহলে তার চুলের অকালপক্কতা দূর হয়।

হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে থাকেঃ আয়রন এ ভরপুর কাঁচা ছোলা হিমোগ্লোবিন এর মাত্রা উন্নত করতে সাহায্য করে থাকে।অনেক মানুষ রয়েছে যারা এনিমিয়ায় আক্রান্ত তাদের জন্য কাঁচা ছোলা খুবই উপকারী একটি খাবার। এছাড়াও গর্ভবতী ও স্তন্যদান কারী মায়েরাও কাঁচা ছোলা তাদের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন কেননা এটি অনেক পুষ্টিকর একটি খাবার। 

বার্ধক্যর ছাপ এড়াতেঃ অনেক মানুষ রয়েছে যাদের অল্প বয়সে মুখে বলি রেখা দেখা দেয় আবার বয়সের কারণে বলিরেখা সৃষ্টি হয়ে থাকে তারা তাদের খাদ্য তালিকায় কাঁচা ছোলা রাখতে পারেন। কেননা কাঁচা ছোলার মধ্যে বিদ্যমান ম্যাঙ্গানিজ যা বার্ধক্য রোধ করতে সাহায্য করে থাকে এবং বলিরেখা ফাইন, লাইন্স কমাতে সাহায্য করে থাকে। 

কাঁচা ছোলা কিভাবে খেলে মোটা হওয়া যায় 

কাঁচা ছোলা কিভাবে খেলে মোটা হওয়া যায় তা হয়তো অনেকে জানে না। তবে কাঁচা ছোলা যে পুষ্টিগুণে ভরপুর এই বিষয়টি প্রায় মানুষ জানে। প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্য উপযোগী ছোলায় আমিষ প্রায় ১৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ৬৫ গ্রাম এবং অন্যান্য উপাদান খুব ভালো পরিমাণে থাকার কারণে কাঁচা ছোলা খেলে মানুষ স্বাস্থ্যবান হয়ে থাকে। উচ্চমাত্রার প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার হলো ছোলা যার ভেতরে অধিক ফাইবার ও ক্যালরি রয়েছে।

প্রতিদিন সকালে যদি কাঁচা ছোলা পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে খোসা ছাড়িয়ে কাঁচা আদার সঙ্গে খাওয়া যায় তাহলে শরীরের মধ্যে একসঙ্গে আমিষ ওঅ্যান্টিবায়োটিক একসঙ্গে প্রবেশ করে।  আদাতে থাকায় এন্টিবায়োটিক শরীরের বিভিন্ন ক্ষতিকর জীবাণুগুলো ধ্বংস করতে সাহায্য করে থাকে। আর ছোলাতে থাকা প্রচুর পরিমাণে আমিষ মানুষের স্বাস্থ্য মোটা হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

কোন ব্যক্তি যদি চিকন হওয়ার সমস্যায় ভোগে তাহলে তার খাদ্য তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ কাঁচা ছোলা যোগ করতে ভুলবেন না। কেননা কাঁচা ছোলা আপনার শরীরের প্রতিটি অংশে পুষ্টি ও শক্তি যোগান দিবে এবং আপনাকে সুস্থ ও প্রাণবন্ত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকবে। আপনি যদি কাঁচা ছোলা খেয়ে মোটা হওয়ার জন্য দ্রুত ফলাফল চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কাঁচা ছোলা কে উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবারের সাথে মিশিয়ে খেতে হবে।

আপনি যদি উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবারগুলোর সাথে কাঁচা ছোলা মিশিয়ে খান তাহলে তার দ্রুত ফলাফল পাবেন। উচ্চ খাবার বলতে যেমন দুধ, মধু, কলা, বাদাম, খেজুর ইত্যাদি এই খাবারগুলোতে অতি উচ্চমাত্রায় প্রোটিন থাকে তাই আপনি যদি কাঁচা ছোলা কে এই খাবারগুলোর সাথে মিশিয়ে খান তাহলে তা আপনাকে দ্রুত মোটা হতে সাহায্য করবে।

কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা 

কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি যা বলে শেষ করা যাবে না। আমরা মোটামুটি সকলে ছোলা পছন্দ করে থাকি। পবিত্র রমজান মাসে তো ছোলা ছাড়া যেন ইফতারের পশরা মানায় না। তবে রান্না করে খাওয়া ছোলার চাইতে কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে খাওয়া পুষ্টিবিদরা বেশি স্বাস্থ্যকর বলে দাবি করে থাকেন। জার্নাল ফুড নামক একটি গবেষণায় প্রকাশিত এখানে বলা হয়েছে ছোলা ভিজে খাওয়ার মাধ্যমে এতে থাকা প্রোটিন ফাইবার ভিটামিন ও মিনারেল জৈবপ্রাপ্যতা বৃদ্ধি পায়।
কাঁচা-ছোলা-ভিজিয়ে-খাওয়ার-উপকারিতা
ভেজানো ছোলায় প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম এর মত প্রচুর পুষ্টিগুন  বিদ্যমান। আমরা যদি আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ভেজানো ছোলা রাখি তাহলে শরীর সুস্থ থাকবে ত্বক ভালো থাকবে এবং প্রচুর এনার্জি পাওয়া যাবে। ভেজানো কাঁচা ছোলার মধ্যে এত পরিমাণ উপকারিতা রয়েছে যা বলে শেষ করা যাবে না। আসুন জেনে নেওয়া যাক কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা গুলো কি কি?

হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবেঃ যদি কারো কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা থেকে তাকে তাহলে তার সমাধান হলো কাঁচা ছোলা। এমন অনেক ব্যক্তি রয়েছে যাদের খাবার সঠিকভাবে হজম হয় না তারা তাদের খাদ্য তালিকায় ভেজানো কাঁচা ছোলা রাখতে পারেন। কেননা কাঁচা ছোলা খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। ছোলাতে প্রচুর পরিমাণ খায় এবার বিদ্যমান। ছোলা পেটের ভেতর থেকে দূষিত টক্সিন বের করে দিতে সক্ষম। হজমের যেকোনো ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি প্রদান করে থাকে ভেজানো কাঁচা ছোলা। 

হার্টের সুস্বাস্থ্য রক্ষায়ঃ হার্টের সুস্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা অনস্বীকার্য। ছোলাতে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম থাকে যার হৃদরোগের যেকোনো ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু হার্ট রক্ষার ক্ষেত্রেই কাঁচা ছোলা কাজ করে থাকে না বরং রক্তে শর্করার মাত্রা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে থাকে। 

ক্যান্সার দমনেঃ গবেষকরা তাদের একটি গবেষণায় অনেক আগেই প্রমাণ করেছেন যে বেশি পরিমাণ ফলিক অ্যাসিড খাবারের সাথে গ্রহণের মাধ্যমে নারীরা কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকে তা থেকে তার প্রতিকার মিলবে ছোলা খাওয়ার মাধ্যমে। কাঁচা ছোলার মধ্যে বিদ্যমান ফলিক এসিড এলার্জির পরিমাণ কমিয়ে থাকতে সক্ষম তাই এজমার কমিয়ে দিতে পারে। তাই আপনারা আপনাদের খাদ্য তালিকায় কাঁচা ছোলা রাখুন এবং সুস্থ থাকুন। 

কাঁচা ছোলা খেলে কি গ্যাস হয় 

কাঁচা ছোলা খেলে কি গ্যাস হয় এ প্রশ্নের উত্তরটি হবে হ্যাঁ। কারণ এক এক মানুষের এক এক ধরনের হজম শক্তি হয়ে থাকে। বিশেষ করে ডাল-বুট বিন সয়াবিন ইত্যাদি খাবারগুলো গ্যাস উদ্রেককারী খাবার। কোন ব্যক্তি যদি অতিরিক্ত কাঁচা ছোলা গ্রহণ করে থাকে তাহলে তার গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। কাঁচা ছোলা খেলে কি মোটা হওয়া যায় অবশ্যই এই কথার ভিত্তি রয়েছে।
সবকিছু খাবারই অধিক পরিমানে গ্রহণ করা উচিত নয়। তাই স্বাস্থ্যকর কাঁচা ছোলা ও খাদ্য তালিকায় পরিমাণ মতো রাখার চেষ্টা করতে হবে। যাতে করে হজমের কোন প্রকার সমস্যা না হয়ে থাকে এবং পেটের সমস্যা সৃষ্টি না হয়। কারণ ছোলা  অনেক সময় গ্যাস সৃষ্টি করে থাকে। শরীর সুস্থ রাখার জন্য যারা তাই ছোলা তারা অবশ্যই পরিমাণের দিকে সতর্ক থাকবেন সব কিছুরই হিতের বিপরীত রয়েছে। 

সিদ্ধ ছোলার উপকারিতা ও অপকারিতা 

সিদ্ধ ছোলার উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে। কাঁচা ছোলা খেলে কি মোটা হওয়া যায় এটি যেমন একটি আগ্রহের বিষয়। তেমনি সিদ্ধ ছোলা খেলে কি কি উপকার হয় অপকার পাওয়া যায় সে বিষয়টি জানার জন্য মানুষের আগ্রহের শেষ থাকে না। অনেক মানুষ অনেক ভাবে ছোলা খেয়ে থাকে কেউ কাঁচা ছোলা ভিজিয়ে খেতে বেশি পছন্দ করে সালাত কিংবা আদার সঙ্গে আবার কেউ সিদ্ধ করা ছোলা খেতে বেশি পছন্দ করে থাকে। পবিত্র রমজান মাসের সিদ্ধ ছোলা ছাড়া যেন ইফতার মানায় না। রমজান ছাড়াও প্রায় অনেক মানুষ সারা বছর ছোলা খেয়ে থাকেন। 
সিদ্ধ-ছোলার-খেলে-কি-মোটা-হওয়া-যায়
যারা অনেক বেশি সিদ্ধ করা ছোলা খেতে পছন্দ করেন তাদের অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে অধিক পরিমাণে সেদ্ধ করা ছোলা খাওয়া যাবেনা। কারণ রান্না করা ছোলাতে অনেক মসলা ব্যবহার করা হয়ে থাকে যা হজমে  ব্যাঘাত ঘটাতে সাহায্য করতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক যে সেদ্ধ করা ছোলার উপকারী ও অপকারীর দিক গুলো কি কি?  

  • সিদ্ধ ছোলাতে অধিক মাত্রায় ক্যালরি বিদ্যমান থাকে তাই যদি কেউ তার শরীরে ক্যালরির মাত্রা বৃদ্ধি করতে চায় তাহলে অবশ্যই তার খাদ্য তালিকায় সেদ্ধ ছোলা রাখতে হবে। 
  • সেদ্ধ ছোলাতেও প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট  এর মত উপাদান থাকে যার জন্য নারীদের ব্রেস্ট ও  কোলন ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করে থাকে। তাই বিশেষ করে নারীদের খাদ্য তালিকায় ছোলা রাখার অনেক বেশি প্রয়োজনীয়তা। 
  • ছোলার মধ্যে থাকা ফলিক অ্যাসিড চুলকে সুস্থ রাখতে ও প্রাণবন্ত রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যারা সৌন্দর্য রক্ষায় অনেক সচেতন তারা তাদের ডায়েটে ছোলা রাখতে পারেন। কেননা ছোলাতে থাকা ফলিক এসিড চুল ভেঙ্গে পড়া রোধ করতে পারে এবং চুলের অকালপক্কতা রোধ করতে পারে। 
  • ছোলাতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম বিদ্যমান থাকার জন্য নিয়মিত ছোলা খেলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হবে। যদি কোন ব্যক্তির ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয় অবশ্যই তাদের খাদ্য তালিকায় ছোলা যোগ করলে সে সমস্যার সমাধান মিলবে। 
  • ছোলাতে প্রচুর পরিমাণ সালফার রয়েছে সালফার থাকার কারণে হাত পায়ের জ্বালাপোড়া রোধ করতে সাহায্য  করে থাকে। 
  • রক্তনালীকে সুস্থ রাখার জন্য ছোলার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। কেননা ছোলার মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা রক্তকে জমাট বাঁধতে দেয় না রক্ত যদি জমাট বাধতে যাই তাহলে  বাধা প্রদান করে থাকে। 
  • সেদ্ধ ছোলাতে প্রচুর পরিমাণ পানি বিদ্যমান থাকে যা আমাদের হাইড্রেট রাখতে  সাহায্য করে থাকে। এছাড়া ও সেদ্ধ ছোলা আমাদের শরীররে বিভিন্নভাবে শক্তি সরবরাহ করে থাকে।  
সিদ্ধ ছোলার যেমন উপকারিতা অনেক বেশি রয়েছে তেমনি আবার বেশ কিছু অপকারও রয়েছে সেগুলো জেনে নেওয়া যাক। 
  • সেদ্ধ করা ছোলাই অধিক মাত্রায় তেল মশলা থাকার কারণে অনেক সময় হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে পেটে গ্যাসের সৃষ্টি হতে পারে।  
  • যাদের কেডনির সমস্যা রয়েছে তাদের অবশ্যই খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে কেননা সিদ্ধ ছোলা কিডনির সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। 
আবার কোন ব্যক্তি যদি অতিরিক্ত পরিমান সেদ্ধ ছোলা  গ্রহণ করে থাকে তাহলে তার আদর্শ ওজনের চাইতে ওজন বেশি বৃদ্ধি পেয়ে যেতে পারে তাই। তাই অধিক পরিমাণে গ্রহণ করা ঠিক নয়। 

সিদ্ধ ছোলার খেলে কি মোটা হওয়া যায়

সিদ্ধ ছোলা খেলে কি মোটা হওয়া যায় এটা অনেকের প্রশ্ন থাকে। কাঁচা ছোলা খেলে যেমন মানুষের অনেক উপকার মিলে ঠিক তেমনি সেদ্ধ ছোলা খেলেও মানুষের অনেক উপকার হয়ে থাকে। কেননা ছোলা হল প্রোটিনের গুণে গুণান্বিত। ছোলার মধ্যে অধিক পরিমাণ প্রোটিন থাকার কারণে মাছ-মাংসের মত খাবারের ঘাটতি পূরণ করতে পারে।

অনেকে মনে করেন যে রান্না করা ছোলা খেলে অনেক বেশি মোটা হয়ে যাবে তবে তা মোটেও সঠিক নয়। যদি রান্না করা ছোলা পরিমিত গ্রহণ করা যায় তাহলে শরীরের অনেক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয়। 

তবে কেউ যদি রান্না করা ছোলাতে অধিক পরিমাণ তেল মসলা যোগ করে খায় তাহলে সে ক্ষেত্রে ওজন বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়। কিন্তু কেউ যদি সেদ্ধ ছোলার সাথে টমেটো শসা ধনিয়া পাতা লেবুর রস যুক্ত করে খায় তাহলে তার শরীরে অনেক ধরনের ঘাটতি দূর হয়ে যায় এবং শরীর সতেজ ও প্রাণবন্ত হয়। 

ভাজা ছোলার উপকারিতা ও অপকারিতা 

ভাজা ছোলার উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে। বর্তমানে ভাজা ছোলা খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এটি খেতে সুস্বাদু হওয়ার কারণে প্রায় সকলে বিকালের নাস্তা হিসেবে ছোলা ভাজা কে বেছে নেয়। যেকোনো আড্ডার ক্ষেত্রে ছোলা ভাজা খাবার স্মৃতি সকলেরই অনেক রয়েছে। ছোট থেকে বড় সকলে সমানভাবে এই ছোলা ভাজাকে পছন্দ করে থাকে। ছোলা ভাজা শুধু আড্ডা কে মধুর করে না বরং এর অনেক উপকারী দিক রয়েছে আসুন সেগুলো জেনে নেওয়া যাক।

ফাইবার ও প্রোটিনের ঘাটতি পূরণঃ ছোলা ভাজার মধ্যে ফাইবার ও প্রোটিন এই দুই ধরনের উপাদান থাকে। ১০০ গ্রাম ছোলা ভাজাতে ২০ গ্রাম মত ফাইবার ও প্রোটিন থেকে থাকে। এটি নাস্তা হিসেবে যদি খাওয়া যায় তাহলে অনেক সময় পেট ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে। যার কারনে অনেক ঘন ঘন খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। ভাজা ছোলা শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে এবং কাজের প্রতি আরো সক্রিয় করতে ভূমিকা পালন করে থাকে। 

ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ ভাজা ছোলা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এটি খেলে খুব ঘন ঘন খাওয়ার দরকার হয় না কারণ পেট ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে। ছোলা ভাজাতে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম থাকে এইজন্য চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই। তাই আপনি যদি আপনার ওজন নিয়ে চিন্তিত থাকেন এবং ওজন কমাতে চান তাহলে বিকালের নাস্তায় ভাজাপোড়া বাদ দিয়ে ছোলা ভাজা বেছে নিন। 

হাড়ের জন্য উপকারীঃ ভাজা ছোলা ক্যালসিয়ামের একটি ভালো উৎস। ভাজা ছোলা প্রোটিন ও ফাইবারের পাশাপাশি ক্যালসিয়ামের ও একটি বড় উৎস। যদি কোন ব্যক্তির ক্যালসিয়ামের ঘাটতি থেকে থাকে তাহলে তার খাদ্য তালিকায় ভাজা ছোলা রাখলে অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। কেননা ভাজা ছোলা হাড়ের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এবং হাড়কে শক্তিশালী করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। 

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারীঃ ছোলা ভাজা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ডায়াবেটিস রোগীদের ও কিছুক্ষণ পর পর হালকা নাস্তা করতে হয় তারা যদি হালকা নাস্তায় ছোলা ভাজা রাখে তাহলে তাদের অনেক ধরনের উপকার হয়ে থাকে। এটিতে গ্লাইসেমিক সূচক কম থাকে এর জন্য এটি বেশ উপকারী। এটি রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে যার ফলে শর্করার মাত্রা হঠাৎ ওঠা নামা করতে পারে না। 

ছোলা ভাজা খাওয়ার বেশ কিছু অপকারিতা ও রয়েছে। কাঁচা ছোলার উপকারিতা সবারই জানা তবে সব জিনিসের ভালো দিকের পাশাপাশি কিছু খারাপ দিক রয়েছে। ঠিক তেমনি কাঁচা ছোলা যদি আমরা ভেজে খায় তাহলে সেক্ষেত্রে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক ছোলা ভাজা খেলে কি ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

ছোলা ভাজা খেতে আমরা প্রায় সকলেই পছন্দ করে থাকি কেননা এটি খুব রুচিকর একটি নাস্তা। বিকেলে চায়ের আড্ডায় টিফিনের ফাঁকে বন্ধুদের সাথে আড্ডায় ছোলা ভাজা খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। তবে ছোলা ভাজা খাওয়ার ক্ষেত্রে একটু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এটি অনেক বেশি একসাথে গ্রহণ করা ঠিক হবে না। কারণ এটা ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে। আর বিশেষ করে যাদের রক্তচাপ রয়েছে তারা কাঁচা ছোলা খেতে পারেন কিন্তু কোন অবস্থাতে ভাজা ছোলা খাবেন না।

যাদের হজম শক্তি অনেক কম তারা কাঁচা ছোলা বা ভাজা ছোলা কোনভাবে হজম করতে পারে না তাদের ক্ষেত্রে ভাজা ছোলা এড়িয়ে চলা দরকার। বিশেষ করে যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে তাদের ভাজা ছোলা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। আশা করি আলোচনার মাধ্যমে আপনি ভাজা ছোলার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

প্রতিদিন কতটুকু ছোলা খাওয়া উচিত 

প্রতিদিন কতটুকু ছোলা খাওয়া উচিত তা আমরা অনেকে জানি না। কাঁচা ছোলা খেলে মোটা হওয়া যায় কিনা এ সম্পর্কে অনেকে অনেক রকম ধারণা করে থাকে। তবে আমরা যদি পরিমাণ মতো কাঁচা ছোলা গ্রহণ করে থাকি তাহলে আমাদের কাঙ্ক্ষিত ফলাফল আমরা অবশ্যই পাবো। অবশ্য কোন জিনিসের কতটুকু পুষ্টিগুণ পাওয়া যাবে তা অবশ্য তা রান্না বা পরিবেশন এর উপর নির্ভর করে থাকে। অনেক তেল মশলার দিয়ে ছোলা অনেক সময় ভুনা করে থাকি এটা মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। 

কাঁচা ছোলা যদি ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে টমেটো শসা চাট মসলা অল্প অলিভ অয়েল বা সরিষার তেল মিশিয়ে খাওয়া যায় তাহলে তা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি উপকার হয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে একসাথে অনেক খাবার গ্রহণ করা যাবে না। কেননা খাবার যতই ভালো হোক কোন খাবারই অতিরিক্ত গ্রহণ করার শরীরের জন্য ভালো নয়। 

একজন সুস্থ ব্যক্তি প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম খোলা নিশ্চিন্তে খেতে পারবেন। এই পরিমাণ ছোলা খেলে আপনাদের শরীরে কোনরকম সমস্যা হবে না এটা আশা করা যায়। তবে কেউ যদি কোন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে সে কতটুকু খেতে পারবে এ বিষয়ে চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদদের পরামর্শ নিতে হবে। 

প্রশ্ন ও সমাধান 

প্রশ্ন ১: কাঁচা ছোলা খেলে কি ওজন বাড়ে?
উত্তর: হ্যাঁ, কাঁচা ছোলা নিয়মিত খেলে ওজন বাড়তে পারে, বিশেষত যদি এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হয়।

প্রশ্ন ২: কাঁচা ছোলায় কী কী পুষ্টি উপাদান থাকে?
উত্তর: এতে প্রোটিন, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট, আয়রন, এবং ভিটামিন বি৬-এর মতো উপাদান থাকে, যা শরীরের পুষ্টি যোগায়।

প্রশ্ন ৩: ওজন বাড়ানোর জন্য কাঁচা ছোলা কীভাবে খাওয়া যায়?
উত্তর: রাতে ভিজিয়ে সকালে মধু বা চিনি দিয়ে খাওয়া ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।

প্রশ্ন ৪: কাঁচা ছোলা কি শুধু মোটা হওয়ার জন্য খাওয়া হয়?
উত্তর: না, এটি শরীরের শক্তি বাড়ানো এবং পেশি মজবুত করতেও খাওয়া হয়।

প্রশ্ন ৫: কাঁচা ছোলা খাওয়ার সঠিক সময় কখন?
উত্তর: সকালে খালি পেটে খাওয়া সবচেয়ে উপকারী।

প্রশ্ন ৬: বেশি ছোলা খেলে কি সমস্যা হয়?
উত্তর: অতিরিক্ত ছোলা খেলে হজমের সমস্যা, পেট ফাঁপা এবং গ্যাস হতে পারে।

প্রশ্ন ৭: ছোলার সাথে কী খাবার খাওয়া ভালো?
উত্তর: দুধ, মধু বা গুড় দিয়ে খাওয়া শরীরের পুষ্টি বাড়ায়।

শেষ কথা 

কাঁচা ছোলা খেলে কি মোটা হওয়া যায় আমাদের এই পোস্টটিতে সম্পূর্ণ তথ্যের আলোকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমাদের অজান্তে পোস্টটির কোথাও যদি ভুল হয়ে থাকে তাহলে তা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং বিষয়টি আমাদেরকে জানানোর চেষ্টা করবেন পরবর্তীতে আমরা তো অবশ্যই সংশোধন করার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ।

প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি এই আর্টিকেলটি কোন উপকারে আসে তাহলে আমাদের সার্থকতা। কেননা আমরা আমাদের লেখনীর মাধ্যমে সর্বদা চেষ্টা করি আপনাদের অজানা বিষয় সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার জন্য যাতে আপনারা উপকৃত হন। এই ধরনের আরো নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করতে থাকুন ধন্যবাদ। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ড্রিমস ব্লগারেরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url